Beta
বৃহস্পতিবার, ৯ মে, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ৯ মে, ২০২৪

আয়না

বটমূলে বর্ষবরণ

সুরে-গানে-কথায়

বাংলা নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট রমনার বটমূলে আয়োজন করে আসছে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। সুরে-গানে-কথায় এ আয়োজন যোগায় বাঙালি হয়ে বাঁচবার রসদ, জানায় বাঙালির জীবনকে শুদ্ধ করার আহ্বান। জাতীয় জীবনে দীর্ঘ প্রায় ষাট বছর ধরে সত্যিকারের প্রাণ-প্রকৃতি ঘনিষ্ঠ বাঙালি হওয়ার প্রেরণা হয়ে উঠেছে এ অনুষ্ঠান । ঢাকায় রমনা পার্কে অশ্বত্থ গাছের নিচে ১৩৭৪ বঙ্গাব্দ/ ১৯৬৭ সালের মধ্য এপ্রিলে পহেলা বৈশাখের সকালে প্রথম বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল। অশ্বত্থ পঞ্চবটীরই একটি বলে অনুষ্ঠান চত্বরের নাম হয়েছে বটমূল। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় এবং করোনা মহামারির সময় ২০২০ ও ২০২১ সালে বটমূলে বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। বাঙালির সম্প্রীতি আর ঐক্যের সুর গড়ার বার্তা দেয় বর্ষবরণের এই অন্যবদ্য আয়োজন। ছবি: ছায়ানটের সংগ্রহশালা থেকে (বি.স.)

১৩৭৪ সালের বঙ্গাব্দের প্রথম প্রভাতে রমনায় অশ্বথ বৃক্ষের নিচে ছায়ানট আয়োজিত প্রথম বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। আলোকচিত্রের সূত্র: ঢাকা – ফোর হান্ড্রেড ইয়ারস ইন ফটোগ্রাফস, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুক গ্রুপ।
ষাটের দশকের শেষ অথবা সত্তরের দশকে প্রথম দিকে রমনার বটমূলে অন্যদের সঙ্গে সন্‌জীদা খাতুনের পরিবেশনা। আলোকচিত্রের সূত্র: আছির উদ্দিন। আহমেদ, সম্পাদক, ঝিনুক। এই ম্যাগাজিনটি ষাটের দশক থেকে প্রকাশিত হয়েছিল।
সত্তরের দশকে শিশুদের রমনায় বটমূলে বাংলা বর্ষবরণে ছায়ানটের শিশু শিক্ষার্থীদের পরিবেশনা। আলোকচিত্রের সূত্র: পাওয়া যায়নি।
১৯৭২ (আনুমানিক) সালে বর্ষবরণে সঙ্গীত পরিবেশনা।
১৩৮৪ বঙ্গাব্দে রমনা পার্কে ছায়ানট আয়োজিত বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে শিল্পীদের সঙ্গীত পরিবেশনা। আলোকচিত্রের সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক।
১৩৮৪-১৩৮৫ বঙ্গাব্দ (আনুমানিক) রমনায় বর্ষবরণ সঙ্গীতানুষ্ঠান শেষে শিল্পীদের একাংশ।
১৩৮৯ বঙ্গাব্দে বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে শিল্পীদের পরিবেশনা।
১৩৯৫ বঙ্গাব্দে রমনার বটমূলে ছায়ানট আয়োজিত বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করছে শিল্পীরা। আলোকচিত্রের সূত্র: দ্য ডেইলি অবজারভার।
রমনায় বটমূল চত্বরে ১৩৯৭ বঙ্গাব্দে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে অঞ্জলী রায়ের সঙ্গে সন্‌জীদা খাতুন।
১৩৯৮ বঙ্গাব্দে রমনায় বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে শিল্পীদের সঙ্গীত পরিবেশন। আলোকচিত্র: দ্য ডেইলি স্টার।
১৪০২ বঙ্গাব্দে রমনার বটমূলে বর্ষবরণ পরিবেশনা।
রমনা পার্কে ১৪০৩ বঙ্গাব্দে ছায়ানটের বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশনের সময় দাঁড়িয়ে আছেন ওয়াহিদুল হক।
নব্বইয়ের দশকের শেষে রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করছেন এক বাউল।
১৪০৪ বঙ্গাব্দে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে মগ্ন দর্শকদের একাংশ। 
রমনায় ১৪০৬ বঙ্গাব্দে ছায়ানট আয়োজিত বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠান।
১৪০৮ বঙ্গাব্দে বাংলা বছরের প্রথম দিনে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ২০-২৫ মিনিট আগে ছায়ানটের সংগঠকদের সঙ্গে সন্‌জীদা খাতুন। আলোকচিত্র: এম মমিনুল হক।
রমনায় ১৪০৮ বঙ্গাব্দে বটমূল বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলার দুই-তিন মিনিট আগে সঙ্গীত উপভোগ করছেন শ্রোতারা। আলোকচিত্র: এম মমিনুল হক।
রমনার বটমূলে ১৪০৮ বঙ্গাব্দে বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলার পর হতবিহ্বল শ্রোতা-শিল্পীরা। আলোকচিত্র: এম মমিনুল হক।
১৪১১ বঙ্গাব্দে রমনায় বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ছায়ানটের শিক্ষার্থীদের সঙ্গীত পরিবেশনা।
রমনা পার্কে ১৪১২ বঙ্গাব্দে বটমূলে বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করছে ছায়ানটের শিল্পীরা।
১৪১৭ বঙ্গাব্দে রমনার বটমূলে বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন।
লাল-সবুজ রঙের পোশাকে ১৪২০ বঙ্গাব্দে রমনার বটমূলে বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ছায়ানটের শিল্পীদের সঙ্গীত পরিবেশনা।
১৪২১ বঙ্গাব্দে পহেলা বৈশাখে রমনার বটমূলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে শিল্পীদের দাঁড়িয়ে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনা।
১৪২২ বঙ্গাব্দ উদযাপনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে রমনার বটমূলে।
১৪২৪ বঙ্গাব্দের পহেলা বৈশাখে রমনার বটমূলে সঙ্গীত পরিবেশনা। এ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের ৫০ বছর পূর্তি হয়।

আরও পড়ুন