Beta
সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
Beta
সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

একটি গেমিং অ্যাপে যেভাবে ঠিক হয় নেপালের প্রধানমন্ত্রী

gen-z-protest-nepal-150925-01
[publishpress_authors_box]

ভোট হবে, যে জিতবে, সেই হবে সরকার প্রধান; গণতন্ত্রে এটাই নিয়ম। কিন্তু অভ্যুত্থানে সরকারের পতন ঘটলে? তখন এতে নেতৃত্ব দেওয়ারাই তা ঠিক করে নেন। নেপালে সাম্প্রতিক অভ্যুত্থানের পরও তাই ঘটেছে। তবে এতে নেতৃত্ব দেওয়া জিন জি তা করেছে নতুন এক পদ্ধতিতে।

সহিংস বিক্ষোভে কে পি শর্মা ওলি পদত্যাগের পর গত বৃহস্পতিবার নেপালের হাজার হাজার তরুণ দেশের পরবর্তী নেতা বেছে নিতে এক উত্তপ্ত সভায় মিলিত হয়।

তাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছিলেন মূল ধারার প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা। ২০০৮ সালে নেপালে রাজতন্ত্র বিলুপ্ত হওয়ার পর নতুন সংবিধানে চালিত নেপালে ১৪টি সরকার আসে, যার সবক’টিতে ছিল তিনটি প্রধান দলের প্রতিনিধিত্ব।

দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি জেন জির আস্থা টুটে গিয়েছিল। তারা এবার একজন সর্বসম্মত নেতা চেয়েছিল, যিনি ৩ কোটি মানুষের এই দেশটিকে বিশৃঙ্খলা থেকে বের করে আনবেন এবং দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি নির্মূলের পদক্ষেপ নেবেন।

তবে নতুন নেতা নির্বাচনে পুরনো পথে হাঁটেনি এই তরুণরা। তারা এমন একটি উপায় বেছে নিল, যা কোনও গণতান্ত্রিক দেশে আগে দেখা যায়নি।

একটি ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে তারা এই কাজিটি করে, যা মূলত অনলাইন গেমাররা ব্যবহার করে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের এই বিনামূল্যের মেসেজিং অ্যাপটির নাম ডিসকর্ড।

অনলাইন এই সমাবেশটি আয়োজন করে জেন জি গ্রুপ ‘হামি নেপাল’, যাতে সদস্য সংখ্যা ১ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি।

‘হামি নেপাল’ প্ল্যাটফর্মটিতে ‘ইয়ুথ অ্যাগেইনস্ট করাপশন’ নামে একটি চ্যানেল খোলা হয়, সেখানে দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনায় অংশ নেয় ১০ হাজারের বেশি ব্যক্তি। তাদের মধ্যে প্রবাসীও অনেকেও ছিল।

অনেকে যুক্ত হওয়ার চেষ্টা করেও পারেনি বলে ইউটিউবে লাইভ স্ট্রিমিং হয় এই আলোচনার, সেখানে ৬ হাজারের বেশি ব্যক্তি তা দেখেছিল।

ঘণ্টাব্যাপী এই বিতর্কে বিক্ষোভকারীদের নেতাদের কাছে কঠিন সব প্রশ্ন ছিল এবং সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী প্রার্থীদের সঙ্গে রিয়েল-টাইমে যোগাযোগের চেষ্টাও চলে।

এরপর অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে নেপালকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কিকে বেছে নেওয়া হয়। নেপালের প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি ৭৩ বছর বয়সী সুশীলা শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, নেপালের এই পরিবর্তন কেবল শুরু। বিক্ষোভকারীরা যেভাবে দেশের নেতা বেছে নিয়েছে, তা থেকে বোঝা যায় যে নতুন এক ধরনের গণতন্ত্রের পরীক্ষা চলছে, যার মধ্যে ঝুঁকি যেমন আছে, তেমনই আছে সফলতার সম্ভাবনা।

‘আমরা সবাই মিলে সমাধানের চেষ্টা করছি’

ডিসকর্ড বিতর্কের সমর্থকরা বলছেন যে, এটি রাজনীতিকদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকের মাধ্যমে নেতা নির্বাচনের প্রচলিত পদ্ধতির বিরুদ্ধে একটি বিপ্লবী পদক্ষেপ। কারণ আগের পদ্ধতিতে স্বচ্ছতার অভাব ছিল, যা এখানে ছিল না।

ডিসকর্ড ব্যবহারকারীদের টেক্সট, ভয়েস কল, ভিডিও কল ও মিডিয়া শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে সংযুক্ত হওয়ার সুযোগ দেয়। এটি সরাসরি মেসেজের মাধ্যমে কমিউনিটি স্পেসগুলোতেও যোগাযোগের সুযোগ করে দেয়।

নেপালের নিয়ম না মানার কারণ দেখিয়ে ওলি সরকার আরও দুই ডজন জনপ্রিয় অ্যাপ যেমন ফেইসবুক, ইনস্টাগ্রাম, এক্স ও ইউটিউবের সঙ্গে ডিসকর্ডকেও নিষিদ্ধ করেছিল।

এই নিষেধাজ্ঞাই প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির সরকারের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী গণবিক্ষোভ তৈরি করে। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল দুর্নীতি এবং স্বজনপ্রীতি নিয়ে অসন্তোষ।

গত মঙ্গলবার হাজার হাজার তরুণ রাস্তায় নেমে আসে। সরকারি ভবন, পার্লামেন্ট এবং শীর্ষ রাজনীতিকদের বাড়িতে আগুন দেয় এবং ওলিকে পদত্যাগে বাধ্য করে।

শুক্রবার প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাউডেল পার্লামেন্ট ভেঙে দেন এবং মার্চ মাসে সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণা দেন।

মার্চ মাস পর্যন্ত কে দেশের নেতৃত্ব দেবে, তা ঠিক করতেই নেপালের জেন জি বিক্ষোভকারীরা ডিসকর্ডে মিলিত হয়। বিক্ষোভের মুখে পদত্যগের আগে ওলির সরকার সোশাল মিডিয়া অ্যাপগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছিল।

রিয়েল-টাইমে মোবাইল স্ক্রিনে ভার্চুয়াল ভোটের মাধ্যমে জেন জিরা অন্তর্বর্তীকালীন নেতা ঠিক করে, যা ডিজিটাল গণতন্ত্রের একটি বৈপ্লবিক পরীক্ষা হিসাবে দেখা হচ্ছে।

সেই আলোচনায় যোগ দেওয়া ২৫ বছর বয়সী আইনের শিক্ষার্থী রেজিনা বসনেট বলেন, “মানুষ ঠেকে ঠেকেই শেখে। আমাদের অনেকেই জানতাম না যে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া বা একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা বলতে কী বোঝায়। তাই আমরা প্রশ্ন করছিলাম, বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে উত্তরও নিচ্ছিলাম এবং একই সঙ্গে সমাধান বের করার চেষ্টা করছিলাম।”

আলোচনায় নেপালের নানা সমস্যার বিষয়গুলো উঠে আসে। যেমন কর্মসংস্থান, পুলিশ এবং বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কার, পাশাপাশি সরকারি স্বাস্থ্যসেবার অবস্থা। তবে মডারেটররা মূল প্রশ্ন অর্থাৎ নেতা নির্বাচনের দিকেই সবার মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করেন।

অনেক আলোচনার পর চূড়ান্ত ভোটের জন্য পাঁচটি নামের সংক্ষিপ্ত তালিকা করা হয়েছিল। তারা হলেন- ধরান শহরের মেয়র, সমাজকর্মী হারকা সাম্পাং; জনপ্রিয় সমাজকর্মী মহাবীর পুন, যিনি ন্যাশনাল ইনোভেশন সেন্টার পরিচালনা করেন; নির্দলীয় রাজনীতিক সাগর ঢাকাল, যিনি ২০২২ সালে নেপালি কংগ্রেস নেতা শের বাহাদুর দেউবার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন; আইনজীবী রাষ্ট্রা বিমোচন তিমালসিনা, যিনি তার ইউটিউব চ্যানেলে ‘র‍্যান্ডম নেপালি’ নামে পরিচিত; এবং বিচারপতি সুশীলা কার্কি।

কার্কি ২০১৬ থেকে ২০১৭ সালে প্রধান বিচারপতি থাকাকালীন বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষায় সরব ছিলেন। ২০১২ সালে তিনি এবং আরেকজন বিচারক তৎকালীন একজন মন্ত্রীকে দুর্নীতির দায়ে কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। ২০১৭ সালে সরকার তাকে প্রধান বিচারপতি পদ থেকে সরানোর চেষ্টা করেছিল, তবে তা ব্যর্থ হয়।

তার এই ইতিহাসই ডিসকর্ড ভোটারদের চোখে তার গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়েছিল।

শুক্রবার নেপালের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথনেন সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি। ছবি : সংগৃহীত
নেপালের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শুক্রবার শপথ নেন সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি।

প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর জাতির উদ্দেশে ভাষণে কার্কি বলেন, “আমি এখানে আসতে চাইনি। আমার নাম এসেছে রাস্তা থেকে।”

নিজের কোনও রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ না থাকার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা কোনও পরিস্থিতিতেই ছয় মাসের বেশি এখানে থাকব না। আমরা আমাদের দায়িত্ব সম্পন্ন করে পরবর্তী পার্লামেন্ট এবং মন্ত্রীদের হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।”

ডিসকর্ড বিতর্কে অংশগ্রহণকারী অনেকেই জনপ্রিয় র‍্যাপার থেকে মেয়র নির্বাচিত হওয়া বালেন শাহকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে চেয়েছিলেন। তবে ‘হামি নেপাল’র মডারেটররা জানান যে তারা বালেন শাহর কাছে পৌঁছাতে পারেননি। পরে বালেন শাহ সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে কার্কির প্রতি সমর্থন জানান।

নেপালের অনেকেই বিশ্বাস করেন, আগামী ৫ মার্চের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রতিদ্বন্দ্বী হবেন বালেন শাহ।

‘অনেক বেশি সমতাপূর্ণ’

ডিসকর্ড আলোচনায় থাকা আয়ুশ বাস্যাল তাদের বেছে পদ্ধতিকে বলছেন ‘ট্রায়াল অ্যান্ড এরর’র ভিত্তিতে বোঝাপড়ার একটি ভালো প্রক্রিয়া হিসাবে।

তার মতে, অনেকের মত ধারণ করার জন্য এটি স্বতঃস্ফূর্ত একটি সাধারণ ক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল।

ডিসকর্ড ফোরামে কেউ কেউ নেপালে রাজতন্ত্র ফিরিয়ে আনার কথাও বলেছিল, জানান ত্রিভুবন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী আয়ুশ।

নেপালে বিক্ষোভের আগুনে পতন হলো সরকারের, পুড়ল পার্লামেন্ট ভবন।
নেপালে বিক্ষোভের আগুনে পতন হলো সরকারের, পুড়ল পার্লামেন্ট ভবন।

তাদের অনুপ্রবেশকারী হিসাবে চিহ্নিত করে তিনি বলেন, পাশাপাশি একটি রাজতন্ত্রপন্থী ডিসকর্ড গ্রুপও সচল ছিল। তাদের কেউ কেউ এখানে তাদের চ্যাটের স্ক্রিনশট শেয়ার করত।

মুক্ত এই আলোচনায় জেন জি নেতাদের উদ্যোগের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছিল।

একজন বলেছিলেন, “আপনারা এজেন্ডা তৈরি করেছেন, কিন্তু আমরা আপনাদের চিনি না। আমরা কীভাবে আপনাদের বিশ্বাস করতে পারি, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।”

‘এটাই ভবিষ্যৎ’

প্রণয় রানা একজন সাংবাদিক। ‘কালাম উইকলি’ নামে একটি জনপ্রিয় নিউজলেটার প্রকাশ করেন তিনি, যার ৪ হাজারের বেশি গ্রাহক রয়েছে। তিনি মনে করেন, জেন জির নেতৃত্বে চলা এই আন্দোলনের জন্য ডিসকর্ড ব্যবহার করা সঠিক ছিল, যদিও এতে কিছু চ্যালেঞ্জও ছিল।

