Beta
সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫
Beta
সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫

কোহলি-ডি ভিলিয়ার্সদের ফোন পেয়ে ছত্তিশগড়ের যুবক ভাবেন বন্ধুদের তামাশা

m9
[publishpress_authors_box]

ছত্তিশগড়ের মাদাগাঁও গ্রামের বাসিন্দা মণীশ বিসি। তার বাবা গজেন্দ্র পেশায় কৃষক। মণীশ করেন মুদি দোকান। মাসখানেক আগে নতুন একটি সিম নেন মণীশ। একদিন হঠাৎ মণীশের কাছে অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে।

ফোন করা ব্যক্তি নিজের পরিচয় দেন বিরাট কোহলি! মণীশের ধারণা হয়, তার বন্ধুরা মজা করে এমনটা করছেন। এরপর এবি ডি ভিলিয়ার্স, তারকা পেসার যশ দয়ালেরও ফোন পান মণীশ। মজার ছলে কথা বলে বিষয়টি উড়িয়ে দেন।

এভাবে ১৫দিন কাটার পর মণীশকে ফোন করেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু অধিনায়ক রজত পাতিদার। তিনি বলেন, মণীশ যে সিমটি ব্যবহার করছেন সেটা আসলে তার। তাই মণীশ যেন সিমটি ফেরত দেন।

 সেটাও প্রথমে বিশ্বাস করেননি ছত্তিশগড়ের যুবক। পরে পুলিশ এসে বোঝায়, এটা তামাশা নয়। সিমটি রজতেরই ছিল। তবে ৯০ দিন ওই সিম ব্যবহার করেননি তিনি। তাই নতুন গ্রাহক অর্থাৎ মণীশকে ওই সিম দেওয়া হয়েছে।

গারিয়াবাদ জেলার ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ নেহা সিনহা ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘এটি একটি হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার ছিল এবং সম্ভবত ৯০ দিনের বেশি সময় ধরে ব্যবহার হচ্ছিল না। কম্পানির নিয়ম অনুযায়ী ৯০ দিনের বেশি সময় অব্যবহৃত থাকলে সেই নাম্বার অন্য গ্রাহককে দেওয়া হয়।’’

রজত পাতিদার নিজের পুরনো নাম্বার ব্যবহার করতে না পেরে মধ্যপ্রদেশ সাইবার সেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে গারিয়াবাদ পুলিশ সিমটি উদ্ধার করে পতিদারকে ফেরত দেয়।

সিম সেটআপ করতে মণীশের বন্ধু খেমরাজ সাহায্য করার সময় খেয়াল করেছিলেন হোয়াটসঅ্যাপের প্রোফাইলের ছবিটি রজত পাতিদারের, তবে এটাকে ত্রুটিই মনে করেছিলেন তারা।

মণীশ ও খেমরাজ এখন এই ঘটনাকে জীবনের স্মরণীয় অভিজ্ঞতা বলে উল্লেখ করেছেন। তাদের আশা রজত পাতিদার একদিন দেখা করবেন তাদের সঙ্গে।

আরও পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত