জুলাই সনদ নিয়ে নিজেদের মতামত জমা দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও নাগরিক ঐক্য। তাদের নিয়ে মোট ২৬টি দলের প্রতিবেদন জমা হলো জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে।
এরপরও চারটি দলে মতামত জমা পড়ার বাকি আছে। দলগুলো হলো- গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি), রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ও ইসলামী ঐক্যজোট।
রবিবার চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন এবং মাহমুদুর রহমান মান্না নেতৃত্বাধীন নাগরিক ঐক্য তাদের মতামত জমা দেওয়ার পর এই তথ্য জানিয়েছে বাসস।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জানিয়েছে, রবিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত ২৫তম ও ২৬তম দল হিসাবে কমিশনের কাছে মতামত জমা দেয় ইসলামী আন্দোলন ও নাগরিক ঐক্য।
শুক্রবার মতামত জমা দেয় ২৪টি দল। দলগুলো হলো- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), খেলাফত মজলিস, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম), বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, ১২ দলীয় জোট, আমজনতার দল, গণফোরাম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), জাতীয় গণফ্রন্ট, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী), গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (বাংলাদেশ জাসদ), বাংলাদেশ লেবার পার্টি, জাকের পার্টি, ভাসানী জনশক্তি পার্টি, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিনের প্রতিবেদন জমা পড়ে গত ফেব্রুয়ারি মাসে।
এসব প্রতিবেদনের সুপারিশের বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৫ ফেব্রুয়ারি যাত্রা করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিজেই এর প্রধান হন, সহ-সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় আলী রীয়াজকে।
কোনও ঘোষণাপত্র ছাড়াই অভ্যুত্থান ঘটে যাওয়ার পর তার স্থায়ী স্বীকৃতির জন্য জুলাই সনদ প্রণয়নের ঘোষণা গত ডিসেম্বরে দিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
তখন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয় যে সব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে অন্তর্বর্তী সরকারই তা প্রণয়ন করবে।
অভ্যুত্থানের বছর পূর্তির মধ্যেই একটি জাতীয় সনদ তৈরির লক্ষ্য নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে টানা বৈঠক চালিয়ে যাচ্ছিলেন আলী রীয়াজসহ কমিশনের সদস্যরা। তবে অভ্যুত্থানের বছর পূর্তিতে জুলাই ঘোষণা এলেও জুলাই সনদ এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
ঐকমত্য কমিশন জুলাই সনদের চূড়ান্ত খসড়া গত ২০ আগস্ট রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠিয়ে মতামত আহ্বান করে।
২২ আগস্ট বিকাল ৩টার মধ্যে মতামত জমা দেওয়ার সসময় বেঁধে দেওয়া হয়। তবে তার দুই ঘণ্টা আগ পর্যন্ত চারটি দলের মতামত পাওয়া যায়নি।