তিনি বলেন, “শারীরিক উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত যে কোনও ফোরামের তুলনায় এটি অনেক বেশি সমতাপূর্ণ। যেহেতু এটি ভার্চুয়াল এবং বেনামী, তাই মানুষ ভয় ছাড়াই তাদের যা খুশি, তা বলতে পারে।”

এর চ্যালেঞ্জের বিষয়গেুলো নিয়ে প্রণয় বলেন, যে কেউ সহজেই এখানে ঢুকে পড়তে পারে, আবার একাধিক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে মতামত এবং ভোটও প্রভাবিত করতে পারে।

গুজব এবং ভুয়া তথ্য থেকে এই আন্দোলনকে রক্ষায় জেন জি নেতারা তাদের ডিসকর্ড চ্যানেলে ‘ফ্যাক্ট চেক; নামে একটি সাব-রুমও চালু করেছিল।

তারা যে বিষয়গুলো ভুয়া হিসাবে প্রমাণ করেছিল, তার মধ্যে ছিল একটি ছবি, যেখানে জেন জি নেতা সুদান গুরুংকে ক্ষমতাচ্যুত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরজু রানা দেউবার সঙ্গে দেখা যাচ্ছিল। ছবিটি এই সময়কর বলে দাবি করা হলেও তারা প্রমাণ করেছিল যে এটি ছয় মাস আগের। গুরুং সেই মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন একজন নেপালি শিক্ষার্থীর জন্য ন্যায়বিচারের দাবি জানাতে।

গুরুং নেপালি নাগরিক নন, বরং তিনি ভারতের দার্জিলিংয়ের বাসিন্দা বলেও প্রচার হয়েছিল। ডিসকর্ড আলোচনায় তার নেপালি পরিচয়পত্র দেখিয়ে সেই দাবি মিথ্য বলে প্রমাণ করা হয়।

জেন জি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সাবেক রাজা জ্ঞানেন্দ্রের একটি ভিডিও যে পুরনো, তাও দেখিয়ে দেওয়া হয় ফ্যাক্ট চেক করে।

সাংবাদিক প্রণয় রানা বলেন, বিক্ষোভের সংগঠকরা প্রযুক্তির ভালো ব্যবহার করেছেন, যা জেন জি সবচেয়ে ভালো পারে।

“এটাই ভবিষ্যৎ। আমরা কি মাইকের সামনে মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দেওয়ার দিনগুলোতে থাকব, নাকি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অবাধে কথা বলতে অভ্যস্ত হব, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া সময় এসেছে।”

তিনি আরও বলেন, “জেন জিরা অপরিপক্ক। সেই স্বাভাবিক। তারা তরুণ, কিন্তু তারা শেখার আগ্রহ দেখিয়েছে এবং এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল নেপালের সাবেক সভাপতি পদ্মিনী প্রধানং বলেন, “এই তরুণরা ধনতন্ত্রে এসে কেবল অভিজাতদের শাসন দেখেছে। তারা কোনোদিন সত্যিকারের গণতন্ত্র বা সুশাসন দেখেনি।”

জেন জি নেতাদের এমন কিছু নিয়ে কাজ করার অনুরোধ করেন তিনি, যেখানে পূর্ববর্তী সরকারগুলো চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। যেমন স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতাএবং সুশাসন।

কিন্তু সবকিছু নিয়ে আইনের শিক্ষার্থী বসনেটের সংশয় থেকেই যাচ্ছে।

তিনি বলেন, “প্রথম দিকে এটি একটি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ ছিল। পরিবেশ ছিল উৎসবমুখর। কিন্তু পরবর্তীকালে রাষ্ট্রের নির্দেশে যে বলপ্রয়োগ হয়েছে, তা ছিল পীড়াদায়ক।

“তার মধ্যে বেসরকারি ও সরকারি সম্পত্তি যেভাবে আগুন দেওয়া হলো, এরপর এখন সরকার গঠন হচ্ছে সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে। সব কিছুই বিভ্রান্তিকর মনে হচ্ছে।”

“অনেক কিছুই আড়ালে থেকে যাচ্ছে, এটাই আমাকে চিন্তিত করছে,” বলেন বসনেট।

তথ্যসূত্র : আল জাজিরা

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত