নিউক্যাসলে তিনি থাকবেন না। অনুশীলন ‘বয়কট’, টিমের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ এবং সবশেষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের অবস্থান তুলে ধরে নিউক্যাসলের বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণা করেছিলেন আলেক্সান্ডার ইসাক! অনেক নাটকীয়তার পর নিউক্যাসল ছাড়ছেন সুইডিশ স্ট্রাইকার। লিভারপুলেই যাচ্ছেন তিনি।
ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসির খবর, ইসাকের দলবদলে সমঝোতায় পৌঁছেছে নিউক্যাসল ও লিভারপুল। এজন্য ব্রিটিশ দলবদলের নতুন রেকর্ড গড়তে হয়েছে অলরেডদের। ১২৫ মিলিয়ন পাউন্ডে ইসাকের সঙ্গে চুক্তি হচ্ছে লিভারপুলের। প্রিমিয়ার লিগে এটাই সর্বোচ্চ দলবদলের ঘটনা।
অবশ্য নিউক্যাসলের একটি সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে, দলবদলের অঙ্কটা ১৩০ মিলিয়ন পাউন্ডের, এর সঙ্গে আনুষঙ্গিক আরও ফি যোগ হবে। অঙ্কটা যেটাই হোক, ব্রিটিশ ট্রান্সফারে ইসাকই এখন সবচেয়ে দামি খেলোয়াড়। আগের সর্বোচ্চ দলবদল ছিল এনজো ফের্নান্দেসের। ২০২৩ সালে বেনফিকা থেকে ১০৬ মিলিয়ন পাউন্ডে চেলসিতে যোগ দিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) লিভারপুলের সঙ্গে ছয় বছরের চুক্তি হচ্ছে ইসাকের। এর আগে হবে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা।
গত আগস্টে ইসাকের জন্য ১১০ মিলিয়ন পাউন্ডের প্রস্তাব করেছিল লিভারপুল। নিউক্যাসল প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করে। তারা জানিয়ে দেয়, সুইডিশ স্ট্রাইকার বিক্রির জন্য নয়।
দলের সেরা খেলোয়াড়কে কোনও ক্লাব বিক্রি করতে চাইবে না, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ইসাক সেটা মানবেন কেন! তিনি ‘বড়’ক্লাবে খেলার স্বপ্ন দেখেন, শিরোপার আনন্দে ভেসে যেতে চান। সেই সুযোগটা যখন লিভারপুল থেকে এসেছে, সেটা কিছুতেই হাতছাড়া করতে রাজি নন ইসাক। নিউক্যাসল তার স্বপ্নপূরণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ানোর কারণেই প্রকাশ্যে ক্লাবের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন ২৫ বছর বয়সী স্ট্রাইকার।
সেসময় বিসিবি জানিয়েছিল- ইসাক বিশ্বাস করে, বড় কোনও ক্লাব যদি তাকে নিতে চায় এবং সঠিক দাম প্রস্তাব করে, সেক্ষেত্রে অবশ্যই তাকে চলে যেতে দেওয়া উচিত। কিন্তু লিভারপুল থেকে বড় প্রস্তাব পাওয়ার পরও নিউক্যাসল সেটি প্রত্যাখ্যান করে। ইসাকের দাবি, ক্লাব তার সঙ্গে ‘প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ’করেছে। এই অবস্থায় দুই পক্ষের আর একসঙ্গে থাকা সম্ভব নয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে ইসাক লিখেছিলেন, “বাস্তবতা হলো, প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল এবং ক্লাবটি দীর্ঘদিন ধরে আমার অবস্থান জানে। যখন প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা হয় ও বিশ্বাস ভেঙে যায়, তখন সেই সম্পর্ক আর এগিয়ে নেওয়া যায় না। আমার এখানকার অবস্থা এখন সেরকমই। একারণেই (ক্লাব) পরিবর্তন কেবল আমার জন্য নয়, সবার জন্যই কল্যাণকর।”
নিউক্যাসল হয়তো সেটাই মেনে নিয়েছে। ইসাকের লিভারপুল-যাত্রায় আর বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। তবে সেজন্য বিশাল অঙ্কের অর্থে কোষাগার ঠিকই ভারী করেছে নিউক্যাসল।