একটি ওভারে ছিল নো বল, দুটো ওয়াইড, তবুও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। সৌম্য সরকারের বড় শট নিতে পারা এবং ওভারের শেষদিকে সাইফ হাসানের ব্যর্থতায় উইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে সুপার ওভার হেরেছে বাংলাদেশ।
মূল ম্যাচে কোন পেসারকে আক্রমণে আনেননি শেই হোপ। সুপার ওভারেও পেসারকে টানেননি। আকিল হোসেন প্রথম বলেই ওয়াইড দেন। পরের বলটিতে পপিং ক্রিজের বাইরে পা ফেলে করেন ওভারস্টেপ। দুই বলে ১১ রানের প্রয়োজনীয়তা থেকে ৪ রান পেয়ে যায় বাংলাদেশ। তবুও পরের তিন বলে মাত্র ২ রানের ব্যর্থতা স্বাগতিকদের ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়।
সেই চাপে পড়ে সৌম্য পরের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দেন। পরে আরও একটি ওয়াইড পায় বাংলাদেশ। তবুও নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাইফ হাসান প্রয়োজনীয় রান তুলতে পারেননি।
উইন্ডিজ তাদের সুপার ওভারটিতে এক চারে তুলেছে ১০ রান। বাংলাদেশ অতিরিক্ত রান পেয়েও ১ উইকেট হারিয়ে ৯ রানের বেশি করতে পারেনি। এই জয়ে সিরিজে ১-১ ব্যবধানে সমতা এনেছে সফরকারীরা।
মূল ম্যাচেই জিততে পারতো বাংলাদেশ। শেষ বলে নুরুল হাসান সোহান আকাশে উঠে যাওয়া বল হাতে রাখতে পারেননি। তাতেই শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচটি টাই হয়ে যায়। বাংলাদেশের করা ৭ উইকেটে ২১৩ রানের জবাবে উইন্ডিজ ৯ উইকেটে সমান ২১৩ রান করে।
৪৫৩ ওয়ানডে, ১৫৪ টেস্ট ও ২০৬ টি-টোয়েন্টিতে মোট ৮১৩আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবার টাই ম্যাচের সঙ্গী হলো তারা।
এর আগে হারা ম্যাচ উইন্ডিজের জন্য সহজ করে তোলেন শেই হোপ। উইন্ডিজ অধিনায়ক এক প্রান্ত আগলে রেখে ম্যাচ নিয়ে যান শেষদিকে। ৬৭ বলে ৪টি চারে অপরাজিত ৫৩ রান করে ম্যাচ টাই করান। হোপকে সঙ্গ দেন ২৬ রান করা জাস্টিন গ্রিভস ও ১৬ রান করা আকিল হোসেন।