পিএসজিতে ছুটিয়েছেন গোলের ফোয়ারা। ২০১৮-১৯ মৌসুম থেকে টানা ছয়বার কিলিয়ান এমবাপ্পে জিতেছেন ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার। হয়েছেন ২০২২ বিশ্বকাপের সেরা স্কোরারও। তবে কখনও ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বুট জেতা হয়নি ফ্রান্সের এই মহাতারকার।
চ্যাম্পিয়নস লিগের পাশাপাশি ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বুটের স্বপ্নে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিয়েছেন এমবাপ্পে। প্রথম মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগের স্বপ্ন পূরণ হয়নি। রিয়াল বিদায় নিয়েছে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে। তবে গোল্ডেন বুট জয়ের দুয়ারেই আছেন এমবাপ্পে।
ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের সর্বোচ্চ গোলদাতা পয়েন্টের ভিত্তিতে পান এই পুরস্কার। মর্যাদার পাঁচ লিগে (ইংল্যান্ড, স্পেন, ইতালি, জার্মানি ও ফ্রান্স) প্রতিটা গোলের জন্য পয়েন্ট ২। আর পিছিয়ে থাকা লিগগুলোর পয়েন্ট ১.৫ থেকে ১। এবার লা লিগায় সর্বোচ্চ ২৯ গোল এমবাপ্পের। লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতার পিচিচি অ্যাওয়ার্ড পাওয়াটা সময়ের অপেক্ষা তারা জন্য। তবে ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বুটের প্রতিদ্বন্দ্বী আছেন অন্তত দুজন।
স্পোর্টিং লিসবনের ভিক্টর গিউকেরেস পর্তুগিজ লিগে করেছেন ৩৯ গোল। এই লিগে গোলের পয়েন্ট ১.৫। তাই ভিক্টরের পয়েন্ট ৫৮.৫। লা লিগায় ২৯ গোল করা এমবাপ্পের পয়েন্ট ৫৮। শেষ ম্যাচে সোসিয়েদাদের বিপক্ষে লক্ষ্যভেদ করতে পারলে তার পয়েন্ট হবে ৬০।
ভিক্টরের ম্যাচ শেষ হয়ে যাওয়ায় এমবাপ্পের সামনে দারুণ সুযোগ ক্যারিয়ারে প্রথমবার গোল্ডেন বুট জেতার। এমবাপ্পের প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারেন লিভারপুলের মোহাম্মদ সালাহ। ২৮ গোল নিয়ে তার পয়েন্ট ৫৬। লিভারপুলের বাকি আরও দুই ম্যাচ। এই দুই ম্যাচে তার পারফর্ম্যান্সের ওপর নির্ভর করছে গোল্ডেন বুটের ভাগ্য।
গোল্ডেন বুট সবচেয়ে বেশি ৬বার জিতেছেন লিওনেল মেসি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪বার ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। এমবাপ্পে ক্লাব ক্যারিয়ারে ২০১৮-১৯ মৌসুমে ফ্রেঞ্চ লিগে করেছিলেন সর্বোচ্চ ৩৩ গোল। সেবার লা লিগায় ৩৬ গোল করে গোল্ডেন বুট জেতেন মেসি।