Beta
শুক্রবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৫

অ্যাঙ্গোলা : দেশ ভাসছে তেলে, অথচ জনগণ ডুবছে দারিদ্র্যে

angola
[publishpress_authors_box]

আফ্রিকার দেশ অ্যাঙ্গোলায় গত জুলাইয়ে ব্যাপক প্রতিবাদ বিক্ষোভ হয়েছিল। জ্বালানি ভর্তুকি কমানোর দাবির ওই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা কম হয়নি।

দেশটির বাসিন্দা জুলিও কান্দেরোর মনে ওই আন্দোলনের কয়েকটি মুহূর্ত আজও দাগ কেটে আছে। এর মধ্যে আছে একজন নারীকে পেছন থেকে পুলিশ গুলি করার দৃশ্য এবং বিক্ষোভকারীদের স্লোগান- ‘তেমোস ফোমে’, যার অর্থ ‘আমরা ক্ষুধার্ত’।

জ্বালানি ভর্তুকি কমানোর প্রতিবাদে টানা কয়েক দিনের বিক্ষোভ, টায়ার পোড়ানো ও দোকানপাট লুটপাটের পর রাজধানী লুয়ান্ডা ও দেশের অন্যান্য অঞ্চলে আপাতত শান্তি ফিরেছে। তবে ভাঙচুর হওয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ভারী অস্ত্রে সজ্জিত পুলিশ ও সেনাবাহিনীর উপস্থিতির মধ্যেই কান্দেরো মনে করেন, এটি কেবল শুরু।

তার মতে, এটাই কয়েক দশকের মধ্যে অ্যাঙ্গোলার সবচেয়ে বড় অস্থিরতা। একে ১৯৭৭ সালের অভ্যুত্থান-পরবর্তী পরিস্থিতি ও ১৯৯২ সালের নির্বাচনের পর সহিংসতার সঙ্গে তুলনা করা হয়। দুই ক্ষেত্রেই গৃহযুদ্ধের ভেতরে থাকা দেশটিতে কয়েক লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। সেই গৃহযুদ্ধ ১৯৭৫ সালে শুরু হয়ে ২০০২ সালে শেষ হয়। চলতি মাসের মৃত্যুর সংখ্যা তুলনায় অনেক কম হলেও জনরোষ তীব্র।

লুয়ান্ডাভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা মোসাইকোর পরিচালক কান্দেরো বলেন, “লুয়ান্ডা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে। তবে স্পষ্টতই এটি আর আগের শহর নয়। সর্বত্রই দেখা যাচ্ছে গত কয়েক দিনের ঘটনার চিহ্ন।”

আফ্রিকার তৃতীয় বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশের হাজারো মানুষ রাস্তায় নামে গত সোমবার। তারা সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে।

সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১ জুলাই থেকে ডিজেলের দাম এক-তৃতীয়াংশ বাড়ানো হয় এবং জ্বালানি ভর্তুকি কমানো হয়। এর আগে ১২ জুলাই প্রথম দফার বিক্ষোভ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শান্তিপূর্ণ ছিল।

সরকারি হিসাবে গত সপ্তাহে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে অন্তত ২২ জন নিহত, ১৯৭ জন আহত এবং ১ হাজার ২০০ জনের বেশি গ্রেপ্তার হয়েছে।

এই অস্থিরতার সূত্রপাত হয়েছিল সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তিন দিনের মিনিবাস ট্যাক্সি ধর্মঘট দিয়ে। সরকার বলছে, এটি বাজেট ঘাটতি মোকাবেলার অপরিহার্য পদক্ষেপ।

অ্যাঙ্গোলার প্রেসিডেন্ট লোরেন্সো।

মানুষ দারিদ্র্যসীমায়

২০২৩ সালে শেষবার ভর্তুকি কমানোর পর থেকেই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) অ্যাঙ্গোলাকে বাজেট কঠোর করার চাপ দিয়ে আসছে। প্রেসিডেন্ট জোয়াও লোরেন্সোর সরকার বলছে, ভর্তুকি মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রায় ৪ শতাংশ। আর ঋণের পরিমাণ জিডিপির ৬০ শতাংশের বেশি।

অর্থনৈতিক সমন্বয়মন্ত্রী হোসে দে লিমা মাসানো জানান, গত বছরের প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলারের জ্বালানি ভর্তুকি ১ হাজার ৪০০টি অবকাঠামো ও উন্নয়ন প্রকল্পের বাজেটের সমান। আর্থিক সংকটের কারণে এর মধ্যে ৫০০ প্রকল্প বন্ধ রাখতে হয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সমস্যার একটি বড় কারণ হলো তেলের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা। তেল থেকে সরকার আয়ের ৬০ শতাংশ ও রপ্তানির ৯৫ শতাংশ আসে। কিন্তু দেশের একমাত্র তেল শোধনাগার (ঔপনিবেশিক আমলে নির্মিত) দেশীয় জ্বালানি চাহিদার মাত্র ৩০ শতাংশ পূরণ করে। 

এছাড়া ২০২৫ সালের বাজেট তেলের ব্যারেলপ্রতি মূল্য ৭০ ডলারের ভিত্তিতে তৈরি হলেও, এ বছরের এপ্রিলেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আমদানি শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়ার পর ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ৬০ ডলারের নিচে নেমে যায়।

অ্যাঙ্গোলার ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক কার্লোস রোসাদো দে কারভালহো বলেন, তেলের বাজারের অস্থিরতা দেশটিকে অনিশ্চিত অবস্থায় ফেলে দিয়েছে। 

তার মতে, “ভর্তুকির বার্ষিক খরচ প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার—যা স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে সরকারের মোট ব্যয়ের চেয়েও বেশি। সরকার বাধ্য হয়েই এই পদক্ষেপ নিয়েছে।”

তবে তিনি স্বীকার করেন, নীতিটি বাস্তবায়নের সময়টি অযথোপযুক্ত ছিল না। এটি কার্যকর হয়েছিল বিদ্যুৎ বিল ৫০ শতাংশ ও পানি বিল ৩০ শতাংশ বাড়ার সময়ের সঙ্গে মিল রেখে।

তার হিসেবে, ২০২৫ সালের জুলাইয়ে ন্যূনতম মজুরি দিয়ে ২০১৭ সালের তুলনায় প্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবার মাত্র ৬৬ শতাংশ কেনা সম্ভব হয়েছে। ওই বছর লোরেন্সো ক্ষমতায় আসেন।

এদিকে কম মজুরি ও বেকারত্ব বৃদ্ধির ফলে কোটি কোটি অ্যাঙ্গোলাবাসী দারিদ্র্য ও ক্ষুধার মুখে পড়েছে। কার্লোস রোসাদো বলেন, “অ্যাঙ্গোলায়, বিশেষত লুয়ান্ডায়, জনঅভ্যুত্থানের মূল কারণ এখানেই।”

পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে কারণ সরকার মূল্যবৃদ্ধির যৌক্তিকতা জনগণকে ব্যাখ্যা করতে ব্যর্থ হয়েছে।

বাণিজ্যিক তেল উৎপাদন অ্যাঙ্গোলায় শুরু হয় ১৯৫০-এর দশকের মাঝামাঝি। সরকার জানায়, ২০২৪ সালে তেল রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৩১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার। এটা জ্বালানি ভর্তুকির ব্যয়ের চেয়ে ১০ গুণ বেশি।

সরকারের সমালোচকরা বলেন, ৩ কোটি ৬০ লাখ মানুষের বেশিরভাগই এখনও দেশের প্রাকৃতিক সম্পদের সুফল পায়নি। 

মানবাধিকার সংস্থা মোসাইকোর পরিচালক কান্দেরোর ভাষায়, “অ্যাঙ্গোলার সাধারণ মানুষ প্রাকৃতিক সম্পদের সুফল থেকে বঞ্চিত। কারণ এখানে দুর্নীতি ব্যাপক। আফ্রিকার প্রাকৃতিক সম্পদসমৃদ্ধ অন্যান্য দেশের মতো এখানেও মানুষ দারিদ্র্যে দিন কাটাচ্ছে।”

অ্যাঙ্গোলার প্রেসিডেন্ট লোরেন্সো সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে বিক্ষোভের পর জ্বালানি ভর্তুকি কমানোর যৌক্তিকতা হিসেবে বলেন, অ্যাঙ্গোলায় জ্বালানির দাম তুলনামূলকভাবে অনেক কম। তাই ভর্তুকি কমানো যুক্তিযুক্ত। সরকার আরও বলেছে, এই কম দাম পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর চোরাচালানকারীদের আকৃষ্ট করছে।

কিন্তু কান্দেরো এই যুক্তি মানেন না। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, জ্বালানির দাম বাড়ানোর কোনও যুক্তি নেই। তার মতে, অ্যাঙ্গোলার শাসক দল এমপিএলএ’র কয়েক দশকের অব্যবস্থাপনাই আজকের সংকটের মূল কারণ। সরকার যদি সত্যিই খরচ কমাতে চায়, তাহলে তা প্রথমে বিলাসবহুল ও অপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবার খরচ কমিয়ে করা উচিত।

কান্দেরো বলেন, “সরকার চাইলে বাজেট বাঁচাতে পারে উচ্চপদস্থদের বাড়তি সুযোগ-সুবিধা কাটা, অহেতুক বহর নিয়ে বিদেশ সফর বন্ধ করা এবং বিলাসবহুল গাড়ি কেনার জন্য ঋণ না নিয়ে।”

‘জিনিসপত্রের দাম সস্তা রাখুন’

নাইরোবি ইউনিভার্সিটির উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ অ্যাটিয়া ওয়ারিস অ্যাঙ্গোলা সরকারকে ভর্তুকি কমানোর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, “জ্বালানি ভর্তুকি অ্যাঙ্গোলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এগুলো পণ্যের দাম কম রাখে। সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে যে জ্বালানির দাম বাড়ানোর ফলে যেন মানুষের চলাচল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের খরচ বেড়ে না যায়।”

গত ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের কাছে রিপোর্ট দিতে গিয়ে তিনি সতর্ক করেন, ভর্তুকি কমালে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বাড়তে পারে এবং এতে দুর্বল জনগোষ্ঠী ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডিমের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ইতোমধ্যে ৪০০ শতাংশ বেড়েছে।

ওয়ারিস সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, ভর্তুকি কমানোর আগে এর অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব মূল্যায়ন করতে এবং দরিদ্র জনগণের জন্য বিকল্প সহায়তা ব্যবস্থা চালু করতে।

বিশ্বব্যাংকের গবেষকেরাও তার বিশ্লেষণকে সমর্থন করেছেন। তাদের মতে, ভর্তুকি তুলে দিলে দারিদ্র্য ও বৈষম্য আরও বেড়ে যাবে এবং মৎস্য ও কৃষিখাতের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এর ফলে খাদ্য ঘাটতিও দেখা দিতে পারে।

বিশ্বব্যাংকের একটি ব্লগে প্রকাশিত মে মাসের এক প্রবন্ধে বলা হয়েছে, “এই প্রভাবগুলো মোকাবেলায় ধাপে ধাপে ভর্তুকি তুলে নেওয়া উচিত। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও খাতগুলোকে নগদ সহায়তা ও সচেতনতামূলক কর্মসূচির মাধ্যমে সমর্থন দেওয়া উচিত।”

তবে গবেষকরা এও স্বীকার করেন, জ্বালানি ভর্তুকির কিছু নেতিবাচক দিক রয়েছে। এগুলো ধনী পরিবারদের বেশি উপকৃত করে, বাজেটের ওপর চাপ ফেলে, অবকাঠামো ও মানবসম্পদে বিনিয়োগ কমায় এবং জীবাশ্ম জ্বালানির অতিরিক্ত ব্যবহার উৎসাহিত করে।

‘লড়াই চলবে’

সরকার যেভাবে ভর্তুকি সংস্কার করছে, বিশেষ করে বিক্ষোভ দমনে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ায়, তা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে।

মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানায়, ১২ জুলাই শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ব্যবহার করেছে। 

সংস্থাটির আফ্রিকা বিভাগের উপ-পরিচালক আশওয়ানী বুডু-স্কল্টজ বলেন, নিরাপত্তা বাহিনীর এই আচরণ অ্যাঙ্গোলায় দীর্ঘদিনের একটি প্রবণতা। তিনি জানান, ২০২৩ সালে লুয়ান্ডায় ৪০০ জন নারী ব্যবসায়ীর এক বিক্ষোভেও টিয়ার গ্যাস ও মারধরের ঘটনা ঘটে।

২০২২ সালের আগস্টে প্রেসিডেন্ট লোরেন্সো দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হলে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ সরকারকে পরামর্শ দেয় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগগুলোর তদন্ত করতে। এর মধ্যে রয়েছে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ, নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড।

বুডু-স্কল্টজ বলেন, “অ্যাঙ্গোলাবাসীদের সরকারের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করার অধিকার থাকা উচিৎ বলপ্রয়োগ বা অন্য কোনো অধিকার লঙ্ঘনের সম্মুখীন হওয়া ঠিক না।”

তবে এসব সমালোচনার মধ্যেও গত শুক্রবার প্রেসিডেন্ট লোরেন্সো জাতির উদ্দেশে ভাষণে পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, “পুলিশ তাদের কর্তব্য অনুযায়ী কাজ করেছে।”

ভাষণে তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, এ বছর অ্যাঙ্গোলার স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্ণ হচ্ছে, যার অর্ধেক কেটেছে গৃহযুদ্ধে। তিনি বলেন, “আমরা আর কোনও বেদনা বা শোক মেনে নিতে পারি না।” ভাষণের শেষে তিনি বলেন, “অ্যাঙ্গোলা দীর্ঘজীবী হোক।”

ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হচ্ছে

অন্যদিকে কান্দেরো এবং অন্যান্য সিভিল সোসাইটি সংগঠনগুলোর মাঝে কোনও বিজয়ের অনুভূতি নেই।

রাতারাতি কর্মজীবী মানুষের জন্য পরিবহন ব্যয় দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়িয়েছে দিনে প্রায় ৪ হাজার কওয়ানজা (৪ দশমিক ৩৬ ডলার)। অথচ বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, অ্যাঙ্গোলার ৫৩ শতাংশ মানুষ প্রতিদিন গড়ে ৩ দশমিক ৬৫ ডলারেরও কম আয় করে এবং ৩১ শতাংশ মানুষের দৈনিক আয় ২ দশমিক ১৫ ডলারেরও নিচে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, যখন জনগণ চরম আর্থিক সংকটে থাকে, তখন আন্দোলনের সঙ্গে সঙ্গে লুটপাটের ঘটনাও ঘটে।

কান্দেরো বলেন, “খরচ বাড়ার ফলে আরও বিক্ষোভ হওয়া প্রায় অনিবার্য। অনেকে ব্যবসা বা সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসে একমত নয়। তবে কিছু মানুষ মনে করে, সরকার জনগণের উপর যে দুর্নীতি চাপিয়ে দিচ্ছে, তার প্রতিশোধ নেওয়া দরকার।

“বিশেষ করে দরিদ্র শহরতলির তরুণদের কাছে এই লড়াই চলবে যতদিন না তাদের সামাজিক অবস্থার উন্নতি হয়, বিশেষ করে ক্ষুধা হ্রাস পায়। এইসব ঘটনা আসলে লক্ষণমাত্র। যদি আমরা মূল সমস্যাগুলো সমাধান না করি, তাহলে এই আন্দোলন থামবে না। এটা কেবল ট্যাক্সি ধর্মঘট নয়, এটা এক ক্ষুধার্ত জাতির রুটি ও সম্মানের দাবি।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত