Beta
বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে নিরাপদ জায়গায় রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে: আসিফ মাহমুদ 

আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
[publishpress_authors_box]

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডের পর থেকে প্রশ্ন উঠছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নিরাপত্তা নিয়ে।

যেখানে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন ছাত্রদল নেতা সাম্য, সেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নিরাপত্তা নিয়ে বুধবার ঢাবি প্রশাসন ও উদ্যান কর্তৃপক্ষ সভা করে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে আতঙ্কের স্থান থেকে ধীরে ধীরে একটি নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক স্থানে রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া তার ভেরিফায়েড ফেইসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা জানিয়েছেন।

সভায় নেওয়া ৭টি সিদ্ধান্তের কথা তুলে ধরে পোস্টে তিনি লিখেছেন, “রাজু ভাস্কর্যের পেছনের গেটটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হবে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ, মাদক ব্যবসা বন্ধ এবং পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, সিটি কর্পোরেশন, ডিএমপি ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে যৌথ অভিযান পরিচালিত হবে, নিয়মিত মনিটরিং ও অভিযানের জন্য সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করবে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, উদ্যানে পর্যাপ্ত আলো ও সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন এবং সেগুলোর নিয়মিত মনিটরিং করা হবে।

“এছাড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একটি ডেডিকেটেড পুলিশ বক্স স্থাপন করা হবে, উদ্যানে রমনা পার্কের মতো সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা চালু করা হবে, রাত ৮টার পর উদ্যানে জনসাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হবে।”

অবিলম্বে এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে উল্লেখ করে পোস্টে তিনি বলেন, “সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে এক আতঙ্কের স্থান থেকে ধীরে ধীরে একটি নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক স্থানে রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”

এ প্রক্রিয়ায় সরকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করে।

মঙ্গলবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্যকে হত্যা করা হয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে আসার সময় ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় সাম্যকে। রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সাম্যের বন্ধুরা বলছেন, মোটরসাইকেল চালিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মুক্ত মঞ্চের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন সাম্য। এসময় অন্য একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে তার মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি এবং ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে সাম্যকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে ডান পায়ের উরুতে আঘাত করে পালিয়ে যায় ওই মোটরসাইকেলের আরোহী।

এ ঘটনায় বুধবার সকালে নিহতের বড় ভাই শরীফুল ইসলাম শাহবাগ থানায় ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

আসিফ মাহমুদ লিখেছেন, “এরই মধ্যে সাম্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত