ব্যাটে বৃহস্পতি চলছে মোহাম্মদ সাইফ হাসানের। এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কা ও ভারতের বিপক্ষে টানা দুটি ষাটোর্ধ্ব ইনিংস উপহার দিয়েছেন। তাতে এক ম্যাচে দল জিতেছিল। মাঝের কয়েক ম্যাচ নিশ্চুপ ছিল তার ব্যাট। রবিবার আবার জ্বলে উঠল।
সাইফ হাসানের দুর্দান্ত ফিফটিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ৩-০ তে জিতেছে বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে সাইফ করেছেন মাত্র ৩৮ বলে ৭ ছক্কা ও ২ চারে অপরাজিত ৬৪ রান। তার ব্যাটে আফগানিস্তানের করা ৯ উইকেটে ১৪৩ রানে দুই ওভার হাতে রেখে জিতেছে বাংলাদেশ।
সবশেষ ২০১৮ সালে ভারতের দেরাদুনে বাংলাদেশকে টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ করেছিল আফগানিস্তান। সাত বছর পর সেই প্রতিশোধ নিল বাংলাদেশ। এছাড়া লিটন দাসের মতো জাকের আলি অনিকও তার অধিনায়কত্বের অভিষেকে সিরিজ জিতলেন।
আফগানদের বিপক্ষে এ সিরিজ দিয়ে এশিয়া কাপের দুঃখ ভুলার সুযোগ নেই অবশ্য। দেশে বিসিবি নির্বাচনের নাটকীয়তায় চাদড় পড়ে যাওয়ারও সুযোগ নেই। পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৪০ এর কম তাড়া করতে না পারার ব্যর্থতা এই সিরিজ জয়ের থেকেও বড়। তবুও অর্জনের খাতা সমৃদ্ধ হলে ক্ষতি কি!
সেই সুবিধার এক হিসেব আফগানদের হারানো। টি-টোয়েন্টিতে তারা যে ভালো দল সেই দম্ভ চূর্ণ করা গেছে। এ মাঠেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিকটঅতীতে সিরিজ জিতেছিল আফগানরা। তাদের শারজাতে হারানো গেছে।
দলীয় সাফল্যেই এই অর্জন এসেছে বলা যায়। প্রথম ম্যাচে ব্যাটিংয়ের ওপেন ও লোয়ার অর্ডাররা সাফল্য এনেছে আর পরের দুই ম্যাচে মিডলঅর্ডাররা। এ সিরিজে বিপদে পড়েও বাংলাদেশ ব্যাটারদের ঘুরে দাঁড়ানোর তেজ ভারতের বিপক্ষে এশিয়া কাপ ফাইনাল না খেলতে পারার আক্ষেপ বাড়ায়।
সিরিজে তৃতীয়বারের মতো টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ৩ ও নাসুম আহমেদ এবং তানজিম সাকিবের ২টি করে উইকেটে আফগানদের দেড়শ’র নিচে আটকে রাখা গেছে। জবাবে সাইফউদ্দিনের হাফসেঞ্চুরি ছাড়াও তানজিম তামিমের ৩৩ বলে ৩৩ রান বাংলাদেশের জয়ে বড় অবদান রাখে। দুজনের ৫৫ রানের জুটিতে বাংলাদেশের জয় সহজ হয়।
৮ অক্টোবর আবু ধাবিতে শুরু ওয়ানডে সিরিজ। ১১ ও ১৪ অক্টোবর বাকি দুই ম্যাচ হবে একই ভেন্যুতে।