গণআন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারের পাঁচ সদস্যের বাড়ি ও জমি জব্দের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনে বুধবার ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দেয়।
জব্দ হওয়া সম্পত্তির মধ্যে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের গুলশানের বারিধারার ৪ কোটি ৯৮ লাখ টাকার বাড়ি রয়েছে। খুলনার দিঘলিয়ায় শেখ রেহানা, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে থাকা ৬১ লাখ ৮৭ হাজার টাকার ৮৭ দশমিক ৭০ শতাংশ জমি রয়েছে।
একই জায়গায় রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব ববি এবং মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকের ৪১ লাখ ২৪ হাজার ৫০০ টাকার ৮৭ দশমিক ৭০ শতাংশ জমি রয়েছে। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শেখ রেহানার নামে থাকা ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকার ১৯ শতাংশ জমি জব্দের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
দুদকের পক্ষে উপপরিচালক মনিরুল ইসলাম বাড়ি ও জমি জব্দ চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের স্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা চলছে। মামলা নিস্পত্তির আগে সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে অনুসন্ধানে ক্ষতির সম্ভবনা রয়েছে। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে অনুসন্ধান শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের স্থাবর সম্পদ/সম্পত্তির মালিকানা পরিবর্তন/স্থানান্তর বা অন্য কোনও প্রক্রিয়ায় হস্তান্তর করতে না পারেন এজন্য সম্পদ জব্দ করা প্রয়োজন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর তার পরিবারের দুর্নীতি অনুসন্ধানে নামে দুদক। তার ধারাবাহিকতায় আদালতে আবেদন করা হয়েছিল।
পুতুল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক পদে দায়িত্ব পালনে ভারতে থাকছেন। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনাও দেশ ছেড়ে ভারতে গিয়ে উঠেছেন।
শেখ হাসিনার সঙ্গে তার বোন শেখ রেহানাও ভারতে গিয়েছিলেন ৫ আগস্ট। সেখান থেকে তিনি লন্ডন চলে যান, যেখানে তার মেয়ে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট সদস্য টিউলিপ সিদ্দিক থাকেন।
এর আগে মঙ্গলবার শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের ঢাকার গুলশানের একটি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ আসে আদালত থেকে। সেই সঙ্গে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা তারেক আহমেদ সিদ্দিকের ওপর।