সিংঙ্গাপুর ম্যাচের বিপক্ষে আজকের দিনের চেয়েও বেশি আমেজ ছিল। পুরো বাংলাদেশ নতুন ফুটবল জাগরণে মেতেছিল। ফুটবল সমর্থকরা ধরেই নিয়েছিল হামজা চৌধুরী, সমিত সোম, ফাহমিদুলদের নিয়ে বাংলাদেশ জিততে চলেছে। কিন্তু দিন শেষে সিংগাপুর ম্যাচ জিতে যায় ২-১ গোলে।
সিংগাপুরের বিপক্ষে এএফসি এশিয়ান কাপের ওই ম্যাচের পর এবার হংকং চায়নার বিপক্ষে লড়াই। ভারতের বিপক্ষে ড্র য়ের পর সিংগাপুরের বিপক্ষে হার হজম করেছে বাংলাদেশ। অথচ ওই ম্যাচটি জিতলে সি গ্রুপ থেকে পরের রাউন্ডে যাওয়ার পথ সহজ হতো। এখনও যে পথ কঠিন তা বলা যাবে না। আজকের ম্যাচে জিতলেই পরের রাউন্ডের পথ আবার দৃশ্যমান হবে বাংলাদেশের জন্য।
তার জন্য জয় চাই। সিংগাপুর ম্যাচে যে প্রত্যাশা মেটানো যায়নি, জামাল ভূঁইয়ারা এবার সে প্রত্যাশা মেটাতে চান। তার জন্য পুরো ম্যাচ নির্ভুল খেলতে হবে বলে জানালেন।
জামাল বলেছেন, “দেখুন একটা ম্যাচ ৯৫ মিনিটের হয়। সিংঙ্গাপুর ম্যাচে আমরা শুরুটা ভালো করেছিলাম। শেষেও ভালো করেছি। কিন্তু মাঝের সময়েও কিন্তু ফুটবলটা হয়। ওই সময় ওরা গোল করে বসে। আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে মাঝের সময়ে যেন ভুল না করি এবার।”
২০১৪ সালে হংকং চায়নার বিপক্ষে খেলেছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে ২-১ গোলের হার হজম করতে হয়। এবারের ম্যাচটি শুধুই একটি রাউন্ড ম্যাচ নয়। বাংলাদেশের এএফসি এশিয়ান কাপে টিকে থাকার লড়াই, একরকম অলিখিত সেমিফাইনাল।
কোচ হাভিয়ের কাবরেরা বলছেন, “আমাদের প্রস্তুতি ভালো হয়েছে। আমরা এরকম ম্যাচ সামনে রেখেই প্রস্তুতি নেই। আমি এটা বলতে পারি জয়ের পরিপূর্ণ বিশ্বাস রেখেই আমরা মাঠে যাব। সেরাটা দিয়েই জয়ের জন্য খেলবো। মাঠে নামতে হলে আপনি পারেন সেই বিশ্বাসটা আগে রাখতে হবে।”
গ্রুপে এখন দুই খেলায় ১টি ড্র নিয়ে মাত্র ১ পয়েন্টে তিন নম্বরে আছে বাংলাদেশ। গোলগড়ে পিছিয়ে সমান পয়েন্ট নিয়ে ভারত চার নম্বরে। বাংলাদেশের ওপরেই ১ জয় ও ১ ড্রতে ৪ পয়েন্ট পাওয়া হংকং চায়না। আর গোল গড়ে এগিয়ে সমান ৪ পয়েন্ট পাওয়া সিংগাপুর আছে শীর্ষে।
বাংলাদেশ আজকের ম্যাচে জিতলে পয়েন্ট তালিকায় দুইয়ে ওঠার সুযোগ আছে। পরের দুই রাউন্ড হংকং চায়না ও সিংগাপুরের বিপক্ষে তাদের মাটিতে। সেই দুই রাউন্ডে কোনরকমে ড্র করে ফিরলে শেষ রাউন্ডে ভারতের সঙ্গে ম্যাচ হবে বাংলাদেশের। ওই ম্যাচ জিতলে এএফসি এশিয়ান কাপের মূল পর্ব নিশ্চিত হতেও পারে বাংলাদেশের জন্য। আজকের ম্যাচ থেকে সেই লড়াইটা শুরু হলো হামজা-জামালদের।