বাংলাদেশ জাতীয় হকি দল কালেভদ্রে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়। সেটাও কখনও এএইচএফ কাপে। কখনও এশিয়া কাপে। কখনও এশিয়ান গেমস বা এসএ গেমসে। ৪৩ বছর পর এশিয়া কাপ হকিতে উঠতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। গত সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ার জার্কাতায় অনুষ্ঠিত এএইচএফ কাপে ফাইনালে উঠতে না পারায় এবারের এশিয়া কাপে খেলতে পারবে না। আবার কবে বাংলাদেশ জাতীয় হকি দল আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে সেটা কেউ বলতে পারে না।
হকি দলের এই ব্যর্থতা খুঁজতে রোববার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে।
পরিচালক (ক্রীড়া) মো. হুমায়ন কবীর এই কমিটির আহবায়ক, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চেয়ারম্যানের (যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা) একান্ত সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সদস্য এবং সহকারী পরিচালক (ক্রীড়া) সাজিয়া আফরিন এই কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে কাজ করবেন।
বাংলাদেশ হকির অন্যতম সেরা খেলোয়াড় রাসেল মাহমুদ জিমি। এএইচএফ কাপের ফিটনেস টেস্টেও তাকে ডাকেনি হকি ফেডারেশন। ৩২ বছরের বেশি খেলোয়াড় জাতীয় দলের জন্য বিবেচনা না করার অলিখিত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ফেডারেশন। খেলোয়াড়রা খেলবেন পারফরম্যান্স, ফিটনেস ও শৃঙ্খলার ভিত্তিতে, বয়স কখনও বিবেচ্য নয়।
অথচ হকি ফেডারেশন অদ্ভুত পথে হাঁটায় সেই সময় গণমাধ্যমে সাবেক খেলোয়াড় ও হকি সংশ্লিষ্টরা সমালোচনা করেছিলেন। তখনও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এই বিষয়ে হকি ফেডারেশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। এরপরও নিজেদের অবস্থানে দৃঢ় ছিল হকি ফেডারেশন।
এএইচএফ কাপে ব্যর্থ হওয়ায় অভিজ্ঞ খেলোয়াড় জিমিকে না নেওয়ার বিষয়টি আবার উঠে আসছে আলোচনায়। দল নির্বাচন ও টুর্নামেন্টের আগে বিদেশি দলের সঙ্গে অনুশীলন ম্যাচের অভাব, ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের অদূরদর্শিতাসহ আরও অনেক বিষয় প্রাসঙ্গিক হয়ে এসেছে ব্যর্থতার পর।
এত বড় বিপর্যয়ের পর হকি ফেডারেশনে এখনও পোস্টমোর্টেমের কোনও উদ্যোগ পরিলক্ষিত হয়নি। জাতীয় স্বার্থে ফেডারেশনগুলোর অভিভাবক সংস্থা এনএসসি হকির ব্যর্থতা উদঘাটনের জন্য কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটির প্রতিবেদনের দিকে তাকিয়ে থাকছে হকি অঙ্গন।
জিমির মতো সেরা খেলোয়াড়ের দলে না নেওয়ার পেছনে কার দায় রয়েছে সেটাও খুঁজে বের করবে এই কমিটি।