Beta
সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
Beta
সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

কোটি টাকার প্রতিভা অন্বেষণের প্রাপ্তি কি

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের তৃণমূল থেকে প্রতিভা অন্বেষণের পর কাবাডি খেলোয়াড়েরা। ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের তৃণমূল থেকে প্রতিভা অন্বেষণের পর কাবাডি খেলোয়াড়েরা। ছবি: সংগৃহীত
[publishpress_authors_box]

রবিবার সকাল থেকেই পল্টন শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে খেলোয়াড় ও কোচদের পদচারণায় মুখর। কেউ এসেছেন মানিকগঞ্জ থেকে। কেউ আবার বরিশাল থেকে। বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ক্রীড়াবিদদের মধ্যে থেকে ১০টি ডিসিপ্লিনের ১৬৮ জন খেলোয়াড় দিনভর বাছাই করেছেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) কোচেরা।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অধীনে ফুটবল, ক্রিকেট ও হাতে গোনা কয়েকটি ফেডারেশন বাদ দিলে বাকিগুলো আর্থিকভাবে খুবই দুর্বল। যে কারণে প্রতিভা খোঁজার ‘সাধ’ থাকলেও থাকে না সাধ্য।

মূলত জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ তাদের বার্ষিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই প্রতিভা অন্বেষণ করে থাকে। সেই ধারাবাহিকতায় এবারের প্রতিভা বাছাই কার্যক্রম হয়েছে রবিবার।

এবার দাবা, জুডো, ভারোত্তোলন, জিমন্যাস্টিকস, সাইক্লিংয়ে বালক ও বালিকা বিভাগে খেলোয়াড় বাছাই করা হয়েছে। তবে বাস্কেটবল, কাবাডি ও ভলিবলে শুধুই বালিকা বিভাগে খেলোয়াড় নেওয়া হয়েছে। হ্যান্ডবলে ও ক্রিকেটে নেওয়া হয়েছে শুধু বালক বিভাগ থেকে।

এই খেলোয়াড়দের আগামী দশ দিন নিবিড় প্রশিক্ষণ দেবেন এনএসসির কোচেরা। এরপর সেখান থেকে আরেক দফা সেরা খেলোয়াড় বাছাই করে সেই তালিকা সংশ্লিষ্ট ফেডারেশনে পাঠাবে এনএসসি।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিগত বছরগুলোতেও প্রতিভা অন্বেষণ কার্যক্রম করেছে। অনেক সময় প্রতিভা পাওয়া যায়নি, আবার পাওয়া গেলেও সেটা ধরে রাখতে পারেনি ক্রীড়াঙ্গন। সেই অসঙ্গতি এবার দূর করতে চান ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক ক্রীড়া মোহাম্মদ হুমায়ন কবীর , “প্রশিক্ষণের পর আমরা তালিকাটা ফেডারেশনে পাঠাব। ফেডারেশনের সঙ্গে এই বিষয় নিয়মিত তদারকি করা হবে। জুনিয়র টুর্নামেন্ট কিংবা অন্য প্রতিযোগিতায় এরা যেন অংশগ্রহণ করে প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পায় সেটারও খোঁজ রাখা হবে এনএসসির পক্ষ থেকে।”

প্রতিভা অন্বেষণের কার্যক্রমে এবার জেলাগুলো থেকে একটি খেলায় এক জন করে খেলোয়াড় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ঢাকায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোচেরা প্রাথমিক ট্রায়াল নিয়েছেন। সেই ট্রায়ালের ভিত্তিতে খেলোয়াড়দের বাছাই করা হয়েছে।

এর আগের বছরগুলোতে কিছু ক্ষেত্রে কোচেরা জেলায়-জেলায় গিয়ে খেলোয়াড় বাছাই করতেন। সেই খেলোয়াড়রা পরে ঢাকায় এসে কয়েক সপ্তাহ অনুশীলন করেন।

প্রতিভা অন্বেষণের জন্য বছরে প্রায় এক কোটি টাকারও বেশি বাজেট রয়েছে। কোটি টাকা খরচ হলেও প্রতিভা অন্বেষণের সঠিক ও কার্যকরী নীতিমালার অভাবে এই কর্মসূচি থেকে সেভাবে খেলোয়াড় উঠে আসতে দেখা যায় না।

এবারের অনুশীলন নিয়ে কাবাডি কোচ আবদুল জলিল বেশ আশাবাদী। তিনি বলেন, “আমরা অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় পেয়েছি এবারের কর্মসূচীতে। এদের যদি নিয়মিত বিভিন্ন টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ করে দেওয়া হয় তাহলে হয়তো এরা আগের মতো আর ঝরে পড়বে না। সে ক্ষেত্রে ফেডারেশনকে একটু বেশি কার্যকরী হতে হবে। পাশাপাশি এনএসসি থেকেও যেন এসব খেলোয়াড়দের ব্যাপারে নজরদারি থাকে সেটাও দেখতে হবে। ”

হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে প্রতিভা বাছাইয়ের এই কর্মসূচী উদ্বোধন করেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব আমিনুল ইসলাম।  

আরও পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত