Beta
বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫

বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, এমডিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি 

bosundhora
[publishpress_authors_box]

চেক প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ও তার ছেলে গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর, দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক ও প্রকাশকসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।  

বৃহস্পতিবার সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর বিচারিক আদালতের বিচারক মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।

দৈনিক কালের কণ্ঠের সিলেটের সাবেক ব্যুরো প্রধান আহমেদ নূর এই মামলাটি করেছিলেন। মামলায় সমন জারির পরও আদালতে হাজির না হওয়ায় আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। 

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা মামলার অপর আসামিরা হলেন, কালের কণ্ঠের প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরী, বর্তমান সম্পাদক হাসান হাফিজ, চেক স্বাক্ষরকারী শাহেদ মুহাম্মদ আলী ও নঈম নিজাম। প্রতিষ্ঠান হিসেবে মামলায় বিবাদী হিসেবে কালের কণ্ঠ রয়েছে। নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট অ্যাক্টের ১৩৮/১৪০ ও অন্যান্য ধারা অনুযায়ী মামলাটি গত বছর ৫ ডিসেম্বর করা হয়েছিল। আদালত সেদিন ৬ আসামিকে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারির আদেশ দেয়।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, মামলার বাদি বসুন্ধরা গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ থেকে প্রকাশিত দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাড়ে ১২ বছর সিনিয়র রিপোর্টার পদমর্যাদায় সিলেট অফিসের ব্যুরো প্রধান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু সংবাদপত্র ওয়েজবোর্ড অনুযায়ী দীর্ঘদিনের সার্ভিস বেনিফিট পরিশোধ করতে কর্তৃপক্ষ গড়িমসি করেন। এক পর্যায়ে বেনিফিটের টাকা পরিশোধে সম্মত হন। কিছু টাকা পরিশোধ করেন। এছাড়া প্রতি মাসে একটি চেক নগদায়নের তারিখ দিয়ে গত জানুয়ারি মাসে ১০টি চেক প্রদান করেন। কিন্তু দুটি চেক অনার হলেও আটটি চেক ডিজঅনার হয়। যার অর্থের পরিমাণ ৬ লাখ ০১ হাজার ৮২৪ টাকা। 

বাদি আইনজীবীর মাধ্যমে উকিল নোটিশ পাঠালে আসামিরা এর জবাবে শিগগিরই টাকা পরিশোধের বিষয়টি তাদের আইনজীবীর মাধ্যমে জানান। কিন্তু তারপরও টাকা পরিশোধের কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় গত বছর ৫ ডিসেম্বর একটি চেক এবং ৩১ ডিসেম্বর অপর সাতটি চেক ডিজঅনারের আলাদা দুটো মামলা করেন। বৃহস্পতিবার প্রথম মামলায় আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

বাদির পক্ষে আদালতে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম। সকাল সন্ধ্যাকে তিনি, সমন জারির পরও আদালতে হাজির না হওয়ায় আসামিদের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। 

এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম বলেন, “মামলার বাদী আহমেদ নূর দৈনিক ভোরের কাগজ ও দৈনিক প্রথম আলোতে প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে কাজ করেছেন। সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ছিলেন। তার মতো একজন সিনিয়র সাংবাদিকের পারিশ্রমিকের টাকার চেক দিয়েও পরিশোধ না করা প্রতারণার শামিল এবং দেশের সংবাদ মাধ্যমের জন্য সম্মানজনক নয়। আদালত এর আগে আসামিদের প্রতি সমন জারি করেছিল কিন্তু হাজির না হওয়ায় শুনানি শেষে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।”

মামলার বাদি আহমেদ নূর সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছি তার বিরুদ্ধে ন্যায্য পাওনা আদায়ের জন্য মামলা করতে হয়েছে এটা দুঃখজনক। কাউকে না কাউকে তো প্রতিবাদ করতে হবে। আমি সেটিই করেছি এবং আইনি লড়াই অব্যাহত রাখব। আশা করব আমার মতো যারা এমন পরিস্থিতির শিকার তারাও এগিয়ে আসবেন এবং ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই চালিয়ে যাবেন।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত