ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত আরেক শিক্ষার্থী হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছে। তৌফিক (১৩) নামের ওই শিক্ষার্থীর চিকিৎসা শেষ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল সন্ধ্যাকে এ তথ্য জানান জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দীন।
ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “তৌফিকের শরীরে ৯ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। চিকিৎসা শেষে তৌফিককে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।”
জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে বর্তমানে আরও ১৮ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন, তার মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ওই দুর্ঘটনার পর থেকে এখন পর্যন্ত ১৮ জনকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। ঘটনার পর ৫৬ জনকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনা হয়।
শাওন বিন রহমান বলেন, “এখনও দুইজন রোগী সিভিয়ার অবস্থায় রয়েছে। বাকি ১৬ জন কেবিনে রয়েছেন। তবে বর্তমানে কেউ নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেই।”
বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৮ জন হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন, এখানে মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের।
গত ২১ জুলাই দুপুরে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই বিমান দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত যে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের বেশিরভাগই শিশু। দুর্ঘটনার পরদিন রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হয়।
দুর্ঘটনার পর কয়েক দফা ছুটি বাড়িয়ে গেল ৬ অগাস্টে ক্লাস ও পরীক্ষা শুরু করেছে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ।



