Beta
বুধবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৫
Beta
বুধবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৫

কমিটি প্রত্যাখ্যান, নতুন করে ৫ দফা দাবি প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের

buet-student-protest-shahbagh-270825
[publishpress_authors_box]

প্রকৌশল পেশায় বিএসসি ডিগ্রিধারী ও ডিপ্লোমাধারীদের পেশাগত দাবিগুলোর যৌক্তিকতা পরীক্ষা করে সুপারিশ দিতে সরকার যে কমিটি গঠন করেছে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে নতুন করে পাঁচ দফা দাবি ঘোষণা করেছেন তারা।

আন্দোলনরত প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, স্বরাষ্ট্র ও শিক্ষা উপদেষ্টা রাজধানী ঢাকার শাহবাগে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কাছে গিয়ে তাদের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। এদিকে আন্দোলনরত প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)।

তিন দাবিতে মঙ্গলবার ঢাকার শাহবাগে বিক্ষোভের পর বুধবার ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি নিয়ে নেমেছিল বুয়েটসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা। বুধবার সকাল ১১টার দিকে শাহবাগে সড়ক অবরোধ করে বসে পড়ে তারা। দেড়টার দিকে মিছিল নিয়ে যাত্রা শুরু করে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে।

কিন্তু শ খানেক গজ এগোতেই হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে মিছিলের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ায় পুলিশ। এরপর তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। প্রথমে পুলিশের লাঠিপেটা, তারপর কাঁদুনে গ্যাস, সঙ্গে সাউন্ড গ্রেনেড; তাতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে মিছিল নিয়ে যাওয়া আর হয়নি প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের।

এদিকে শাহবাগে এই ঘটনা চলার মধ্যে প্রকৌশল পেশায় বিএসসি ডিগ্রিধারী ও ডিপ্লোমাধারীদের পেশাগত দাবিগুলোর যৌক্তিকতা পরীক্ষা করে সুপারিশ দিতে ওই কমিটি গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

টিবিএস জানিয়েছে, বুধবার বিকালে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ পাঁচটি দাবি উত্থাপন করেন।

‘প্রকৌশল অধিকার আন্দোলন’ ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আন্দোলনে পুলিশি হামলার ঘটনায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে, জবাবদিহি করতে হবে।

একই সঙ্গে শিক্ষার্থীরা সরকারের গঠিত তদন্ত কমিটি প্রত্যাখ্যান করে তাদের পূর্বঘোষিত তিন দফা দাবিকে নির্বাহী আদেশে প্রজ্ঞাপন আকারে জারির দাবি জানান।

পুলিশের বাধার মুখে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। ছবি : হারুন-অর-রশীদ
পুলিশের বাধার মুখে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। ছবি : হারুন-অর-রশীদ

শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ বলেন, “সরকারের পক্ষ থেকে গঠিত কমিটিতে আমাদের প্রতিনিধিত্বের অনুপস্থিতি থাকায় আমরা সেটি প্রত্যাখ্যান করলাম।”

এছাড়া আন্দোলন চলাকালে আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ব্যয় সরকারের বহন করা, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থী প্রকৌশলী রোকনুজ্জামান রোকনের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও চাকরি থেকে বহিষ্কার এবং হামলায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা।

শিক্ষার্থীরা স্পষ্ট করে বলেন, তাদের পাঁচ দফা দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন থেকে সরে আসবেন না।

শিক্ষার্থীদের ৫ দাবি

১. স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বরোচিত ও ন্যাক্কারজনক হামলার জন্য আন্দোলনকারীদের সামনে এসে ক্ষমা চাইতে হবে এবং জবাবদিহি করতে হবে।

২. প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এর আগে গঠিত কমিটিকে আমরা আমাদের প্রতিনিধিত্বের অনুপযুক্ত মনে করি এবং প্রত্যাখ্যান করি। অতি দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিনিধিসহ প্রকৌশল আন্দোলনের স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে নিয়ে কমিটি সংস্কার করে পেশকৃত তিন দফা দাবি দ্রুততম সময়ের মধ্যে মেনে নিয়ে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে এবং এ মর্মে সংশ্লিষ্ট তিন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, আদিলুর রহমান ও সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানকে আজই এসে এর নিশ্চয়তা দিতে হবে।

৩. হামলায় আহত সব শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যয়ভার সরকারকে বহন করতে হবে এবং এই আন্দোলন চলাকালে সব শিক্ষার্থীর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। পুলিশ দিয়ে এই যৌক্তিক আন্দোলনে আর কোনও হামলা করা যাবে না।

৪. রোকন ভাইয়ের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং চাকরি থেকে বহিষ্কার করতে হবে।

৫. শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে হামলার জন্য ডিসি মাসুদকে বহিষ্কার করতে হবে।

প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা যে তিন দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিল সেগুলো হলো- নবম গ্রেড সহকারী প্রকৌশলী পদে কেবল পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ ও ন্যূনতম যোগ্যতা বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং করা, দশম গ্রেডে শুধু ডিপ্লোমাধারীদের সঙ্গে উচ্চ ডিগ্রিধারীদেরও আবেদনের সুযোগ তৈরি করা, শুধু বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিগ্রিধারীদের ‘ইঞ্জিনিয়ার’ হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া।

দাবি আদায়ে মঙ্গলবার ৫ ঘণ্টা শাহবাগ অবরোধের পর সেখানে সংবাদ সম্মেলন করে ঢাকার বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও প্রকৌশলীদের রাজধানীতে ডাকা হয়; কর্মসূচির নাম দেওয়া হয় ‘লংমার্চ টু ঢাকা’।

শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার জানিয়েছিলেন, তাদের ১১ জন প্রতিনিধি শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করলেও তাতে কোনও ফল আসেনি।

একইসঙ্গে তারা অভিযোগ করেন, রংপুরে প্রকৌশলী রোকনুজ্জামান রোকনকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা হত্যার হুমকি দিলেও প্রশাসন এখন পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।

তিন দফা দাবি সঙ্গে রংপুরের হুমকিদাতাদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বুধবার শাহবাগে জড়ো হয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

বিবিসি বাংলা জানিয়েছে, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা শাহবাগে অবস্থান নিলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দেশের বিভিন্ন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও শিক্ষার্থীরা এতে যোগ দেয়।

দেড়টার দিকে তারা যমুনা অভিমুখে মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানায়, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে আসার পর ওই মিছিল পুলিশ আটকে দেয়। এক পর্যায়ে সেখানে পুলিশ লাঠিপেটার পর সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদুনে গ্যাস ছুড়ে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

এই ঘটনায় কয়েকজন শিক্ষার্থী ও পুলিশ আহত হন।

নাইম মির্জা নামে আহসান উল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর আহত হওয়ার খবর দিয়েছে প্রথম আলো। তিনি বলেন, “মিছিলের সামনে ছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দের সঙ্গে কিছু একটা এসে আমার বাঁ পায়ে আঘাত করে।”

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষার্থীরা কথা না শোনায় এই পরিস্থিতির উদ্ভব হয়।

তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা চলছিল। সচিবালয়ে তিনজন উপদেষ্টা এটা নিয়ে কাজ করছেন। শিক্ষার্থীদের বলা হয়েছিল, শাহবাগে অবস্থান করতে। আধঘণ্টার ভেতরে তাদের সমস্যার সমাধান হবে।

“আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা শিক্ষার্থীরা বেলা ৩টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে রাজিও হয়েছিলেন। কিন্তু আলোচনা চলাকালীন হঠাৎ শিক্ষার্থীরা যমুনা অভিমুখে রওনা হন। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে যমুনার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন তাদের ছত্রভঙ্গ করা হয়। এসময় পুলিশকে লক্ষ করে ইট-পাটকেল ছোড়া হয়। এই ঘটনায় কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।”

ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ার পর শিক্ষার্থীরা পুনরায় ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে অবস্থান নেয়। সেখানে থাকা বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাইয়াজ জানান, পুলিশের হামলায় ৩৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।

