পার্থে ব্যর্থ রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। প্রত্যাবর্তন স্মরণীয় করতে পারলেন না ভারতীয় দুই কিংবদন্তি। রান না পাওয়ার পাশাপাশি যে ভাবে তারা খেললেন তাতে স্পষ্ট, আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভুগেছেন দুজনই। দুই ব্যাটার মিলে মোট ২২ বল খেললেন। রোহিত ১৪ বলে ৮ রান করলেন। কোহলির আউট ৮ বলে শূন্য রানে।
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ৩০ ওয়ানডেতে এই প্রথম শূন্য রানে ফিরলেন কোহলি। জেমস অ্যান্ডারসনের পর দ্বিতীয় বোলার হিসেবে কোহলিকে দুইবার শূন্যতে ফেরালেন মিচেল স্টার্ক।
রোহিত ও কোহলি দুজনই সর্বশেষ ভারতের হয়ে খেলেছেন ৭ মাস আগে। এ বছরের ৯ মার্চ আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালের পর ভারতের হয়ে আর খেলেননি তারা। এরপর দুজন খেলেছেন শুধু আইপিএলে, সেটিও ৫ মাস আগে।
২২৪ দিন পর ফিরে পার্থে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে রোহিত শুরুতে কিছুটা সময় নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু তাঁর ব্যাটে-বলে হচ্ছিল না। দেখে মনে হচ্ছিল, ভয়ে ভয়ে শট মারছেন। রোহিত আউট হওয়ার পরেই ধারাভাষ্যকার রবি শাস্ত্রী বললেন, “বলের বাউন্স সামলাতে পারল না। পিচে পড়ে বল একটু বেশি লাফাল। সেটাই সমস্যায় ফেলল রোহিতকে। অস্ট্রেলিয়া এসে দু’দিন অনুশীলন করেছে। এখনও পিচের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেনি।”
শাস্ত্রী যতই ঢাকার চেষ্টা করুন, রোহিত তো আর এই প্রথম অস্ট্রেলিয়ায় খেলছেন না। তাঁর তো জানা উচিত সেখানকার পিচ কেমন? বয়স কি বাধা হয়ে দাঁড়াল? কোহলি আবার তাড়াহুড়ো করলেন। সেই অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে যাওয়ার রোগ সারল না। দুই ব্যাটারকেই পরিকল্পনা করে আউট করল অস্ট্রেলিয়া।
ভারতের সিনিয়র এই দুই ক্রিকেটারকে এই সিরিজে খেলতে হচ্ছে তরুণ অধিনায়ক গিলের নেতৃত্বে। অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আগে ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে রোহিতকে সরিয়ে গিলকে অধিনায়ক করা হয়েছে। ছন্দে না ফিরলে পরের বিশ্বকাপ অনিশ্চিতই থেকে যাবে রোহিত-কোহলির।
বৃষ্টিতে বন্ধ আছে ম্যাচ। ১১.৫ ওভারে ৩ উইকেটে ৩৭ রান করেছে ভারত।