Beta
মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৫
Beta
মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৫

ভারি বর্ষণে ভূমিধস বন্যা নেপাল ভারতে, পানি বাড়ছে তিস্তায়

nepal
[publishpress_authors_box]

ভারতের উত্তর-পূর্ব, নেপালের পাহাড়ি অংশ ও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে চলছে বন্যা পরিস্থিতি। এর মধ্যে নেপাল ও ভারতে টানা বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট ভূমিধস ও বন্যায় অন্তত ৬০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া জনগোষ্ঠির কাছে পৌঁছাতে উদ্ধারকর্মীরা মরিয়া প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। জানিয়েছে একাধিক আন্তর্জাতিক মিডিয়া।

শুক্রবার থেকে নেপালে প্রবল বর্ষণ শুরু হয়েছে। এর ফলে নদীগুলোতে পানির মাত্রা বেড়েছে এবং হিমালয়বেষ্টিত ওই অঞ্চলের বহু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

নেপালের জাতীয় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র শান্তি মাহাতো এএফপিকে জানান, বৃষ্টিজনিত দুর্যোগে অন্তত ৪৩ জনের মৃত্যু ও পাঁচজন নিখোঁজ রয়েছেন। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পূর্বাঞ্চলীয় জেলা ইলামে অন্তত ৩৭ জন ভূমিধসে নিহত হয়েছেন।

স্থানীয় জেলা কর্মকর্তা সুনীতা নেপাল জানান, রাতের প্রবল বৃষ্টিতে এই ভূমিধসগুলো হয়েছে। তিনি আরও জানান, রাস্তা বন্ধ থাকায় কিছু এলাকায় পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে। উদ্ধারকর্মীরা পায়ে হেঁটেই সেসব এলাকায় যাচ্ছেন।

রাজধানী কাঠমান্ডুর মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীগুলোতেও পানি বাড়ছে। ফলে তীরবর্তী বসতিগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। উদ্ধার কার্যক্রমে সহায়তার জন্য নিরাপত্তা বাহিনী হেলিকপ্টার ও মোটরবোট নিয়ে মোতায়েন করা হয়েছে।

৩৮ বছর বয়সি এক সবজি বিক্রেতা রাজন খাডগা বলেন, “কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ আগেভাগে বন্যা সতর্কতা জারি করায় আমরা কিছু জিনিসপত্র নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে পেরেছিলাম।”

ভূমিধসের কারণে একাধিক মহাসড়ক বন্ধ হয়ে গেছে এবং উড়োজাহাজ চলাচল ব্যাহত হয়েছে। এর ফলে শত শত যাত্রী, যাদের অনেকেই হিন্দুদের দশাইন উৎসব শেষে বাড়ি ফিরছিলেন, তারা আটকে পড়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি জানান, সরকারি সংস্থাগুলো “উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত।”

তিনি এক ভাষণে বলেন, “আপনাদের নিরাপত্তাই আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। প্রয়োজনীয় সহায়তা চাইতে দ্বিধা করবেন না।” তিনি আরও জানান, সরকার রবিবার ও সোমবার সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে এবং জনগণকে প্রয়োজন ছাড়া ভ্রমণ না করার আহ্বান জানিয়েছেন।

এদিকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের চা-বাগানসমৃদ্ধ পাহাড়ি জেলা দার্জিলিংয়েও রাতভর ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে বহু ঘরবাড়ি ও অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে।

ভারতের রাজ্যসভা সদস্য ও সাবেক পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, “গত রাতের প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে দার্জিলিং পাহাড়ে ২০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।”

ভারতের একাধিক টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, উদ্ধারকর্মীরা দড়ির সাহায্যে বিচ্ছিন্ন অঞ্চলে প্রবেশের চেষ্টা করছেন, আর উন্মত্ত নদীর স্রোত সেতু ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ও রাস্তা ধসে পড়ছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের কারণে হওয়া প্রাণহানিতে তিনি গভীরভাবে ব্যথিত।

তিনি সোশাল মিডিয়ায় এক বিবৃতিতে বলেন, “দার্জিলিং ও আশপাশের এলাকায় ভারি বৃষ্টিপাত ও ভূমিধসের পরিপ্রেক্ষিতে পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।”

এদিকে বাংলাদেশে উত্তরাঞ্চল (লালমনিরহাট, নীলফামারি, রংপুর, কুড়িগ্রাম) ও তিস্তা নদীর অববাহিকা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। 

প্রথম আলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিস্তা নদীর পানি বিপজ্জনক সীমা অতিক্রম করেছে এবং ৬টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। উপদ্রুত এলাকা থেকে প্রায় আড়াই হাজার পরিবারকে অস্থায়ীভাবে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

টিবিএস নিউজ জানিয়েছে, তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে ২৭ সেন্টিমিটার বিপজ্জনক লেভেলের উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। নীলফামামি জেলার ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপজ্জনক চিহ্ন পার করেছে এবং ৪৪টি স্লুইসগেট গেট খোলা হয়েছে। 

বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) জানিয়েছে, বন্যার পানিতে জলাভূমি ও চর এলাকায় ধানক্ষেত, সবজি এবং অন্যান্য চাষি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। নিম্ন অবকাঠামো সমস্যার কারণে অনেক এলাকায় পানি গ্রামের ভেতর ঢুকে পড়েছে। সরকার ও জেলা প্রশাসন সতর্কতা বিবৃতি জারি করেছে, বিপজ্জনক এলাকায় মানুষ সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলা মৌসুমি বৃষ্টিপাত প্রতি বছর দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে প্রাণহানি ও ধ্বংসযজ্ঞ ডেকে আনে। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রাণঘাতী বন্যা ও ভূমিধসের সংখ্যা বাড়ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এসব দুর্যোগের সময়কাল, ঘনত্ব ও তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

কাঠমান্ডুভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মাউন্টেন ডেভেলপমেন্ট (আইসিআইএমওডি) গত জুনেই সতর্ক করেছিল যে, চলতি মৌসুমে পার্বত্য অঞ্চলে আরও বেশি দুর্যোগ ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।

সংস্থাটি জানিয়েছিল, “উচ্চ তাপমাত্রা ও চরম বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যা, ভূমিধস ও ধ্বংসাবশেষ প্রবাহের মতো জলসম্পর্কিত দুর্যোগের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।”

২০২০ থেকে দক্ষিণ এশিয়ায়…

পাকিস্তান, ভারত, নেপাল, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় মৌসুমি বৃষ্টিপাত প্রায়ই ধ্বংস ডেকে আনে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এদের তীব্রতা ও মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। আর এর প্রধান কারণ হলো জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব।

বন্যা দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে সাধারণ প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর একটি। গত কয়েক দশকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এই অঞ্চলটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলে ব্যাপক বন্যা, খরা, তাপপ্রবাহ ও অস্বাভাবিক সময়ে বৃষ্টিপাতের মতো বিপর্যয় দেখা দিচ্ছে।

শিল্পায়নের বৃদ্ধি, বন উজাড়, জীবাশ্ম জ্বালানির দহন এবং যানবাহনের দূষণসহ একাধিক কারণ জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

হিমালয় অঞ্চলে বাড়তে থাকা তাপমাত্রার কারণে হিমবাহ গলছে, যা বিশেষত পাকিস্তান ও ভারতের জন্য বড় ধরনের বন্যার ঝুঁকি তৈরি করছে।

দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান নগরীগুলো; মুম্বাই, করাচি, লাহোর, ঢাকা, কলম্বো, চেন্নাই ও কলকাতা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত ও ভয়াবহ বন্যার সম্মুখীন হয়েছে।

নিচে ২০২০ সালের পর থেকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোয় সংঘটিত প্রধান বন্যা ও প্রবল বর্ষণের একটি সারসংক্ষেপ দেওয়া হলো।

২০২২ সালের রেকর্ডভাঙা পাকিস্তান বন্যা

২০২২ সালের জুনে পাকিস্তানে আঘাত হানা নজিরবিহীন মৌসুমি বন্যাগুলোকে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ও বিধ্বংসী বলে ধরা হয়। এই বন্যায় দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক শক্তিধর দেশটির এক-তৃতীয়াংশ এলাকা প্লাবিত হয়, ১ হাজার ৭০০-রও বেশি মানুষ নিহত হন এবং কয়েক মিলিয়ন মানুষ বাস্তুচ্যুত হন।

এই দুর্যোগ প্রায় ৩২ বিলিয়ন ডলারের অর্থনৈতিক ক্ষতি ডেকে আনে এবং বহু বছরের উন্নয়ন প্রচেষ্টা ধ্বংস করে দেয়।

২০২২ সালে পাকিস্তানে স্বাভাবিকের তুলনায় তিনগুণ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছিল। আর দক্ষিণের সিন্ধু প্রদেশে এই হার ছিল ৭–৮ গুণ, যা বৈশ্বিক জলবায়ুর চরম পরিবর্তনের স্পষ্ট ইঙ্গিত বহন করে।

২০২৪ সালের বাংলাদেশ বন্যা, ৩০ বছরে সবচেয়ে ভয়াবহ

২০২৪ সালের আগস্টে বাংলাদেশ সাম্প্রতিক স্মৃতিতে সবচেয়ে মারাত্মক বন্যার মুখোমুখি হয়, যা প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। জাতিসংঘের তথ্যমতে, এতে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষকে বাস্তুচ্যুত করে।

৩৪ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হিসেবে বর্ণিত এই বন্যায় দেশের পূর্বাঞ্চল বিধ্বস্ত হয়। ক্রমাগত বৃষ্টিপাত ও নদীর পানির উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে ব্যাপক প্লাবন ঘটে।

বাংলাদেশের ৬৪ জেলার মধ্যে অন্তত ১১টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে দক্ষিণের নোয়াখালী জেলা ছিল সবচেয়ে বিপর্যস্ত।

বন্যায় রাস্তা, কৃষিজমি ও বাড়িঘরে ব্যাপক ক্ষতি হয়। গবাদিপশু ও মৎস্য খাতেও উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি ঘটে। অন্তত ২০ জন প্রাণ হারান।

২০২২ সালের ভারত-বাংলাদেশ বন্যা

২০২২ সালের মে মাসে শুরু হওয়া এই ভয়াবহ বন্যায় ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। দুই দেশে মিলিয়ে ৯০ লাখেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত এবং প্রায় ৩০০ জন নিহত হন।

২০২১ সালের ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের বন্যা

২০২১ সালে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় মহারাষ্ট্র রাজ্যে একাধিক বন্যা ও ভূমিধস একসঙ্গে সংঘটিত হয়। এতে ২৫০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যান।

ভারতের আবহাওয়া দফতরের তথ্যমতে, রাজ্যের ৩০টিরও বেশি জেলায় বন্যাসদৃশ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। কারণ সে বছর মহারাষ্ট্রে অতিবৃষ্টির পরিমাণ ছিল সর্বোচ্চ। এই দুর্যোগে প্রায় ৫৩৯ মিলিয়ন ডলারের অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়।

২০২০ সালের আসাম বন্যা, ভারত

২০২০ সালের মে মাসে উত্তর-পূর্ব ভারতের আসাম রাজ্যে প্রবল বন্যা দেখা দেয়। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে শুরু হওয়া এই বন্যায় ৫০ লাখেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হন এবং অন্তত ১৫০ জন মারা যান।

মোট ৫ হাজার ৪৭৪টি গ্রাম প্লাবিত হয় এবং ১ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন।

একই বছর অক্টোবরে “ডিপ ডিপ্রেশন” ঘূর্ণিঝড়-সংশ্লিষ্ট বন্যা হায়দরাবাদ ও অন্ধ্র প্রদেশে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। এতে ১০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান।

২০২৪ সালের আফগানিস্তান বন্যা

২০২৪ সালের মে মাসে আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন প্রদেশে অস্বাভাবিকভাবে প্রবল আকস্মিক বন্যায় ৩০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। এদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।

দশ-হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়। সেভ দ্য চিলড্রেনের তথ্যমতে, শুধু বাগলান প্রদেশেই প্রায় ৪০ হাজার শিশু তাদের বাড়িঘর হারায়।

২০২০ সালের আকস্মিক বন্যা, আফগানিস্তান

২০২০ সালের মার্চ ও আগস্টে টানা বৃষ্টিপাতজনিত আকস্মিক বন্যায় আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় পারওয়ান প্রদেশে ১৭০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত ও দুই শতাধিক আহত হন। শত শত বাড়িঘর ও কৃষিজমি ধ্বংস হয়।

দেশটির পার্বত্য ভৌগোলিক গঠন এবং দ্রুত তুষার গলার কারণে আকস্মিক বন্যাকে আরও মারাত্মক করে তোলে। এতে অল্প সময়েই ছোট নদীগুলোকে প্রবল স্রোতে রূপান্তরিত করে।

২০২৪ সালের নেপাল বন্যা

২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে নেপালে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয় এবং হাজার হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

হিমালয়ের ছোট্ট দেশটির রাজধানী কাঠমান্ডু তলিয়ে যায়। রেকর্ড বৃষ্টিতে বাগমতী নদী উপচে পড়ে।

২০২৩ সালের শ্রীলঙ্কা বন্যা

২০২৩ সালের মে মাসে শ্রীলঙ্কায় ৫০ বছরে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় ২৪০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যান এবং অন্তত ১ লাখ ৫০ হাজার পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়।

বন্যার তীব্রতা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, শ্রীলঙ্কা সরকার আন্তর্জাতিক সহায়তার জন্য জরুরি আবেদন জানাতে বাধ্য হয়, যাতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়।

শ্রীলঙ্কায় বন্যার ইতিহাস রয়েছে। সেখানে বিভিন্ন সময়ে প্রবল বর্ষণ মৌসুমে (বিশেষত মে ও ডিসেম্বর মাসে) দেশটির বিভিন্ন অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

২০২৪ সালের শ্রীলঙ্কার বৃষ্টি

২০২৪ সালের মে ও জুনে শ্রীলঙ্কায় প্রবল মৌসুমি বৃষ্টিতে দ্বীপটির পশ্চিম ও দক্ষিণাঞ্চলে আকস্মিক বন্যা, ভূমিধস ও গাছ উপড়ে পড়ার ঘটনা ঘটে।

এই বন্যায় অন্তত ১৬ জন মারা যান এবং দেশটির ২৫টির মধ্যে ২০টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিছু এলাকায় ৪০০ মিলিমিটার (১৬ ইঞ্চি) এরও বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত