অলিম্পিকে ক্রিকেট ফিরছে ১২৮ বছর পর। আইওসি আগেই জানিয়েছে ৬ দল সুযোগ পাবে অলিম্পিকে। সেই ছয় দল কীভাবে নির্ধারিত হবে আলোচনা ছিল এ নিয়ে।
‘দ্য গার্ডিয়ান’ জানিয়েছে আইসিসি ও আইওসি এর সমাধান বের করে ফেলেছে। আইওসির চাওয়া ছিল সব মহাদেশের একটি করে দলের প্রতিনিধিত্ব থাকবে ছেলেদের ক্রিকেটে। সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত আইসিসির সভায় মেনে নেওয়া হয়েছে আইওসির সিদ্ধান্ত। তবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি।
অলিম্পিকে খেলার জন্য আঞ্চলিক যোগ্যতা অর্জন পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে। অর্থাৎ এশিয়া, ইউরোপ, ওশেনিয়া ও আফ্রিকার সেরা দল খেলবে অলিম্পিকে। আর আয়োজক দেশ হিসেবে খেলবে যুক্তরাষ্ট্র।
এই নিয়মে এশিয়া থেকে র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে থাকা ভারত সুযোগ পাবে অলিম্পিকে। সবশেষ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নও তারা। এছাড়া খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকা (আফ্রিকা) ও অস্ট্রেলিয়া (ওশিয়ানিয়া)। ইউরোপ থেকে থাকবে ইংল্যান্ড। আরেকটি দল কীভাবে নির্ধারিত হবে সেটা চূড়ান্ত হয়নি।
ভারত এশিয়ার সেরা দল হওয়ায় বাংলাদেশের সুযোগ নেই বললেই চলে। একই কারণে খেলা হবে না পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তানের।
আইসিসির পূর্ণ সদস্যদেশ আছে ১২টি। এর মধ্যে র্যাঙ্কিংয়ে সেরা পাঁচে থাকার পরও ওশেনিয়া অঞ্চলের নিউজিল্যান্ড (৪ নম্বরে) আঞ্চলিক র্যাঙ্কিং বাছাইয়ের কারণে অলিম্পিকে সুযোগ পাচ্ছে না। আবার যুক্তরাষ্ট্র (র্যাঙ্কিংয়ে ১৭) স্বাগতিক হিসেবে অলিম্পিকে খেলবে। তখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সম্ভাবনাও থাকবে না।
এজন্যই গার্ডিয়ান জানিয়েছে, প্রতি মহাদেশ থেকে একটি করে দল নেওয়ার নিয়মের কারণে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছিল পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। এজন্য মেয়েদের ছয় দল ২০২৬ বিশ্বকাপের ফলের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে জানায় গার্ডিয়ান।