Beta
বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫
Beta
বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫

৪১ বছরে প্রথম ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল আজ

as1
[publishpress_authors_box]

এশিয়া কাপ শুরু হয়েছে সেই ১৯৮৪ সালে। প্রতিবারই চিত্রনাট্য থাকে ভারত-পাকিস্তান ফাইনালের। ক্রিকেট সিনেমা নয় বলেই এতদিন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল ফাইনালে মুখোমুখি হয়নি। আক্ষেপটা মিটছে আজ। এশিয়া কাপের ১৭তম আসরে দুবাইয়ে প্রথমবার ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান।

একটা সময় দুই দলের লড়াইটা হত রোমাঞ্চকর। এখন সেটা পানসে। ভারতীয় অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব তো এশিয়া কাপে দুইবার পাকিস্তানকে হারানোর পর বলেছেন, ‘‘ভারত-পাকিস্তান লড়াই আর আগের মত নেই।’’

দলটা পাকিস্তান বলেই আগে থেকে অনুমান করা যায় না কিছুই। ১৯৯২ বিশ্বকাপেও বিদায়ের দুয়ার থেকে ফিরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা। এবারের এশিয়া কাপেও যে এমন কিছু হবে না, তা বলার উপায় নেই।

তাছাড়া ভারত–পাকিস্তান ফাইনাল মানে লাভের অঙ্কের হিসাবটা এসিসি আরেকটু বাড়িয়ে করতে পারবে। এই ম্যাচে বিজ্ঞাপন আর ব্রডকাস্টারদের বাড়তি আগ্রহ সবসময়। তাদের আগ্রহ মানে আরও বেশি টাকা।

ফাইনালের আগেও ঘুরে ফিরে এসেছে ‘হ্যান্ডশেক’ বিতর্ক। পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগাও সংবাদ সম্মেলনে টেনে এনেছেন ব্যাপারটা, ‘‘কখনও দেখিনি ম্যাচের মধ্যে দুটো দল হাত মেলাচ্ছে না। দুটো দল ক্রিকেট ম্যাচ খেললেও হাত মেলায়নি, এমন কখনও শুনিনি। বরাবর শুনে এসেছি ক্রিকেট মাঠে ভদ্রতা বজায় রাখা হয়েছে। ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে যখন এর থেকেও খারাপ সম্পর্ক ছিল, তখনও দুই দল একে অপরের বিপক্ষে খেলেছে। তখনও হাত মিলিয়েছেন ক্রিকেটাররা। আমার মতে, ক্রিকেটের জন্য হাত না মেলানোর ঘটনা ভালো উদাহরণ নয়।”

সুপার ফোরে দুই দলের ম্যাচে আগ্রাসী উচ্ছ্বাস করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন রউফ ও ফারহান। দুই সতীর্থের পাশে দাঁড়িয়ে সালমান বলেছেন, “আবেগ দেখানোর অধিকার সবার আছে। যদি কোনও ফাস্ট বোলারকে বলি আবেগ না দেখাতে, তা হলে আর কী পড়ে থাকবে? যতক্ষণ না কারও অসম্মান হচ্ছে, ততক্ষণ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে কাউকে আমি আটকাব না।”

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে যে প্রবল চাপ থাকে সেটা মেনে নিয়েছেন সালমান। তবে এটাও জানিয়েছেন, বাইরের আওয়াজে কান দিতে চান না, “ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে সব সময়েই চাপের বোঝা থাকে। গত দুই ম্যাচে আমরা বেশি ভুল করার কারণেই হেরেছি। ফাইনালে দুটো দলের উপরেই চাপ থাকবে। ভারতের সংবাদমাধ্যম কী বলছে তাতে আমরা পাত্তাও দিই না। নিজেরা ছোটখাটো জিনিসগুলো ঠিক করতে চাই।”

ম্যাচটা হতে পারি অভিষেক শর্মা ও শাহিন শাহ আফ্রিদির লড়াইও। এবারের এশিয়া কাপে ৬ ইনিংস খেলে ৫১.৫০ গড়ে ২০৪.৬৩ স্ট্রাইক রেটে ৩০৯ রান করেছেন অভিষেক। ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিলক বর্মা ৫ ইনিংসে করেছেন ১৪৪ রান।

আফ্রিদি ৬ ম্যাচে নিয়েছেন ৯ উইকেট। তবে আগের সেই গতি, সুইং আর বৈচিত্র্য ফিরে পেয়েছেন আফ্রিদি। তাকে সামলাতে না পারলে শিরোপা জয় সহজ হওয়ার কথা নয় ভারতের।

আরও পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত