আগেই ঘোষণা হয়েছিল, এবারের জাতীয় লিগের চারদিনের ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে ময়মনসিংহের। তাই বিভাগ না হলেও জাতীয় ক্রিকেটে অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল ময়মনসিংহ। অবশ্য বৈপরীত্য বিশেষ নেই। ঢাকা মেট্রোর হয়ে যে ক্রিকেটাররা খেলতেন তারাই খেলবেন এই দলে। শুরুর দিনে সিলেটে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ৭ উইকেটে ২৬৮ রান তুলে দিন শেষ করেছে তারা। সেঞ্চুরি করেছেন তরুণ আরিফুল ইসলাম।
এদিকে জোড়া সেঞ্চুরিতে রাজশাহীতে জাতীয় লিগের প্রথমদিনই বড় সংগ্রহ গড়েছে চট্টগ্রাম। ৪০১ রানে প্রথম দিন অলআউট হয়েছে তারা। দিন শেষে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহী ২ রান তুলতেই হারিয়েছে এক উইকেট। চট্টগ্রামের হয়ে মাহমুদুল হাসান জয় ও ইয়াসির আলি রাব্বি সেঞ্চুরি করেছেন।
সিলেট একাডেমি মাঠে রংপুরের বিপক্ষে ২২১ রানে অলআউট হয়েছে ঢাকা বিভাগ। মার্শাল আইয়ুবের সেঞ্চুরিতে এ সংগ্রহ তোলে দলটি। দিন শেষে রংপুর ২ উইকেটে ৬৫ রান তুলেছে। মার্শাল ১৬১ বলে ১০৫ রানের ইনিংস খেলেন। তাকে সঙ্গ দিয়েছেন ৭১ রান করা জিসান আলম। রংপুরের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন আবু হাসিম, নাসির হোসেন নিয়েছেন ২ উইকেট।
খুলনায় স্বাগতিকরা বরিশালের বিপক্ষে ৯ উইকেটে ৩১২ রান করে প্রথম রাউন্ডের প্রথম দিন শেষ করে। সর্বোচ্চ ৬৯ রান করেন অধিনায়ক জিয়াউর রহমান। এছাড়া শেখ পারভেজ জীবন অপরাজিত ৭২, সৌম্য সরকার ৩৭, এনামুল হক বিজয় ৩০, ও ইমরানুজ্জামান ৪৩ রান করেন। বরিশালের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন রুয়েল মিয়া ও মইন খান।
এবারের আসরে তারকা সমৃদ্ধ দল চট্টগ্রাম বিভাগ। জাতীয় দলে খেলা বেশিরভাগ ক্রিকেটারই আছেন দলটিতে। তাদের দুজনিই প্রথম রাউন্ডের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করলেন। অবশ্য রাজশাহী দলের ফিল্ডারদের ক্যাচ মিস, স্ট্যাম্পিংয়ের সুযোগ হাতছাড়া করায় তাইজুল ইসলামরা পিছিয়ে পড়লেন।
জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ো ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ১৫ চার ও ২ ছক্কায় ১৬৫ বলে খেললেন ১২৭ রানের ইনিংস। ওদিকে ১৩৮ বলে ১০ চার ও ৬ ছক্কায় ১২৯ রান করেছেন ইয়াসির আলি চৌধুরী। প্রথমশ্রেণীর ক্রিকেটে এই ইনিংস দিয়ে নিজের ৫ হাজার রান ও ১০ম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন ইয়াসির। এছাড়া ইরফান সুক্কুর ৭২ রান করলে বড় সংগ্রহ পায় চট্টগ্রাম। মুমিনুল হক ১৩ ও শাহাদাত হোসেন দিপু ১৭ রান করেন।
নতুন নামে খেলা ময়মনসিংহের হয়ে ২০৮ বলে ১০ চারে ১০১ রান করেছেন কিশোরগঞ্জের ছেলে আরিফুল। যুব দলের হয়ে খেলে এগিয়ে আসা আরিফুল বেশ কিছু টুর্নামেন্ট ধরেই ভালো করছেন মিডলঅর্ডারে। এবারও শুরু করলেন সেঞ্চুরিতে। আরিফুল ছাড়া দলটির হয়ে আবদুল মজিদ ৬৫ ও তাহজিবুল ইসলাম ৪৩ রান করেন।



