Beta
বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫

বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলিখিত ফাইনাল আজ

s4
[publishpress_authors_box]

দ্বিতীয় ওয়ানডেতেই সিরিজ নিশ্চিত করতে পারত বাংলাদেশ। জিততে জিততে সেই ম্যাচ হেরেছে মেহেদী হাসান মিরাজের দল। সুপার ওভারে ছন্দে থাকা রিশাদ হোসেনের জায়গায় নাজমুল হোসেন শান্তকে পাঠানোর ভুল নিশ্চিত অনেক দিন পোড়াবে মিরাজদের। তবে সব ভুলে আজ সিরিজের শেষ ম্যাচে মনোযোগ বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের। মিরপুরের কালো উইকেটে স্পিন সামলানোর ওপরই নির্ভর করছে ১-১ সমতা থাকা সিরিজের অলিখিত ফাইনাল ম্যাচটির ভাগ্য।

এই সিরিজে ফিফটি হয়েছে মাত্র দুটি। বাংলাদেশের তাওহিদ হৃদয় আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের শাই হোপ খেলেছেন ৫০-এর বেশি রানের ইনিংস। তবে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১৪ বলে ৩৯ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে ২০০ রান পার করিয়েছিলেন রিশাদ হোসেন। প্রথম ম্যাচেও ১৩ বলে ২৬ রানের ক্যামিও খেলেছিলেন রিশাদ। এজন্যই তাকে দ্বিতীয় ম্যাচে সুপার ওভারে ব্যাট হাতে না দেখে অবাক হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজও।

একাদশে খুব বেশি বদল হয়তো করবে না বাংলাদেশ। রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, তানভীর ইসলামরা স্পিন জাল বিছিয়ে আটকাতে চাইবেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটারদের। সাথে মোস্তাফিজ তো থাকছেনই।

একাদশ পরিবর্তন এলে তাই ব্যাটিংয়েই আসার সম্ভাবনা বেশি। টপ অর্ডার ব্যাটারদের কাউকে বসিয়ে খেলানো হতে পারে তানজিদ হাসান তামিমকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৫০ ওভার স্পিন সামলাতে হয়েছে আগের ম্যাচে। মিরপুরের কালো পিচে আবারও ক্যারিবিয়ান স্পিনের চ্যালেঞ্জ সামলাতে হবে টাইগারদের।

দ্বিতীয় ম্যাচে দৃষ্টিকটু ছিল বাংলাদেশ ইনিংসের ৬২.০৪ শতাংশই ডট বল! স্ট্রাইক রোটেশনে উন্নতি করতে না পারলে রান পাওয়া কঠিন।

কেন এত বেশি ডট বল বাংলাদেশ ইনিংসে? দ্বিতীয় ওয়ানডে শেষে সংবাদ সম্মেলনে সৌম্য সরকার বলেছিলেন, ‘‘এই উইকেটে শট খেলা খুবই কঠিন। দেখেছেনই তো, খুব বেশি সিঙ্গেল নেওয়া যায়নি, ওভারপ্রতি বাউন্ডারিও ছিল খুবই কম।’’

তবে রিশাদ হোসেন দেখিয়ে দিয়েছেন, এই পিচেও স্পিনের বিপক্ষে কত সহজে খেলা যায়! ২ ম্যাচে ৬৫ রান নিয়ে তিনিই স্বাগতিকদের পক্ষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। সাইফ-শান্তদের প্রেরণা হতে পারেন রিশাদই!

আরও পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত