ভারতের লোকসভার বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্রসহ বেশ কয়েকজনকে আটকের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ছেড়ে দিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) বাতিল দাবিতে সোমবার সকালে সংসদ চত্বর থেকে নির্বাচন কমিশন অভিমুখে মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলেন তারা। মিছিল নিয়ে কিছুটা এগোতেই বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাদের আটক করে দিল্লির পার্লামেন্ট স্ট্রিট থানা পুলিশ। বিকাল ৩টার দিকে তাদের সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বিরোধী সংসদ সদস্যদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় তাদেরকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোটের ডাকা আন্দোলন এদিন রাস্তায় সংঘর্ষের রূপ নেয় বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। এই জোটের অভিযোগ, নির্বাচনের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ভোট নিয়ে চক্রান্তে অংশ নেয় নির্বাচন প্যানেল।
শুরুতে নির্বাচন কমিশন থেকে কিছুটা দূরে সংসদ ভবনের বাইরে আন্দোলন শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। সেখানে প্ল্যাকার্ডে প্ল্যাকার্ডে বক্তব্য তুলে ধরেন নেতারা। প্রায় প্রতিটি পোস্টারেই দেখা যায় ‘ভোট চুরি’ বন্ধ করার দাবি। ব্যানারে লেখা ছিল ‘চুপি চুপি ভোটের কারচুপি।’ তারা স্লোগান দেন, ‘মোদী সরকার হায় হায়’, ‘এসআইআর বাতিল করো’।
এরপর ব্যারিকেড দিয়ে পুলিশ তাদের বাধা দিলে বিক্ষোভকারীরা তা ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেন। লোকসভায় বিরোধীদলের সদস্যরা সেখানেই অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। সে সময়ই রাহুল গান্ধীসহ কয়েকজনকে আটক করা হয়।
আটকের পর রাহুল গান্ধী বলেন, “এই লড়াই রাজনৈতিক নয়, এটি সংবিধান বাঁচানোর লড়াই। এক ব্যক্তি এক ভোটের লড়াই। তাই আমরা একটি পরিষ্কার ভোটার তালিকা চাই। আসলে আমরা কথা বলতে পারি না, এটাই সত্যি।”
এরপরই মিছিল থেকে রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, অখিলেশ যাদব, মহুয়া মৈত্রসহ আরও অনেককে আটক করে পুলিশ।
আনন্দবাজার জানিয়েছে, ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) সংক্রান্ত অভিযোগে সোমবার দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশন দপ্তর ঘেরাওয়ের কর্মসূচি দেয় ভারতের বিরোধী দলগুলোর জোট ইন্ডিয়া জোট। বিরোধী দল বলছে, এসআইআরের কারণে ভোটার তালিকা থেকে অনেক নাম বাদ পড়েছে। এসআইআর বাতিলের দাবির এ কর্মসূচিতেই সংসদ ভবন থেকে প্রায় ৩০০ জন সাংসদের মিছিল শুরু হওয়ার পর রাজপথ ধরে কিছুটা এগোতেই তা আটকে দেয় পুলিশ।
এর আগে রবিবার দিল্লি পুলিশ জানিয়েছিল, এই কর্মসূচির জন্য কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। যদিও বিরোধী সাংসদদের কর্মসূচির কথা জেনে রাত থেকেই নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয় সংলগ্ন এলাকা।