নতুন অর্থ বছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে কিছুটা বেড়েছে সাধারণ মূল্যস্ফীতি। জুলাই মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ, যা জুন মাসের চেয়ে ০.৭ শতাংশীয় পয়েন্ট বেশি।
অর্থাৎ গত বছরের জুলাই মাসে যে পণ্য বা সেবা ১০০ টাকা দিয়ে পাওয়া যেত সেই একই পণ্য বা সেবা গত মাসে পেতে ভোক্তাদের ১০৮ দশমিক ৫৫ টাকা ব্যয় করতে হয়েছে।
তবে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে বা গত বছরের জুলাই মাসের তুলনায় এই বছরের জুলাই মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতি ৩ দশমিক ১১ শতাংশ কমেছে। গত বছরের জুলাই মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতি ছিল ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুলাইয়ে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এর আগের মাস, অর্থাৎ জুনে এই হার ছিল ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
জুলাই মাসে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত দুই খাতেই মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। গত মাসে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ, যা জুন মাসে ছিল ৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি জুন মাসের ৯ দশমিক ৩৭ শতাংশ থেকে সামান্য বেড়ে জুলাইয়ে ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ হয়েছে।
তবে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় সাধারণ মূল্যস্ফীতি উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে সাধারণ মূল্যস্ফীতি ছিল ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ, যেখানে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি ছিল ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ ও খাদ্যবহির্ভূত খাতে ছিল ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
গত বছরের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিবিএস প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের জুলাই মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কের ঘরে ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশে উন্নীত হয়। পরের কয়েক মাস ওঠানামার পর সর্বশেষ গত ডিসেম্বর মাসের পর সাধারণ মূল্যস্ফীতি আর দুই অঙ্কের ঘরে ওঠেনি। গত জানুয়ারি মাস থেকে ধারাবাহিকভাবে কমার মধ্যে গত মাসে আগের মাসের তুলনায় সামান্য বৃদ্ধি পেল মূল্যস্ফীতি।
এ বিষয়ে বিবিএসের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা সকাল সন্ধ্যাকে জানান, গত মাসে মূলত টানা বৃষ্টির কারণে দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে শাক-সবজিসহ বেশ কিছু খাদ্যপণ্যের জোগান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া জুলাই মাসে আগের মাসের তুলনায় বিশেষ করে চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ মূল্যস্ফীতি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে তাদের মনে হয়েছে।