বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বর মাস নাগাদ যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন তার পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ও দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির।
বৃহস্পতিবার সিলেটের গোয়ালাবাজারে এক সুধী সমাবেশ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।
হুমায়ুন কবির বলেন, “জাতীয় নির্বাচনের তফসিল নভেম্বর-ডিসেম্বরে ঘোষণা হবে ধরে নিয়েই তারেক রহমান ওই সময়ের দিকে দেশে ফিরবেন। তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দলের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক মহলে এখন বিএনপি ও তারেক রহমানের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। তিনি নির্বাচনে নেতৃত্ব দেবেন এবং সরকার গঠন করলে প্রধানমন্ত্রী হবেন— এমন প্রত্যাশা থেকেই এই আগ্রহ।”
বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান ২০০৮ সাল থেকেই সপরিবারে লন্ডনে রয়েছেন। আওয়ামী লীগ শাসনামলে নানা মামলায় দণ্ডের পর তার আর ফেরা হয়নি।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে তারেক রহমানের ফেরার আশায় ছিলেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। কারণ বিভিন্ন মামলার দায় থেকে একে একে মুক্তি পান তিনি।
এর মাঝে ছয় বছর পর কারামুক্ত খালেদা জিয়া গত মে মাসে চিকিৎসার জন্য লন্ডন যান, তখন তার ফিরে আসা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখছিলেন কেউ কেউ। তারেক রহমানের ফিরে না আসার মধ্যে তার যাওয়ায় নানা গুঞ্জন ভাসছিল। তবে সেই গুঞ্জনে অবসান ঘটে বিএনপি চেয়ারপারসনের ফিরে আসার মধ্যদিয়ে।
তারেক রহমানের এখনও না ফেরা রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার বিষয় হয়েই রয়েছে, যিনি বিএনপির নেতাদের কাছে কাণ্ডারী, কর্মীদের চোখে ভবিষ্যৎ। বিএনপি নেতারা বলে আসছেন, সময় হলেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান।
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাম্প্রতিক বৈঠক প্রসঙ্গে হুমায়ুন কবির জানান, “বৈঠকটি ছিল সৌজন্যমূলক। তবে দেশের রাজনৈতিক অবস্থা, নির্বাচনের পূর্বাভাস এবং নির্বাচিত হলে তারেক রহমান কী ধরনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চান— এসব নিয়েও আলোচনা হয়েছে।”
বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের আয়োজনে এ সুধী সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এনামুল হক চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী।