Beta
রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫
Beta
রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫

‘ভারত আমাদের বন্দির মতো নৌকায় তোলে, এরপর সমুদ্রে ফেলে দেয়’

Rohingya LOKJON
[publishpress_authors_box]

নূরুল আমিনের সঙ্গে তার ভাইয়ের শেষ কথা হয় গত ৯ মে। তাদের মধ্যে অল্প সময় কথা হলেও বিষয়বস্তু ছিল ভয়াবহ। নূরুলের ভাই কাইরুল এবং তার চারজন আত্মীয় রোহিঙ্গা শরণার্থীকে ভারত সরকার মিয়ানমারে ফেরত পাঠিয়েছে। কয়েক বছর আগেই তারা দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন প্রাণ বাঁচাতে।

মিয়ানমারে চলছে গৃহযুদ্ধ। জান্তা বাহিনী ২০২১ সালে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটির ক্ষমতা দখল করে। এরপর কিছু সময়ের বিরতির পর তাদের সঙ্গে জাতিগত মিলিশিয়া ও প্রতিরোধ বাহিনীর রক্তক্ষয়ী লড়াই শুরু হয়।

ভাই ও আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে ২৪ বছর বয়সী নূরুল আমিনের ফের দেখা হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। তার ভাষ্যে, “আমার বাবা-মা আর অন্যদের যন্ত্রণার কথা আমি কল্পনাও করতে পারি না। তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।”

কথাগুলো দিল্লিতে বসে বিবিসিকে বলছিলেন নুরুল আমিন। তাদের দিল্লি থেকে সরিয়ে নেওয়ার তিন মাস পর বিবিসি মিয়ানমারে শরণার্থীদের খুঁজে বের করতে সক্ষম হয়। বেশিরভাগই আশ্রয় নিয়েছেন বাহ তু আর্মির (বিএইচএ) কাছে। এটি একটি প্রতিরোধ সংগঠন, যা দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমে সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে।

বিএইচএর এক সদস্যের ফোন থেকে ভিডিও কলে সৈয়দ নূর নামে আরেকজন বলেছিলেন, “আমরা মিয়ানমারে নিরাপদ বোধ করছি না। এ জায়গাটা একেবারেই যুদ্ধক্ষেত্র।”

তিনি কথা বলছিলেন একটি কাঠের ঘর থেকে, সেখানে তার চারপাশে আরও ছয়জন শরণার্থী বসে ছিলেন।

বিবিসি শরণার্থীদের কথা শুনেছে, দিল্লিতে থাকা তাদের স্বজনদের বক্তব্য নিয়েছে এবং অভিযোগের তদন্তে জড়িত বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলেছে আসল ঘটনা বোঝার তাগিদে।

জানা যায়, তাদের দিল্লি থেকে একটি বিমানযোগে বঙ্গোপসাগরের এক দ্বীপে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে নৌবাহিনীর একটি জাহাজে তোলা হয়। পরে লাইফ জ্যাকেট দিয়ে আন্দামান সাগরে ফেলে দেওয়া হয়। সেখান থেকে তারা তীরে ভেসে আসে।

এখন তারা মিয়ানমারে এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখি। কারণ দেশটি থেকে মূলত মুসলিম রোহিঙ্গারা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নির্যাতন এড়াতে পালিয়েছিল।

নূরুল আমিনের ভাইয়ের পরিবার।

জন নামের একজন বলেন, “তারা আমাদের হাত বেঁধে, মুখ ঢেকে বন্দির মতো নৌকায় তোলে। তারপর সমুদ্রে ফেলে দেয়।”

নূরুল আমিনের প্রশ্ন, “কেউ কীভাবে মানুষকে এভাবে সমুদ্রে ফেলে দিতে পারে? মানবতা পৃথিবীতে আছে, কিন্তু আমি ভারতের সরকারের মধ্যে কোনও মানবতা দেখিনি।”

মিয়ানমারে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক থমাস অ্যান্ড্রুজ জানিয়েছেন, এসব অভিযোগের যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। তিনি জেনেভায় ভারতের মিশন প্রধানকে এই প্রমাণ দেখিয়েছেন। তবে এখনও কোনও উত্তর পাননি।

