Beta
সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
Beta
সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

হাত দিয়ে গোল করে ক্ষমা চাইলেন নেইমার

neymar-handball
[publishpress_authors_box]

ডিয়েগো ম্যারাডোনার হাত দিয়ে গোল করার কথা কে না জানে। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার ওই গোলকে ডাকা হয় ‘হ্যান্ড অব গড’ বলে। নেইমার কি ম্যারাডোনার সেই স্মৃতিই ফেরাতে চাইলেন? সান্তোসের জার্সিতে তিনিও যে হাত দিয়ে গোল করার চেষ্টা করলেন। ম্যারাডোনার ‘প্রতারণা’ সেদিন রেফারির চোখ এড়িয়ে গেলেও নেইমারের হাত দিয়ে গোলটা খালি চোখেই স্পষ্ট ধরা পড়ে। শাস্তি হিসেবে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।

সুতরাং ‘ম্যারাডোনা’ হয়ে ওঠা হয়নি নেইমারের। বরং ‘ভিলেন’ বনে গেলেন সান্তোস-বোতাফোগো ম্যাচে। তার লাল কার্ডে ১০ জনে পরিণত হয়েই যে ম্যাচটি হেরেছে সান্তোস। এ কারণে সমর্থক ও সতীর্থদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।

ব্রাজিলিয়ান সিরি ‘আ’তে বোতাফোগের কাছে ১-০ গোলে হেরেছে সান্তোস। ৭৫ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচটি গোলশূন্য ছিল। কিন্তু ওই সময় হাত দিয়ে গোল করে বসেন নেইমার। আগেই হলুদ কার্ড দেখা এই ফরোয়ার্ড দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন।

সান্তোসের একটি আক্রমণ প্রতিহত হয়েছিল বোতাফোগোর গোলকিপারের হাতে। ফিরতি বল ক্লিয়ার করার চেষ্টা করেন বোতাফোগোর এক ডিফেন্ডার। পা দিয়ে বলের নাগাল পাবেন না বুঝে গিয়ে নেইমার হাত বাড়িয়ে দেন। এবং হাত দিয়েই বল জালে জড়ান। ইচ্ছাকৃতভাবে বল হাতে লাগানোর শাস্তি হিসেবে দেখেন দ্বিতীয় হলুদ কার্ড।

নেইমার মাঠ ছাড়ার কিছুক্ষণ পরই জয়সূচক গোলটি পায় বোতাফোগো। ওই সময় হাত দিয়ে বল ধরার বোকামি না করলে হয়তো ম্যাচটি হারতে হতো না, ম্যাচ শেষে ব্যাপারটি বুঝতে পেরেছেন নেইমার। সেকারণেই সমর্থক ও সতীর্থদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে নেইমার লিখেছেন, “গোল করতে মরিয়া হয়ে উঠলে কখনও কখনও আমরা ভুল করে বসি। সতীর্থ ও ভক্তদের কাছে আমি ক্ষমা চাইছি। ক্ষমা করে দিন। আমি লাল কার্ড না দেখলে ৩ পয়েন্ট পেতাম। এই ৩ পয়েন্ট আমার হিসাবে জমা রাখা হোক।”

আরও পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত