Beta
বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট, ২০২৫

হামজাকে ‘ভালোবাসি’ বলা হলো না নরসিংদীর যুবকদের

হামজা চৌধুরীর সঙ্গে দেখা হলো না যুবকদের।
হামজা চৌধুরীর সঙ্গে দেখা হলো না যুবকদের।
[publishpress_authors_box]

সাত সকালে মুষলধারে বৃষ্টির জের টের পাওয়া গেল হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গিয়ে। প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের স্বাগত জানাতে হাজারো স্বজন অপেক্ষায় বিমানবন্দরের টার্মিনালে। প্রিয়জনের শুভেচ্ছা জানাতে কেউ এনেছেন রজনীগন্ধা। কারো হাতে গোলাপের তোড়া।

যাত্রীদের অপেক্ষাগার পেরিয়ে পেছন দিকে হাটলেই ভিআইপি টার্মিনাল। যেখান দিয়ে সাধারণত দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বরা এসে দেশের মাটিতে পা রাখেন। সেই ভিআইপি টার্মিনালে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হামজা দেওয়ান চৌধুরীর জন্য অপেক্ষা গণমাধ্যমকর্মীদের।

সোমবার সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে হামজাকে বহনকারী বিমান ঢাকা বিমানবন্দরে পা রাখেন। গত মার্চে সিলেটে যখন হামজা এসেছিলেন ওসমানী বিমানবন্দরে ছিল উপচে পড়া ভীড়। কিন্তু ঢাকায় ঠিক উল্টো দৃশ্য।

হামজাকে বরণ করেন তার বাবা মা ও বাফুফের কর্মকর্তারা।

তবে সেখানে কিছু অতি উৎসাহী হামজা ফ্যানদের দেখা মিলল। রবিবার গভীর রাতে নরসিংদীর মনোহরদী থেকে এসেছেন ১২ জন যুবক। সোমবার সকালে বিমাবন্দরে হাজির তারা।

এদেরই একজন রাকিব হোসেন বলেন, “হামজার খেলা টেলিভিশনে দেখেছি। এবার বাস্তবে দেখার জন্য এসেছি। গত রাতে আমরা ১২ জনের একটা দল এখানে এসেছি। অনেক অপেক্ষা করেছি হামজা ভাইকে একবার দেখব। তার সঙ্গে দেখা হলে বলব, আমরা আপনাকে অনেক ভালোবাসি।”

কিন্তু সেই ভালোবাসার কথা আর জানানো হয়ে ওঠেনি এই যুবাদের। প্রথমে বাফুফে থেকে জানানো হয় সকাল সাড়ে দশটায় হামজার বহনকারী বিমান নামবে। কিন্তু কিছুটা দেরিতে ১০টা ৫৫ মিনিটে নামে বিমান।

কিছুক্ষণ পর হামজাকে নিয়ে ভিআইপি টার্মিনাল দিয়ে এগিয়ে আসেন জাতীয় দলের ম্যানেজার ইকবাল হোসেন। কিন্তু কি ভেবে যেন হঠাৎ দূরেই দাঁড়িয়ে পড়েন তারা।

ঘিয়ে রঙের জ্যাকেট ও কালো থ্রি কোয়ার্টার পরা হামজাও দাঁড়িয়ে পড়েন। ততক্ষণে টেলিভিশন ক্যামেরাসহ অন্য গণমাধ্যমকর্মীদের তাড়াহুড়ো হামজার ছবি নেওয়ার জন্য।

কিন্তু সেই সুযোগ আর দিলেন কোথায় হামজা? তাকে নিয়ে আবারও বিমানবন্দরের ভেতরে ঢুকলেন ইকবাল। ভিআইপি টার্মিনালের পাশের পার্কিংয়ের সামনে ততক্ষণে প্রচন্ড ভীড় মিডিয়া কর্মীদের। বিমানবন্দরের দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অনুরোধ করেন যে বিশৃঙ্খলা না হয়।

বিমানবন্দরে ছিল গণমাধ্যমকর্মীদের ভীড়। সব হামজার জন্য।

অনেকক্ষণ অপেক্ষার পর জানা গেল, হামজার লাগেজ পেতে একটু দেরি হচ্ছে। যে কারণে হামজার বের হতেও দেরি হবে। আবারও অপেক্ষার পালা সাংবাদিকদের।

কিন্তু হামজা হয়তো কথা বলতে আগ্রহ দেখালেও বাফুফের পক্ষ থেকে কড়াকড়ি। অবশেষে প্রায় ২০ মিনিট বাদে হামজাকে বহনকারী গাড়ি সাঁই সাঁই করে বেরিয়ে গেল বিমানবন্দর থেকে। এত কড়াকড়ির মধ্যেও এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন বাংলাদেশের সামনে দুটো ম্যাচে ভুটান ও সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে জেতার সম্ভাবনা কেমন। উত্তরে হামজা বলেন, “ভেরি গুড চান্স।”

বাকি কথা আর শোনা গেল না। হামজার গাড়ির পেছনে একটা ভালো ছবি ও একটু খানি রিলসের ভিডিও বানানোর আশায় ইউটিউবারদেরও দৌড়াতে দেখা গেল। কিন্তু সবাইকে ফাঁকি দিয়ে হামজার গাড়িটি চলে গেল হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের উদ্দেশ্যে। যেখানে তাকে স্বাগত জানানোর অপেক্ষায় জামাল ভূঁইয়ারা।

আরও পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত