কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলা ও অপারেশন সিঁদুরের রেশ ধরে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলাননি ভারতীয়রা। ম্যাচ শেষে সূর্যকুমার যাদব ও শিবম দুবে সোজা চলে যান মাঠ ছেড়ে। এ নিয়ে সমালোচনা চলছে যথেষ্ট। এরই মাঝে জানা গেছে, শুধু পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা নন মাঠে থাকা দুই আম্পায়ারের সঙ্গেও হাত মেলাননি সূর্যকুমাররা।
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ পরিচালনা করেছেন বাংলাদেশের আম্পায়ার মাসুদুর রহমান মুকুল ও শ্রীলঙ্কার রুচিরা পাল্লিয়াগুরুগে। খেলা শেষে সালমান আলী আগা বা দুই আম্পায়ারের সঙ্গে হাত না মিলিয়ে মাঠ ছেড়ে যান ভারতীয় দুই ব্যাটার। এরপর ড্রেসিংরুমের দরজাও লাগিয়ে দেন তারা।
ম্যাচ শেষে সাধারণত দু’দলের ক্রিকেটাররা একে অপরের সঙ্গে হাত মেলান। ম্যাচের আম্পায়ারদের সঙ্গেও হাত মেলান তারা। দুই দলের কোচ, সাপোর্ট স্টাফরাও মাঠে নেমে একে অপরের সঙ্গে হাত মেলান। এটাই খেলোয়াড়ি মানসিকতা। কিন্তু ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে সেই ছবি উধাও ছিল।
এ নিয়ে ভারতীয়দের সমালোচনা করেছেন পাকিস্তানি সাবেক দুই তারকা শোয়েব আখতার ও রশিদ লতিফ। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ভারতীয় ১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী তারকা সৈয়দ কিরমানিও। টাইমস অব ইন্ডিয়াকে তিনি বললেন, ‘‘রাজনীতি গোটা বিশ্ব জুড়ে চলছে। রাজনীতি সব সময় থাকবে। কিন্তু খেলা সম্প্রীতি ও একতা আনে। আমার মতে রাজনীতি ও খেলাকে গুলিয়ে ফেলা উচিত নয়। দুটো আলাদা বিষয়।’’
এ নিয়ে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানিয়েছে পিসিবি। ম্যাচ রেফারি পাইক্রফটকে সরিয়ে নেওয়ার আবেদনও জানিয়েছে তারা। নাহলে পাকিস্তান আর এশিয়া কাপের বাকি ম্যাচ খেলবে না বলে জানিয়েছে জিও নিউজ।
ক্রিকেটের আইনে অবশ্য খেলা শেষে হাত না মেলানোর জন্য শাস্তির বিধান নেই। হাত মেলানো নিছক সৌজন্য। তবে হাত না মেলানোর কোনো শাস্তির কথা আচরণবিধিতে নেই। তাই এসিসি বা আইসিসি চাইলেও শাস্তি দিতে পারবে না ভারতীয়দের। সর্বোচ্চ মৃদু তিরস্কারই করতে পারবে তারা।