প্রিমিয়ার লিগে শততম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন আলিং হলান্ড। ব্রাইটনের বিপক্ষে গোল করে উপলক্ষ্যটা রাঙিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জেতাতে পারেননি দলকে। এগিয়ে গিয়েও ২-১ গোলে হেরে গেছে সিটি। প্রিমিয়ার লিগে প্রথম তিন ম্যাচে এটা দ্বিতীয় হার সিটির। উলভসের বিপক্ষে ৪-০ গোলের জয় দিয়ে মৌসুম শুরু করলেও পরের ম্যাচেই সিটি টটেনহামের কাছে হেরেছিল ২-০ ব্যবধানে।
ফল
প্রিমিয়ার লিগ
ব্রাইটন ২ : ১ সিটি
নটিংহাম ০ : ৩ ওয়েস্টহাম
লিভারপুল ১ : ০ আর্সেনাল
লা লিগা
সেল্তা ভিগো ১ : ১ ভিয়ারিয়াল
বেতিস ১ : ২ অ্যাথলেতিক
ভায়েকানো ১ : ১ বার্সেলোনা
সিরি ‘এ’
জেনোয়া ০ : ১ জুভেন্টাস
তোরিনো ০ : ০ ফিওরেন্টিনা
বুন্দেসলিগা
ডর্টমুন্ড ৩ : ০ বার্লিন
কোলোন ৪ : ১ ফ্রেইবুর্গ
এই ম্যাচ দিয়ে প্রিমিয়ার লিগে সিটির একাদশে ফিরেছিলেন রদ্রি। ব্যালন ডি’অর জয়ী এই স্প্যানিয়ার্ড তারকা নিষ্প্রভ ছিলেন ম্যাচ জুড়ে। গোলে শট নিতে পারেন একটি, সেটিও লক্ষ্যভ্রষ্ট। পজেশন হারান ১৩ বার।
ম্যাচের শেষে স্কাই স্পোর্টসে রদ্রি বলেন, “আমি মেসি নই যে, ফিরে এসেই দলকে জিতিয়ে দেব। ফুটবল দলীয় খেলা। আমরা যখন আগে জিতেছি, তখন সব সতীর্থকে দরকার হয়েছে। অবশ্যই আমার সেরা অবস্থায় ফিরতে হবে আমাকে এবং আমাদের নিজেদের সকলের দিকে তাকাতে হবে, এটা সম্মিলিত খেলা।’’
এসিএল চোট কাটিয়ে গত মে মাসে প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে ফেরেন রদ্রি। ক্লাব বিশ্বকাপে খেলেন চারটি ম্যাচে, যার তিনটিতে বদলি হিসেবে। সেখানে একটি ম্যাচে কুঁচকিতে চোট পাওয়ায় প্রিমিয়ার লিগের প্রথম ম্যাচে খেলতে পারেননি। পরের ম্যাচে টটেনহামের বিপক্ষে বদলি নেমে খেলেন শেষ ১৫ মিনিট। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের পর লিগে একাদশে ফিরলেন ব্রাইটনের বিপক্ষেই প্রথমবার।
৩৪ মিনিটে ওমর মারমুশের বাড়ানো বল দারুণ ফিনিশিংয়ে দলকে এগিয়ে দেন হলান্ড। প্রিমিয়ার লিগে নিজের প্রথম ১০০ ম্যাচে তার গোল রেকর্ড ৮৮টি। এর আগে লিগে প্রথম ১০০ ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ৭৯ গোলের রেকর্ড ছিল নিউক্যাসল কিংবদন্তি অ্যালেন শিয়ারারের।
৬৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরান ব্রাইটনের জেমস মিলনার। মাতেউস নুনেস বক্সের ভেতর হাত দিয়ে বল স্পর্শ করলে পেনাল্টি পেয়েছিল ব্রাইটন। ৮৯ মিনিটে ব্রাহান গ্রুদার বলে ২-১ ব্যবধানের জয়ে মাঠ ছাড়ে ব্রাইটন।
প্রিমিয়ার লিগে অপর ম্যাচে লিভারপুল ১-০ গোলে হারিয়েছে আর্সেনালকে। ৮৩ মিনিটে দারুণ এক ফ্রি-কিকে লিভারপুলকে নাটকীয় জয় এনে দেন দমিনিক সোবোসলাই। কার্টিস জোন্সকে ফাউল করে ২৫ গজ দূরে ফ্রি-কিক উপহার দেন আর্সেনালের মার্তিন জুবিমেন্দি। সেখান থেকেই বাঁকানো শটে গোলরক্ষক দাভিদ রায়াকে পরাস্ত করেন হাঙ্গেরির এই মিডফিল্ডার। টানা তিন জয়ে শীর্ষস্থান ধরে রাখল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
লা লিগায় ভায়েকানোর বিপক্ষে ১-১ গোলের ড্রয়ে মৌসুমে প্রথমবার পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছে বার্সেলোনা। ৪০তম মিনিটে লামিনে ইয়ামালের গোলে এগিয়ে যায় বার্সা। রায়ো ভায়েকানোর হয়ে ৬৭তম মিনিটে সমতা ফেরান ফ্রান পেরেজ।
ভায়েকানোর মাঠ এস্তাদিও দি ভায়েকাসে আলোচনায় ছিল ভিএআর। ম্যাচের প্রথম ৪৫ মিনিটে ভিএআর কাজ করেনি। তবে পরের অর্ধে ঠিকঠাক ছিল। যখন কাজ করেনি তখনই পেনাল্টি পায় বার্সা। ভিএআর থাকলে সেই পেনাল্টি হত কিনা, এমন আফসোস করতেই পারেন ভায়েকানো সমর্থকরা।