Beta
সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
Beta
সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

পাকিস্তানের ট্রেনটি ৩০ ঘণ্টা পর মুক্ত, নিহত ২১ যাত্রী ও ৩৩ বিদ্রোহী      

Pakistan's train freed after 30 hours; 21 passengers and 33 rebels killed
[publishpress_authors_box]

বেলুচিস্তানে ছিনতাই হওয়া ট্রেন টানা ৩০ ঘণ্টা ধরে অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহীদের হাত থেকে মুক্ত করতে পেরেছে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী। তবে ট্রেনটির ২১ জন যাত্রীকে বাঁচানো যায়নি। অভিযান শুরুর আগেই তাদের হত্যা করা হয়।

এছাড়া সামরিক অভিযান চলাকালে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের বন্দুকযুদ্ধে ৪ সেনা প্রাণ হারান। বাহিনীর হাতে মৃত্যু হয় আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীসহ ৩৩ জন বিদ্রোহীর।

পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বুধবার এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।

মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টার দিকে বেলুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী কোয়েটা থেকে সাড়ে চারশো যাত্রী নয়টি বগিতে নিয়ে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের রাজধানী পেশোয়ারের উদ্দেশে রওনা দেয় জাফর এক্সপ্রেস।

দুপুর ১টার দিকে বেলুচিস্তানের কাচি জেলার মুশকাফ গ্রামের কাছে পনির ও পেশি রেল স্টেশনের মাঝে এক টানেলের ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় ট্রেনটিতে হামলা চালায় স্বাধীনতাকামী সংগঠন বেলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)। তারা ট্রেনটি লক্ষ্য করে রকেট ও গুলি ছোড়ে।

একপর্যায়ে ট্রেনটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে যাত্রীদের জিম্মি করে বিএলএর সদস্যরা।

ট্রেন ছিনতাইয়ের কারণ হিসেবে তারা জানায়, রাজনৈতিক বন্দি ও সেনাবাহিনীর হাতে অপহৃত বেলুচদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মুক্ত করতেই এই পরিকল্পনা নেন তারা। তাদের দাবি পূরণ না হলে পুরো ট্রেন ধ্বংস করে দেওয়া হবে।

জাফর এক্সপ্রেস ছিনতাই হওয়ার পর বিদ্রোহীদের হাত থেকে এটি মুক্ত করতে ও জিম্মিদের উদ্ধারে অভিযানে নামে নিরাপত্তা বাহিনী। মঙ্গলবার রাতে দেড়শোর বেশি জিম্মিকে মুক্ত করে তারা। পরদিন মুক্তি পায় বাকি জিম্মিরা।

অভিযান শেষে বুধবার রাতে পাকিস্তানের এক নিউজ চ্যানেলকে দেশটির আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানান, জিম্মি হওয়া ট্রেন যাত্রীদের উদ্ধারে পরিচালিত অভিযানে অংশ নেয় বিমান বাহিনী, সেনাবাহিনী, স্পেশাল সার্ভিসেস গ্রুপ (এসএসজি) ও ফ্রন্টিয়ার কর্পস (এফসি)।

জিম্মি দশা থেকে উদ্ধার ট্রেনযাত্রীরা।

তিনি বলেন, “জাফর এক্সপ্রেস ছিনতাই করা সব সন্ত্রাসীকে নরকে পাঠানো হয়েছে। অভিযান চলাকালে কোনও যাত্রী ক্ষতিগ্রস্ত হননি।

“তবে অভিযান শুরুর আগে সন্ত্রাসীদের হাতে ২১ জন যাত্রী শহীদ হন।”

অভিযান সম্পর্কে আইএসপিআরের মহাপরিচালক বলেন, “জিম্মি করা শিশু, নারীসহ অন্যান্যদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করে সন্ত্রাসীরা।

“অভিযানে আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীদের হত্যা করে নিরাপত্তা বাহিনীর স্নাইপাররা।”

বিএলএর সদস্যরা সামরিক অভিযানের সময় স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে আফগানিস্তানে অবস্থানরত তাদের সহায়তাকারী ও মূল পরিকল্পনাকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল বলে জানান এই সেনা কর্মকর্তা।

তথ্যসূত্র : জিও নিউজ, ডন   

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত