সরকারবিরোধী আন্দোলনে নেপাল এখন উত্তাল। পুলিশ প্রতিবাদকারীদের ওপর জলকামান, টিয়ার গ্যাস ও গুলি ব্যবহার করেছে। রাজধানী কাঠমান্ডু ও অন্যান্য বড় শহরে এখনো প্রতিবাদ চলছে।
বিক্ষোভকারীরা নিষিদ্ধ এলাকায় ঢুকে পার্লামেন্ট ভবনের ভেতরে প্রবেশ করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। জেন-জিদের বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। শুধু তা-ই নয়, শহরের বেশ কয়েকটি জায়গায় জারি হয়েছে কারফিউ। এমন পরিস্থিতিতে স্থগিত করা হয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল দলের অনুশীলন। এই বিক্ষোভে অনিশ্চিত আগামীকাল দশরথ স্টেডিয়ামে নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচও।
নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী জামাল ভূঁইয়ার দল আজকের অনুশীলন করতে পারেনি। নেপালের কাঠমান্ডু থেকে বাংলাদেশ ফুটবল দলের মিডিয়া ম্যানেজার সাদমান সাকিব জানিয়েছেন, বিকেল সোয়া ৩টায় অনুশীলন থাকলেও বাইরের পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকায়। অনুশীলনের জন্য রওনা হওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ দল এখন নিরাপদে হোটেলেই অবস্থান করছে। দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলন হয়েছে টিম হোটেলেই। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকেও সোমবার বেলা ৪টায় আনুষ্ঠানিকভাবে নেপালের পরিস্থিতি জানিয়ে বলা হয়, ‘‘নেপালের বিপক্ষে দ্বিতীয় ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচকে সামনে রেখে আজ বেলা ৩:০০টায় দশরথ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ জাতীয় দলের অনুশীলন নির্ধারিত ছিল। তবে অনিবার্য কারণবশত অনুশীলন সেশনটি আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। অনুশীলনের নতুন সময়সূচি পরবর্তীতে জানিয়ে দেয়া হবে।’’
কাঠমান্ডু জুড়ে বিক্ষোভ চলায় সেই অনুশীলন তো বটেই ম্যাচটাই এখন শঙ্কায়।