শুধু ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নয়, অপারেশন সিঁদুরের পর অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল এশিয়া কাপটাই। নানা নাটক শেষে শুরু হয়েছে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের আসর। এশিয়া কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারত।
সেখানে পাকিস্তান অনেকটাই পিছিয়ে। সম্প্রতি ত্রিদেশীয় সিরিজ জেতায় সালমন আলি আগারা অবশ্য আত্মবিশ্বাসী। তবে সেটা কি সূর্যকুমারদের হারানোর জন্য যথেষ্ট? দু’দলই প্রথম ম্যাচ জিতেছে। হাইভোল্টেজ ম্যাচে কোন দল জিতবে, তা ঠিক করে দেবে এই পাঁচ খণ্ড লড়াই। অপারেশন সিঁদুরের পর প্রথম পাক-ভারত মহারনের সেই পাঁচ লড়াই দেখে নেওয়া যাক।
ফখর জামান-কুলদীপ যাদব: চোট সরিয়ে দলে ফিরেছেন ফখর জামানের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। ভারতের বিপক্ষে তিনি ভালো খেলেন সবসময়। ওমানের সঙ্গে ১৬ বলে ২৩ রান করেন। তবে কুলদীপ যাদবকে কতটা সামলাতে পারবেন, সেটাও একটা প্রশ্ন। আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাত্র ৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট পান তিনি। ম্যাচের সেরাও কুলদীপ। দুবাইয়ের পিচে কুলদীপের ঘূর্ণি সামলানোই চ্যালেঞ্জ পাকিস্তানের।
শুবমান গিল-শাহিন আফ্রিদি: গিলের সহ-অধিনায়ক হয়ে দলে আসা ও দায়িত্ব পাওয়া নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দারুণ ছন্দে আছেন তিনি। আইপিএল, ইংল্যান্ড সিরিজের পর এবার এশিয়া কাপেও আগুন ঝরাতে তৈরি গিল। প্রথম ম্যাচে ৯ বলে ২০ রান করে তার ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছেন। শাহিন শাহ আফ্রিদি ভালো ফর্মে না থাকলেও ত্রিদেশীয় সিরিজে ভরসা দিয়েছেন। ওমানের বিপক্ষে ২০ রান দিয়ে ১ উইকেট পেয়েছেন এই পেসার।
সূর্যকুমার যাদব- আবরার আহমেদ: টি-টোয়েন্টিতে ভারতের আশাভরসা হয়ে উঠতে পারেন সূর্যকুমার। ওপেনিংয়ে অভিষেক ও গিলের পর সূর্য ঝড় তুলতে প্রস্তুত। আবার পাক স্পিনের সবচেয়ে বড় ভরসা আবরার আহমেদ। ওমানের বিপক্ষে ১২ রানে একটি উইকেট পান। বিশেষ করে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে যেভাবে বিপাকে পড়েছিলেন, তাতে প্রত্যাবর্তনে মরিয়া থাকবেন তিনি। শেষ তিন ম্যাচে তুলেছেন ৭ উইকেট।
হার্দিক পান্ডিয়া-সাইম আইয়ুব: হার্দিক পান্ডিয়া কখন কী করে দিতে পারে, তা কে বলতে পারে? আর ভারতীয় অলরাউন্ডার পাকিস্তানের বিপক্ষে সবসময়ই নিজের সেরাটা দেন। বছরের শুরুতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভালো ছন্দে ছিলেন। আবার পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় শক্তি সাইম আইয়ুব। ব্যাটে-বলে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। ওমানের বিপক্ষে ৮ রান দিয়ে ২টি উইকেট নিয়েছেন তিনি।
যাশপ্রীত বুমরা-মোহম্মদ হারিস: দুবাইয়ের পিচে ভারতের সবচেয়ে বড় শক্তি হতে পারে বোলিং। বুমরার মতো পেসার থাকলে যে কোনও দলই এগিয়ে থেকে নামবে। আমিরাতের বিপক্ষে ১৯ রান দিয়ে ১ উইকেট পান তিনি। পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় শক্তি তাদের টপ অর্ডার। সাহিবজাদা ফারহান, ফখর জামানদের পাশাপাশি মোহম্মদ হারিসের মতো খেলোয়াড়রাও শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে পারেন। ওমানের বিপক্ষে ৪৩ বলে ৬৬ রান করেন তিনি।