অভ্যুত্থানকারী তরুণদের উদ্যোগে গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আত্মপ্রকাশের এক দিন পর এর ২১৬ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা হয়েছে।
শুক্রবার ঢাকার মানিক মিয়া এভিনিউতে সমাবেশের মধ্য দিয়ে নতুন এই দলের যাত্রা শুরু হয়। সেদিন আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব আখতার হোসেনসহ কমিটির আংশিক তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল।
শনিবার মধ্য রাতে দলের ফেইসবুক পাতায় সদস্য সচিব আখতারের স্বাক্ষরে কমিটির ২১৬ জনের নাম প্রকাশ করে বলা হয়, এই কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি আগামী এক বছরের জন্য অনুমোদিত হলো।
এই কমিটি দলের গঠনতন্ত্র ও ইশতেহার প্রণয়ন, কর্মসূচি বাস্তবায়ন, সাংগঠনিক বিস্তার কার্যক্রম পরিচালনা করবে, বলেছেন আখতার।
কমিটিতে আহ্বায়ক নাহিদের সঙ্গে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রয়েছেন দুজন, যুগ্ম আহ্বায়ক রয়েছেন ১৬ জন।
সদস্য সচিব আখতারের সঙ্গে সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব রয়েছেন দুজন। যুগ্ম সদস্য সচিব রয়েছেন ৩৩ জন।
উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের সঙ্গে যুগ্ম মুখ্য সংগঠক রয়েছেন ৯ জন। সংগঠক রয়েছেন ১৮ জন।
দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহর সঙ্গে যুগ্ম মুখ্য সংগঠক রয়েছেন ৭ জন। সংগঠক রয়েছেন ২৪ জন।
মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর সঙ্গে সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক রয়েছেন আব্দুল হান্নান মাসউদ। যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক রয়েছেন ২৩ জন।
আহ্বায়ক কমিটিতে সদস্য রয়েছেন মোট ৭৬ জন।
শেখ হাসিনা সরকার উৎখাতে জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে নতুন এই দল গঠিত হয়েছে।
জাতীয় নাগরিক পার্টি ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ গঠনে গণপরিষদের মাধ্যমে নতুন সংবিধান প্রণয়নের লক্ষ্য ঠিক করেছে।
পূর্ণাঙ্গ কমিটির প্রকাশের সঙ্গে আখতার বলেন, “ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে বাংলাদেশের নাগরিকরা মুক্ত হয়েছে। তবে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত এখনও বাস্তবায়ন হয়নি।
“এমন প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের রাষ্ট্র কাঠামো থেকে ফ্যাসিবাদের সকল উপাদান ও কাঠামোকে বিলোপ করতে এবং জনগণের মুক্তির আখাঙ্ক্ষাকে বাস্তবে রূপ দিতে জাতীয় নাগরিক দলের আত্মপ্রকাশ।”



