ভোক্তা পর্যায়ে বেসরকারি খাতে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম কমেছে। এবার ১২ কেজি সিলিন্ডারে দাম কমেছে ৯১ টাকা।
আগস্ট মাসে ১২ কেজি এলপিজির দাম পড়বে ১ হাজার ২৭৩ টাকা। সে হিসাবে প্রতি কেজির দাম পড়ছে ১০৬ টাকা ১১ পয়সা।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন দাম রবিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হয়েছে।
গত জুলাই মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করা হয় ১ হাজার ৩৬৪ টাকা, যা ছিল তার আগের মাসের (জুন) চেয়ে ৩৯ টাকা কম। এবার সেটা আরও ৯১ টাকা কমল।
অগাস্ট মাসের জন্য অটোগ্যাসের দামও কমিয়েছে কমিশন। প্রতি লিটারে ৪ টাকা ১৮ পয়সা কমিয়ে মূসকসহ অটোগ্যাসের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৮ টাকা ২৮ পয়সা।
জুলাইয়ে প্রতি লিটারের দাম নির্ধারণ করা হয় ৬২ টাকা ৪৬ পয়সা ছিল, যা ছিল তার আগের মাসের চেয়ে ১ টাকা ৮৪ পয়সা কম।
গত এক বছরে এ নিয়ে এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম ৪ দফা কমানো হলো। বাড়ানো হয় ৭ দফা। এক দফায় দাম অপরিবর্তিত ছিল।
২০২১ সালের এপ্রিল থেকে এলপিজির দাম নির্ধারণ করে আসছে বিইআরসি। এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রোপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়।
প্রতি মাসে এলপিজির এই দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান আরামকো। এটি সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এই সৌদি সিপিকে ভিত্তিমূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে বিইআরসি।
আমদানিকারক কোম্পানির চালান (ইনভয়েস) মূল্য থেকে গড় করে পুরো মাসের জন্য ডলারের দাম হিসাব করে বিইআরসি।
এবার প্রোপেন ও বিউটেনের গড় সিপি ৫০০ দশমিক ৫০ ডলার বিবেচনায় নিয়ে নতুন দর নির্ধারণ করেছে বিইআরসি।
বাজারে সাড়ে ৫ কেজি থেকে শুরু করে ৪৫ কেজি পর্যন্ত বিভিন্ন আকারের সিলিন্ডার পাওয়া যায়। গৃহস্থালি রান্নার পাশাপাশি রেস্তোরাঁ, পরিবহন, ছোট-বড় শিল্পকারখানায়ও এলপিজি ব্যবহার হয়। এই বাজারের ৯৯ শতাংশের বেশি বেসরকারি খাতের দখলে।