বিষয়টি নিয়ে বিবিসি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেছে। কিন্তু প্রতিবেদন প্রকাশের সময় পর্যন্ত কোনও সাড়া মেলেনি।

অধিকারকর্মীরা বহুবার সতর্ক করেছেন যে ভারতে রোহিঙ্গাদের অবস্থা নাজুক। ভারত রোহিঙ্গাদের শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না। বরং দেশটির ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী তাদের অবৈধ অনুপ্রবেশকারী হিসাবে গণ্য করে।

ভারতে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক রোহিঙ্গা রয়েছে। যদিও বাংলাদেশে রয়েছে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক, ১০ লাখের বেশি। বেশিরভাগই ২০১৭ সালের সেনা অভিযানের পর মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে সেখানে বাস করলেও মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নাগরিক হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় না।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর এর হিসাবে, ভারতে ২৩ হাজার ৮০০ রোহিঙ্গা শরণার্থী নিবন্ধিত রয়েছে। তবে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের অনুমান, প্রকৃত সংখ্যা ৪০ হাজারেরও বেশি।

দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসকারী ৪০ জন রোহিঙ্গাকে গত ৬ মে তাদের স্থানীয় থানায় ডাকা হয় বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহের অজুহাতে। এটি ভারত সরকারের বাধ্যতামূলক বার্ষিক প্রক্রিয়া। সেখানে রোহিঙ্গাদের ছবি তোলা হয় ও আঙুলের ছাপ নেওয়া হয়। কয়েক ঘণ্টা পরে তাদের শহরের ইন্দরলোক আটক কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় বলে তারা বিবিসিকে জানায়। তাদের সবারই ইউএনএইচসিআর কার্ড ছিল।

নূরুল আমিন জানান, সেই সময় তার ভাই ফোন করে বলেন যে তাকে মিয়ানমারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তিনি একজন আইনজীবী ও ইউএনএইচসিআর’কে অবহিত করতে অনুরোধ করেন।

শরণার্থীরা গত ৭ মে জানান, তাদের দিল্লির পূর্বে হিন্দন বিমানঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে বিমানে তোলা হয় আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে। 

ভিডিও কলে সৈয়দ নূর বলেন, “বিমান থেকে নামার পর আমরা দেখলাম দুটি বাস আমাদের নিতে এসেছে। বাসের গায়ে ‘ভারতীয় নৌসেনা’ লেখা ছিল। বাসে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই তারা আমাদের হাত প্লাস্টিক দিয়ে বেঁধে দেয়। আর মুখে কালো মসলিন কাপড় ঢেকে দেয়।”

বাসের ভেতরের লোকেরা নিজেদের পরিচয় দেয়নি। তবে তারা সেনাদের পোশাক পরা ছিল এবং হিন্দিতে কথা বলছিল।

সংক্ষিপ্ত বাসযাত্রার পর দলটিকে বঙ্গোপসাগরের ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি জাহাজে তোলা হয়। নূর বলেন, তাদের হাত খোলা ও মুখোশ সরানোর পরেই তারা বুঝতে পারে এটি নৌবাহিনীর জাহাজ।

তাদের বর্ণনায়, জাহাজটি একটি বড় যুদ্ধজাহাজ। সেটি ছির দুইতলা, দৈর্ঘ্যে অন্তত ১৫০ মিটার।

নূরের সঙ্গে ভিডিওকলে থাকা অপর ব্যক্তি মোহাম্মদ সাজ্জাদ বলেন, “জাহাজের অনেকে টি-শার্ট, কালো প্যান্ট আর কালো আর্মি বুট পরা ছিল। তবে সবার পোশাক এক রকম ছিল না। কেউ কালো, কেউ বাদামি।”

নূর জানান, তারা ওই জাহাজে ১৪ ঘণ্টা ছিলেন। নিয়মিত খাবার দেওয়া হয়েছিল; ভাত, ডাল আর পনিরসহ প্রচলিত ভারতীয় খাবার।

তবে কয়েকজন জানান, জাহাজে তারা সহিংসতা ও অপমানের শিকার হয়েছেন।

নূরের ভাষ্যে, “আমাদের সঙ্গে খুব খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে। কেউ খুব মার খেয়েছে। বারবার থাপ্পড় মারা হয়েছে।”

দিল্লিতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প।

ভিডিও কলে ফয়াজ উল্লাহ তার ডান কবজির দাগ দেখিয়ে জানান, বারবার তাকে ঘুষি মারা হয়েছে। পিঠে ও মুখে থাপ্পড় মারা হয়েছে, এমনকি বাঁশের লাঠি দিয়ে খোঁচানো হয়েছে। “তারা আমাকে জিজ্ঞেস করেছে আমি কেন ভারতে অবৈধভাবে আছি, কেন এখানে এসেছি?”

রোহিঙ্গারা মূলত মুসলিম জাতিগোষ্ঠী। কিন্তু গত মে মাসে জোরপূর্বক ফেরত পাঠানো ৪০ জনের মধ্যে ১৫ জন ছিলেন খ্রিস্টান।

তাদের আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময়ও নাকি প্রশ্ন করা হয়েছিল, “হিন্দু হলেন না কেন? ইসলাম থেকে খ্রিস্টান ধর্মে কেন পরিবর্তন করলেন? তারা এমনকি আমাদের প্যান্ট নামাতে বাধ্য করেছিল, যাতে দেখে আমরা খৎনা করা কিনা,” নূরের দাবি।

অন্য এক শরণার্থী ইমান হুসেইন জানান, সেনারা তাকে অভিযুক্ত করেছিল পহেলগাম হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার জন্য। ওই হামলায় গত ২২শে এপ্রিল ভারত-শাসিত কাশ্মীরে ২৬ জন বেসামরিক মানুষ। তাদের বেশিরভাগই হিন্দু পর্যটক, গুলিতে নিহত হন।

ভারত সরকার বারবার অভিযোগ করেছে যে, পাকিস্তানি নাগরিকরা এই হামলা চালিয়েছিল। যদিও ইসলামাবাদ তা অস্বীকার করেছে। রোহিঙ্গাদের সঙ্গে এ ঘটনার কোনো সম্পৃক্ততা আছে এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি।

এরপরের দিন ৮ই মে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাতটার দিকে (জিএমটি ১২:৩০) শরণার্থীদের বলা হয় নৌবাহিনীর জাহাজের পাশ থেকে মই বেয়ে নামতে। নিচে তারা দেখেন কালো রঙের রাবারের তৈরি চারটি নৌকা।

শরণার্থীদের দু’টি নৌকায় তোলা হয়। প্রতিটিতে ২০ জন করে। সঙ্গে কয়েকজন পরিবহনকারীর লোকও ছিল। বাকি দুটি নৌকা আগে চলছিল। সেখানে ডজনখানেক সেনা ছিল। সাত ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তারা হাত বাঁধা অবস্থায় যাত্রা করে।

নূর বলেন, “সৈন্যদের নিয়ে একটি নৌকা তীরে পৌঁছে গিয়ে একটি লম্বা দড়ি গাছে বেঁধে ফেলে। তারপর সেই দড়ি আমাদের নৌকাগুলোর দিকে টেনে আনা হয়।”

তিনি জানান, তাদের লাইফ জ্যাকেট দেওয়া হয়, হাত খোলা হয়। এরপর পানিতে লাফ দিতে বলা হয়। নূর বলেন, “আমরা দড়ি ধরে প্রায় ১০০ মিটার সাঁতরে তীরে পৌঁছাই।” তাদের বলা হয়েছিল তারা ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছেছেন। এরপর যারা তাদের নিয়ে গিয়েছিল, তারা চলে যায়।

এই অভিযোগগুলো ভারত সরকার ও ভারতীয় নৌবাহিনীর কাছে তুলে ধরেছে বিবিসি। কিন্তু কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।

৯ মে ভোরে স্থানীয় জেলেরা দলটিকে খুঁজে পায় এবং জানায় যে তারা মিয়ানমারে রয়েছে। জেলেরা তাদের ফোন ব্যবহার করতে দেয়, যাতে তারা ভারতে থাকা আত্মীয়দের খবর দিতে পারে।

তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে মিয়ানমারের তানিনথারিই অঞ্চলে বাহ তু আর্মি (বিএইচএ) তাদের খাবার ও আশ্রয় দিয়ে সাহায্য করছে। কিন্তু ভারতে থাকা তাদের পরিবার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জীবন চরম ঝুঁকির মুখে ফেলে দিয়েছিল ভারত সরকার, যখন তাদের আন্দামান সাগরে জোরপূর্বক ঠেলে দেওয়া হয়।

জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক থমাস অ্যান্ড্রুজ বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে এই ভয়ঙ্কর ঘটনাটি নিয়ে গবেষণা করছি। তিনি স্বীকার করেন, তিনি যত তথ্য শেয়ার করতে পারেন তা সীমিত। তবে তিনি “চোখে-দেখা সাক্ষীদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং সেই বর্ণনাগুলো যাচাই করে নিশ্চিত হয়েছেন যে সেগুলো বাস্তবতার উপর ভিত্তি করে।”

১৭ই মে নূরুল আমিন ও তার আরেক আত্মীয় ভারতের সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন করেন। এতে দাবি করা হয় তাদের অবিলম্বে দিল্লিতে ফিরিয়ে আনা হোক, অনুরূপ নির্বাসন বন্ধ করা হোক এবং সেই ৪০ জনকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক।

সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কোলিন গনসালভেসের মতে, “এটি গোটা দেশকে রোহিঙ্গা নির্বাসনের ভয়াবহতা সামনে এনে দিয়েছে। একজন মানুষকে যুদ্ধক্ষেত্রের মাঝখানে লাইফ জ্যাকেট দিয়ে সমুদ্রে ফেলে দেওয়া যায়। এমন কথা মানুষ স্বভাবতই বিশ্বাস করতে চাইবে না।”

প্রাণ বাঁচাতে মিয়ানমার ছেড়ে সাগর পাড়ি দিচ্ছে রোহিঙ্গারা।

আবেদনের শুনানিতে দুই বিচারকের বেঞ্চের একজন এসব অভিযোগকে ‘কল্পনাপ্রসূত ধারণা’ বলে মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন, অভিযোগ প্রমাণ করার মতো যথেষ্ট তথ্য বাদীপক্ষ দিতে পারেনি।

এরপর কোর্ট সম্মত হয়েছে যে ২৯ সেপ্টেম্বর শুনানি হবে। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, রোহিঙ্গাদের শরণার্থী হিসাবে বিবেচনা করা যায় কিনা, নাকি তারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী এবং তাই নির্বাসনের আওতাভুক্ত।

ভারতে কয়েক দশক ধরেই কয়েক হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী বসবাস করছে। ফলে এই বাস্তবতা বিবেচনা করলে বোঝা যায় না কেন এই ৪০ জনকে নির্বাসনের জন্য এত চেষ্টা করা হলো।

গনসালভেসের মতে, “ভারতে কেউ বুঝতে পারছে না কেন এটা করা হলো। মুসলমানদের প্রতি বিষাক্ত বিদ্বেষ ছাড়া আর কোনও কারণ দেখা যাচ্ছে না।”

শরণার্থীদের সঙ্গে এভাবে আচরণে গোটা ভারতে রোহিঙ্গা সম্প্রদায় আতঙ্কিত। গত এক বছরে, তাদের দাবি, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ নির্বাসনের সংখ্যা বাড়িয়েছে। তবে এ বিষয়ে কোনও সরকারি পরিসংখ্যান নেই।

অনেকে আত্মগোপনে চলে গেছেন। অন্যরা যেমন নূরুল আমিন, আর বাড়িতে ঘুমান না। তিনি তার স্ত্রী ও তিন সন্তানকে অন্যত্র পাঠিয়েছেন।

তিনি বলেন, “আমার মনে কেবল একটাই ভয়, ভারত সরকার আমাদেরও নিয়ে যাবে এবং যেকোনো সময় সমুদ্রে ফেলে দেবে। এখন আমরা বাড়ির বাইরে বের হতেও ভয় পাচ্ছি।”

“এই মানুষগুলো ভারতে আছে নিজের ইচ্ছায় নয়। তারা এসেছে মিয়ানমারের ভয়াবহ সহিংসতা থেকে পালিয়ে। তারা আসলেই নিজের প্রাণ বাঁচানোর জন্য দৌড়াচ্ছে,” বলেন জাতিসংঘের অ্যান্ড্রুজ।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত