বাংলা সিনেমার শীর্ষ নায়ক শাকিব খান জড়িয়েছেন ক্রিকেটেও। গত বিপিএলে একটি দল কিনেছিলেন তিনি। শাকিবের কসমেটিকস ও হোম কেয়ার কোম্পানি রিমার্ক-হারল্যানের হয়ে কেনা ‘ঢাকা ক্যাপিটালস’ দল নিয়ে আগ্রহ ছিল শুরু থেকেই। কিন্তু লিটন দাস, মোস্তাফিজুর রহমান, তানজিদ হাসান তামিম, জনসন চার্লস, থিসারা পেরেরাদের নিয়েও ব্যর্থ হয়েছিল ঢাকা।
৭ দলের বিপিএলে ৬ নম্বরে থেকে শেষ করে ঢাকা ক্যাপিটালস। জয় পেয়েছিল কেবল ৩ ম্যাচ। তারপরও নতুন মৌসুমে দল গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন শাকিব খান। কিন্তু বিপিএলে তদন্ত কমিটির যা পর্যবেক্ষণ তাতে দল গড়া পরের কথা, দলের মালিকানা হারানোর শঙ্কা এখন শাকিবের। স্পট ফিক্সিংয়ের মতো অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হচ্ছে এই দলের বিপক্ষে।
একাদশ বিপিএলে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গত ফেব্রুয়ারিতে তিন সদস্যের স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল বিসিবি। আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দারের নেতৃত্বে এই কমিটিতে আছেন আইনজীবী ড. খালেদ এইচ চৌধুরী ও সাবেক ক্রিকেটার শাকিল কাসেম।
এই তদন্ত কমিটি তিনটি দলের বিপক্ষে স্পট ফিক্সিংয়ের মতো অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে বলে উঠে এসেছে তদন্তে। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো হলো দুর্বার রাজশাহী, সিলেট স্ট্রাইকার্স ও ঢাকা ক্যাপিটালস।
দুর্বার রাজশাহী শুরু থেকে বেতন নিয়ে টালবাহানা করেছিল। রাজশাহীর খেলোয়াড়রা ধর্মঘটের মত সিদ্ধান্ত নিতেও বাধ্য হয়েছিলেন। তবে বেতন নিয়ে পেশাদার আচরণ করলেও শাকিব খানের ঢাকার নাম আসাটা বিস্ময়করই। পুরোপুরি নির্দোষ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত এসব ফ্র্যাঞ্চাইজিকে বিসিবির ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ড থেকে দূরে রাখার সুপারিশই করবে তদন্ত কমিটি।
আগামী সপ্তাহখানেকের মধ্যে তদন্ত কমিটি প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেবে বিসিবির সভাপতি আমিনুল ইসলামের কাছে। চূড়ান্ত রিপোর্ট দেওয়া হবে আগামী মাসে। সন্দেহজনক মোট ৩৬টি ঘটনা সামনে এসেছে তদন্ত কমিটির। এসব ঘটনায় অভিযুক্ত হিসেবে নাম আছে ১০–১২ জন ক্রিকেটারের, তাদের একজন ছিলেন সবশেষ শ্রীলঙ্কা সফরের দলেও!
এছাড়া বিপিএলের ২০২৩–২৪ মৌসুমে একটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে একটি ম্যাচ হারার জন্য জুয়াড়িরা প্রস্তাব দিয়েছিল ৪০০ কোটি টাকার, এমন প্রতিবেদন করেছে একটি জাতীয় দৈনিক। তবে সেই দল প্রস্তাবটা গ্রহণ করেছিল কিনা নিশ্চিত হতে পারেনি তদন্ত কমিটি।