জলকামান দিয়ে আন্দোলনরতদের ওপর পানি ছোড়ে পুলিশ। ছবি : হারুন-অর-রশীদ
জলকামান দিয়ে আন্দোলনরতদের ওপর পানি ছোড়ে পুলিশ। ছবি : হারুন-অর-রশীদ

কমিটি গঠন

শাহবাগে বিক্ষোভ চলার মধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোখলেসুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের কোনও প্রয়োজন নেই।

“বুয়েট শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের প্রয়োজন নেই। যথাযথ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মাধ্যমে পেশ করা হলে সহজেই সমাধান করা সম্ভব।”

“প্রস্তাব পেলে এ বিষয় সহজেই সমাধান সম্ভব। শুধু জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নয়, বুয়েটের এই দাবিগুলোর সাথে আইন মন্ত্রণালয় এবং পিএসসি জড়িত রয়েছে। সবাইকে নিয়ে বসে বিষয়টি সমাধান করা হবে,” বলেন তিনি।

এরপর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রকৌশল পেশায় বিএসসি ডিগ্রিধারী ও ডিপ্লোমাধারীদের পেশাগত দাবিগুলোর যৌক্তিকতা পরীক্ষা করে সুপারিশ দিতে একটি কমিটি গঠনের প্রজ্ঞাপন আসে।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে জানানো হয়, জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে সভাপতি করে গঠিত এই কমিটিতে গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সদস্য থাকবেন।

আট সদস্যের কমিটিতে আরও থাকছেন- ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের সভাপতি মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম, ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের সভাপতি প্রকৌশলী মো. কবির হোসেন, বোর্ড অব অ্যাক্রেডিটেশন ফর ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনিক্যাল এডুকেশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী তানভির মঞ্জুর এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক (সদস্য সচিব)।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, প্রকৌশল পেশায় বিএসসি ডিগ্রিধারী ও ডিপ্লোমাধারীদের দাবির যৌক্তিকতা যাচাই করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন তৈরি করবে এই কমিটি। আগামী এক মাসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে হবে।

প্রয়োজন মনে করলে কমিটি নতুন সদস্য নিতে (কো-অপ্ট) পারবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।

এদিকে যমুনায় যেতে ব্যর্থ হওয়ার পর ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে এই কমিটি প্রত্যাখ্যানের পাশাপাশি নতুন করে পাঁচ দফা দাবি ঘোষণা দেয় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

বুয়েটের প্রতিবাদ

আন্দোলনরত প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে বুয়েট। বুধবার বুয়েটের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্বে) এন এম গোলাম জাকারিয়ার সই করা বিবৃতিতে প্রতিবাদ জানানো হয়। সেটি পরে গণমাধ্যমকে জানিয়েছে বুয়েট কর্তৃপক্ষ।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিএসসি (ইঞ্জিনিয়ারিং) গ্র্যাজুয়েট প্রকৌশলীদের সহকারী প্রকৌশলী বা সমমানের পদে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে অধিকার সুরক্ষা, সুসংহত করাসহ সংশ্লিষ্ট গ্রেডে কোটা–সংক্রান্ত বৈষম্য দূর করার দাবিতে কয়েক দিন ধরে বুয়েটসহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে আসছেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার বুয়েটের উপাচার্য ও সহ–উপাচার্য সচিবালয়ে শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে দ্রুত শিক্ষার্থীদের দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানান। এরই ধারাবাহিকতায় বিএসসি ডিগ্রিধারী ও ডিপ্লোমাধারীদের পেশাগত দাবিগুলোর যৌক্তিকতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সুপারিশ দেওয়ার জন্য আজ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের সভাপতিত্বে আট সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আজ বুয়েটসহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উল্লিখিত দাবিদাওয়া আদায়ের লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে যেতে চাইলে পুলিশ তাদের ওপর কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে ও লাঠিচার্জ করে। এতে অনেক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন।

পুলিশের এ হামলার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যা সমাধানের বদলে পুলিশের এ ধরনের হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বুয়েট প্রশাসন পুলিশের এ আচরণে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ, মর্মাহত এবং এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।

যথাযথ তদন্ত করে হামলার ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নেবে বুয়েট প্রশাসন এমনটাই আশা করছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত