হ্যান্ডশেক বিতর্ক নিয়ে জল গড়িয়েছিল অনেকদূর। এমনকি এশিয়া কাপ থেকে দল তুলে নেওয়ার হুমকিও দিয়েছিল পাকিস্তান। ভারতীয় ক্রিকেটারদের এসব ভালো লাগার কথা না। তারপরও আবার সুপার ফোরের ম্যাচটিতে শরীরী ভাষায় আক্রমণাত্মক দেখা গিয়েছিল পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের।
একবার শাহিন আফ্রিদিকে কোনও কথার জবাব দিতে এগিয়ে গিয়েছিলেন শুবমান গিল। আরেকবার হারিস রউফের সঙ্গে ঝামেলা হয় অভিষেক শর্মার। বিষয়টি যে গুরুতর ছিল এটা ম্যাচের পরেই বুঝিয়ে দিয়েছেন অভিষেক। জানিয়েছেন, পাকিস্তান বড্ড বেশি বাড়াবাড়ি করছিল!
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণের সময় ৩৯ বলে ৭৪ করা অভিষেক বলেছেন, “পাকিস্তানের বোলারেরা বেশি বাড়াবাড়ি করছিল। কোনও কারণ ছাড়াই আমাদের দিকে তেড়ে আসছিল, তর্ক করছিল। আমার সেটা একেবারেই পছন্দ হয়নি। এজন্যই ওদের জবাব দেওয়া দরকার ছিল। দলকে জেতাতে চেয়েছিলাম। সেটা পেরেছি।”
শুবমানের সঙ্গে ১০৫ জুটি গড়ে ভারতের চাপ অনেকটাই হালকা করে দেন অভিষেক। ছোটবেলা থেকেই দুজন একসঙ্গে খেলেছেন। এ নিয়ে অীভষেক বললেন, “স্কুলে পড়ার সময় থেকেই আমরা একসঙ্গে খেলছি। একে অপরকে সঙ্গ দিতে পছন্দ করি। আগেই ঠিক করে নিয়েছিলাম, আজই কিছু একটা করতে হবে। যে ভাবে ও খেলছিল সেটা দারুণ লেগেছে।”
সাফল্যের নেপথ্যে দলের সমর্থনের কথা উল্লেখ করেছেন অভিষেক, “যখন দেখবেন কোনও ব্যাটার এত ভাল খেলছে, তখন বুঝবেন নিশ্চয়ই তাঁর পাশে দল রয়েছে। কোচ এবং অধিনায়ক আমাকে খুবই সমর্থন করে। তাই জন্যই এত ভাল খেলার সাহস পাই।”
জাসপ্রীত বুমরা ৪ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটহীন। ভারতের ক্যাচও পড়েছে পাঁচটা। এ নিয়ে অধিনায়ক সূর্যকুমার মজা করে বললেন, ‘‘যারা ক্যাচ ফেলেছে সবাইকে ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপ ইমেইল করে দিয়েছে। দেখুন না কী হয়! আর বুমরা তো রোবট নয়, একটা দিন খারাপ যেতেই পারে।’’