Beta
বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট, ২০২৫

পরিবারসহ সাংবাদিক মুন্নী সাহার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

মুন্নী সাহা।
মুন্নী সাহা।
[publishpress_authors_box]

সাংবাদিক মুন্নী সাহা ও তার স্বামী কবির হোসেন, মা আপেল রানী সাহা, দুই ভাই তপন কুমার সাহা ও প্রণব কুমার সাহার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনে মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর জেষ্ঠ্য বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত এই আদেশ দেয়। 

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এতথ্য নিশ্চিত করেন।

দুদকের পক্ষে সংস্থার উপপরিচালক ইয়াছির আরাফাত তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, সাংবাদিক মুন্নী সাহা, পরিবারের সদস্যরা এবং তার স্বামী এস এম প্রমোশনসের স্বত্ত্বাধিকারী কবির হোসেন তাদের ব্যাংক হিসাবে অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জন এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্টরা দেশ ছেড়ে বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন বলে অনুসন্ধানকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। এর ফলে অনুসন্ধান কার্যক্রম মারাত্বকভাবে বিঘ্নিত হতে পারে। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া একান্ত প্রয়োজন।

গত বছরের অক্টোবরে মুন্নী সাহার সব ধরনের ব্যাংক হিসাবের তলব করে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

বিএফআইইউ সূত্রের বরাত দিয়ে ডিসেম্বরের শুরুর দিকে মুন্নী সাহার ব্যাংক হিসাবে লেনদেন নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়। সেসব খবরে ব্যাংক হিসাবে ১৩৪ কোটি টাকা লেনদেনের কথা বলা হয়। এর মধ্যে বিভিন্ন সময় ১২০ কোটি টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। স্থগিত করা হিসাবে স্থিতি আছে মাত্র ১৪ কোটি টাকা। এমন সব খবর আসার পর সরগরম হয় সোশাল মিডিয়া।

মুন্নী সাহা দাবি করেন, ওই ব্যাংক হিসাব তার স্বামীর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের। সেখানে তিনি নমিনি হওয়া ছাড়া তার আর কোনও সংশ্লিষ্টতা নেই। এমএস প্রমোশনের কর্ণধার কবির হোসেন তাপসও দাবি করেন, তার ব্যবসার সঙ্গে স্ত্রী মুন্নী সাহার কোনও সংশ্লিষ্টতা নেই।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত আগস্টে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর নানাজনের করা ‘ফ্যাসিবাদের দোসর সাংবাদিক’দের তালিকায় মুন্নী সাহার নামও আসে। জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে গুলিতে এক শিক্ষার্থী নাঈম হাওলাদার (১৭) নিহতের ঘটনায় যে মামলা হয় তাতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে মুন্নী সাহাসহ ৭ সাংবাদিককে আসামি করা হয়।

এরপর গত ৩০ নভেম্বর কারওয়ান বাজারে নিজ কর্মস্থল ‘এক টাকার খবর’-এর কার্যালয় থেকে বের হওয়ার পর একদল লোক মুন্নী সাহাকে ঘিরে ধরে এবং তার ওপর চড়াও হয়। খবর পেয়ে তাকে সেখান থেকে নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ। ওই রাতে প্যানিক অ্যাটাকে ‘অসুস্থ’ বোধ করায় পরিবারের জিম্মায় মুক্তি দেয় পুলিশ। আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেওয়ার শর্তে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে পুলিশ তখন জানিয়েছিল।

ভোরের কাগজ দিয়ে সাংবাদিকতা শুরু হলেও ২০০০ সালে একুশে টেলিভিশনের মাধ্যমে গোটা বাংলাদেশে রিপোর্টার হিসাবে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন মুন্নী সাহা। একুশে টিভি বন্ধ হওয়ার পর তিনি যোগ দেন এটিএন নিউজে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত