Beta
সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
Beta
সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

হার্টের স্টেন্টের দাম কমল

stent
হৃদযন্ত্রে স্টেন্ট বসানোর প্রতীকী ছবি
[publishpress_authors_box]

দেশে হৃদরোগ চিকিৎসায় অতি গুরুত্বপূর্ণ করোনারি স্টেন্টের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

এ দফায় তিনটি কোম্পানির ১০ ধরনের করোনারি স্টেন্টের দাম কমানো হবে। কোম্পানিভেদে এসব স্টেন্টের দাম কমবে তিন হাজার থেকে ৮৮ হাজার টাকা পর্যন্ত।

করোনারি স্টেন্টের দাম কমানোর বিষয়ে গঠন করা বিশেষজ্ঞ পরামর্শক কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে রবিবার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিশেষজ্ঞ পরামর্শক কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ট্যাক্স, ভ্যাট, বিভিন্ন চার্জ কিংবা কমিশন এবং কোম্পানিগুলোর যুক্তিসঙ্গত মুনাফা বিবেচনা নিয়ে বস্টন সায়েন্টিফিক, অ্যাবোট ভাসকুলার এবং মেডিট্রোনিক থেকে আমদানি করা করোনারি স্টেন্টের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য অনুমোদন করা হয়েছে। স্টেন্টের দাম সর্বোচ্চ ৩৬ শতাংশ কমেছে বলে জানানো হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মেডিট্রোনিকের তৈরি রিসলিউট অনিক্সের স্টেন্টের দাম ১ লাখ ৪০ হাজার ৫০০ টাকা থেকে কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৯০ হাজার টাকা। একই কোম্পানির অনিক্স ট্রুকরের দাম ৭২ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা।

অ্যাবোটের জায়েন্স প্রাইম স্টেন্টের দাম ৬৬ হাজার ৬০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৫০ হাজার টাকা, জায়েন্স আলপাইনের দাম ১ লাখ ৪০ হাজার ৫০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৯০ হাজার টাকা এবং জায়েন্স সিয়েরার দাম ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৯০ হাজার টাকা করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বস্টন সায়েন্টিফিকের প্রোমাস এলিটের দাম ৭৯ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৭২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রোমাস প্রিমিয়ার স্টেন্ট ৭৩ হাজার টাকার বদলে ৭০ হাজার, সাইনার্জির দাম ১ লাখ ১৭ হাজার টাকা থেকে ৯০ হাজার, সাইনার্জি শিল্ড ১ লাখ ২০ হাজার টাকা থেকে ৯০ হাজার টাকা এবং সাইনার্জি এক্সডি ১ লাখ ৮৮ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ১ লাখ টাকা করা হয়েছে।

এছাড়া হাসপাতালগুলো যেন স্টেন্টের নির্ধারিত দামের সঙ্গে সার্ভিস চার্জ হিসেবে ৫ শতাংশের বেশি টাকা না নিতে পারে, তা তদারক করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে বলা হয়েছে।

এছাড়া অনুমোদিত সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যের বাইরে যেন কোনও কার্ডিওভাসকুলার ও নিউরো ইমপ্ল্যান্ট ডিভাইস কেনা না হয়, সেদিকে নজরদারি করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।

ডলারের দাম বাড়ার কারণে দেশের বাজারে দফায় দফায় বেড়ে যায় স্টেন্টের দাম। এমন অবস্থায় গত বছর এপ্রিলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তৈরি ২৩ ধরনের স্টেন্টের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছিল ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

এর আগে ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি কোম্পানির তিন ধরনের স্টেন্টের দাম কমায় অধিদপ্তর। এরপর ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর অধিদপ্তর আরও কয়েক ধরনের স্টেন্টের দাম নির্ধারণ করে দেয়।

বাংলাদেশে হৃদপিন্ডের চিকিৎসায় বহুল ব্যবহৃত একটি পদ্ধতি স্টেন্ট পরানো। কারও ধমনীতে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে হৃদযন্ত্রের স্বাভাবিক ক্রিয়া সচল রাখতে এনজিওপ্লাস্টির মাধ্যমে স্টেন্ট বা করোনারি স্টেন্ট পরানো হয়। প্রচলিত ভাষায় এটি ‘রিং’ হিসেবে পরিচিত।

বাংলাদেশে এসব স্টেন্ট আসে দেশের বাইরে থেকে। সাধারণত যুক্তরাষ্ট্র, পোল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস ও আয়ারল্যান্ড থেকে স্টেন্ট আসে বাংলাদেশে। এছাড়া জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও ভারত থেকেও স্টেন্ট আমদানি করা হয়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত