সিপিএলে বিধ্বংসী ইনিংসই খেললেন সাকিব আল হাসান। অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা ফ্যালকনসের হয়ে সেন্ট লুসিয়া কিংসের বিপক্ষে ২০ বলে করেছেন ফিফটি, যা তাঁর ক্যারিয়ারে যৌথভাবে দ্রুততম। ১০ ম্যাচ পর স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ফিফটি পেয়েছেন তিনি। সাকিব সর্বশেষ ফিফটি পেয়েছিলেন এ বছরের গ্লোবাল সুপার লিগে দুবাই ক্যাপিটালসের হয়ে নিউজিল্যান্ডের সেন্ট্রাল ডিসট্রিক্টসের বিপক্ষে।
২৬ বলে ৫ বাউন্ডারি ৫ ছক্কায় সাকিব খেলেছেন ৬১ রানের ইনিংস, স্ট্রাইক রেট ২৩৪.৬১। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ৩০ ছাড়ানো ইনিংসে সাকিবের সেরা স্ট্রাইক রেট এটাই।, ২০২৩-২৪ মৌসুমের বিপিএলে রংপুরে রাইডার্সের হয়ে আগের রেকর্ড ছিল ২২২.৫৮। সেই ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে করেছিলেন ৩১ বলে ৬৯ রান।
সাকিব আল হাসান ও আমির জাঙ্গোর হাফ সেঞ্চুরিতে ২০৪ রান করেছিল অ্যান্টিগা। সেই লক্ষ্য টিম সেইফার্টের সেঞ্চুরিতে ১৩ বল আর ৬ উইকেট হাতে রেখেই পেরিয়ে যায় সেন্ট লুসিয়া। ৫৩ বলে অপরাজিত ১২৫ রানের ইনিংসে ম্যাচ সেরার পুরস্কার সেইফার্টের।
মাত্র ৪০ বলে সেঞ্চুরি করেন সেইফার্ট। এটি সিপিএলের ইতিহাসে যৌথভাবে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড। ৪০ বলে সেঞ্চুরি আছে আন্দ্রে রাসেলের। ২০১৮ সিপিএলে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে জ্যামাইকা তালাহওয়াসের হয়ে এই রেকর্ড গড়েছিলেন রাসেল।
সাকিব বল হাতে ২ ওভারে ৩২ রান দিয়ে পাননি উইকেটের দেখা। নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে এসে সেইফার্টের তোপের মুখে পড়েন সাকিব। প্রথম দুই বলেই ছক্কা ও চার মারেন সেইফার্ট। এক বল বিরতি দিয়ে আবারও চার ও ছক্কা মারেন সেইফার্ট। শেষ বলে আরেকটি চার। সেই ওভারে ২৪ রান দেন সাকিব। এরপর আর বোলিংয়ের সুযোগ পাননি।