Beta
বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫
Beta
বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫

প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী পেল জাপান, কী আছে তার ‘জাপান ফার্স্ট’ নীতিতে

image
[publishpress_authors_box]

জাপানের ‘আয়রন লেডি’ নামে খ্যাত কট্টরপন্থী রাজনীতিক সানায়ে তাকাইচি মঙ্গলবার ইতিহাস সৃষ্টি করলেন। সংসদের উভয় কক্ষ, অর্থাৎ নিম্নকক্ষ ও উচ্চকক্ষ থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেয়ে জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।

দেশটির বর্তমান শাসক দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সদস্য তাকাইচি নিম্নকক্ষে ২৩৭ ভোট এবং উচ্চকক্ষে ১২৫ ভোট পেয়েছেন। 

তাকাইচি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক উত্তরসূরি এবং দৃঢ় রক্ষণশীল মতাদর্শের জন্য পরিচিত। তার প্রধানমন্ত্রী হওয়া জাপানে নারীদের রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বের ক্ষেত্রে এটি এক ঐতিহাসিক দিন। বিশেষত দেশটির রাজনীতিতে নারীদের অবস্থানের যে ধীরে ধীরে পরিবর্তন হচ্ছে, তাকাইচির প্রধানমন্ত্রী হওয়া তারই ইঙ্গিত হিসেবে দেখছে আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলো।

রানঅফ ভোটের পর উচ্চকক্ষও তাকাইচিকে জাপানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করেছে। তিনি উচ্চকক্ষে ১২৫ ভোট পেয়েছেন। এটি সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় ভোটের চেয়ে এক ভোট বেশি। এর আগে নিম্নকক্ষে তিনি ২৩৭ ভোট পেয়েছিলেন। সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ছিল ২৩৩ ভোট।

সানায়ে তাকাইচি দেশটির ইতিহাসে প্রথম নারী সরকারপ্রধান হতে যাচ্ছেন এমন এক সময়ে, যখন জাপানের রাজনীতি অস্বাভাবিক রকম অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

৬৪ বছর বয়সী তাকাইচি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার স্থলাভিষিক্ত হবেন। গত মাসে ইশিবা ঘোষণা দিয়েছিলেন যে তিনি পদত্যাগ করবেন। কারণ সাম্প্রতিক নির্বাচনে তার নেতৃত্বাধীন দীর্ঘদিনের শাসক দল এলডিপির মারাত্মক পরাজয়ের ফলে সংসদের দুই কক্ষেই জোটের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে।

ভোট সংক্রান্ত যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে সম্রাটের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎ শেষে তার কার্যকাল শুরু হবে।

তাকাইচি তার দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই উচ্চ পর্যায়ের কূটনৈতিক কর্মসূচি শুরু করবেন। এর মধ্যে আগামী সপ্তাহের শুরুতেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ রয়েছে। সাধারণত জাপানি প্রধানমন্ত্রীরা দায়িত্ব গ্রহণের পর যত দ্রুত সম্ভব ওয়াশিংটন সফরের আয়োজন করেন। কিন্তু এত তাড়াতাড়ি বা এমন চাপের পরিস্থিতিতে এটি সচরাচর ঘটে না।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সফর (গত সাত দশক ধরে জাপানের নিরাপত্তা মিত্র) টোকিওর জন্য এক বিশাল ঘটনা। তাছাড়া ট্রাম্পের মতো অপ্রত্যাশিত এক নেতার সঙ্গে সাক্ষাতের আগে প্রধানমন্ত্রীর ব্রিফিংও আরও তীব্র হয়।

এ বছরের শুরুতে ইশিবা ট্রাম্পের সঙ্গে তার প্রথম সাক্ষাতের আগে ৩০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। এর মধ্যে ছিল সহজ বাক্যে কথা বলার অনুশীলন যাতে ট্রাম্পের মনোযোগ ধরে রাখা যায় এবং তার সম্ভাব্য দাবি-দাওয়ার পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করা, জাপানি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।

কিন্তু তাকাইচির হাতে ট্রাম্পের টোকিও আগমনের আগে মাত্র তিন কর্মদিবস সময় রয়েছে। আর তার সামনে রয়েছে বড় বড় ইস্যু। যেমন নতুন যুক্তরাষ্ট্র-জাপান বাণিজ্য চুক্তির অধীনে ৫৫০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ পরিকল্পনা কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। আর জাপান কি আরও বেশি অর্থ দেবে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের আতিথ্য দিতে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের উপদেষ্টা ও তাকাইচির প্রচারণার সমর্থক টোমোহিকো তানিগুচি বলেছেন, “তাকাইচির সামনের পথ অত্যন্ত কঠিন। এটি জাপানি রাজনীতিতে সত্যিই এক অস্বাভাবিক মুহূর্ত।”

এদিকে জাপানি কর্মকর্তারা ট্রাম্পকে প্রভাবিত করতে বিলাসবহুল আয়োজনের পরিকল্পনা করছেন। এর মধ্যে সম্রাট নারুহিতোর সঙ্গে ইম্পেরিয়াল প্যালেসে সাক্ষাৎ এবং স্টেট গেস্ট হাউসে ডিনারের আয়োজন রয়েছে।

এই সফরসূচি ট্রাম্পের জন্য অপরিচিত নয়। ২০১৯ সালে তার প্রথম টোকিও সফরে তিনি সম্রাটের সঙ্গে দেখা করা প্রথম বিদেশি অতিথি ছিলেন। সেই অভিজ্ঞতাকে ট্রাম্প “একটি বিশাল সম্মান” বলে বর্ণনা করেছিলেন।

তাকাইচি ও ট্রাম্পের মধ্যে একটি সাধারণ বিষয় রয়েছে যা তাদের দ্রুত ঘনিষ্ঠ হতে সাহায্য করতে পারে। সেটি হলো সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের প্রতি তাদের উভয়ের শ্রদ্ধা ও সম্পর্ক। আবে তার প্রথম মেয়াদকালে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। তাকাইচি আবের মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন এবং এলডিপির ভেতরে তাকে সাধারণত আবের রাজনৈতিক উত্তরসূরি ও মতাদর্শিকভাবে ঘনিষ্ঠ হিসেবে দেখা হয়।

আর ট্রাম্পের মতোই তাকাইচি “জাপান ফার্স্ট” প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে জনমুখী ও অভিবাসনবিরোধী মনোভাবকে কাজে লাগিয়েছেন। তিনি স্থবির মজুরি ও ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির সময়ে জাপানের জাতীয় স্বার্থ ও অর্থনীতিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। এই অবস্থান তাকে দলের ডানপন্থী গোষ্ঠীর কাছে জনপ্রিয় করে তোলে এবং এলডিপি নেত্রী নির্বাচনের আগে তার সমর্থন ভিত্তি দৃঢ় করে। 

বিশ্লেষকদের মতে, তার এই দৃষ্টিভঙ্গি “আমেরিকা ফার্স্ট” নীতির প্রবক্তা ট্রাম্পের সঙ্গে সহজেই সাদৃশ্য খুঁজে পাবে।

তাকাইচি শক্তিশালী যুক্তরাষ্ট্র-জাপান নিরাপত্তা জোটে বিশ্বাস করেন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তিনি একদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের কঠিন দাবির মোকাবিলা করতে এবং অন্যদিকে দুর্বল হয়ে পড়া এলডিপির মধ্য দিয়ে দেশে রাজনৈতিক সমর্থন পুনর্গঠনে এক কঠিন ভারসাম্য রক্ষার চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবেন।

এশিয়া সোসাইটি পলিসি ইনস্টিটিউটের রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিষয়ক পরিচালক এমা চ্যানলেট-অ্যাভেরি বলেন, “ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক সামলানো যেকোনও নেতার জন্য কঠিন। আর তার দায়িত্বের এত তাড়াতাড়ি এই পরীক্ষা আসছে। তাকাইচির সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কটি এমনভাবে পরিচালনা করা যাতে জোটটি অন্তত টিকে থাকে, এমনকি যদি তা বিকশিত না-ও হয়।”

যুক্তরাষ্ট্র-জাপান জোট

বিশেষজ্ঞদের মতে, জাপানের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে দুই রাজধানী কীভাবে একসঙ্গে কাজ করবে, তা নিয়ে অনেক অনিশ্চয়তা রয়েছে। তাকাইচি গত পাঁচ বছরে জাপানের চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী।

তিনি আবের মতো নয়, যিনি দেশে দৃঢ় রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে ট্রাম্প যুগের উত্থান-পতনের মধ্যেও টিকে ছিলেন। তাকাইচি নেতৃত্ব দেবেন এক সংখ্যালঘু সরকারকে, যা এলডিপির জন্য অস্বাভাবিক। কারণ ১৯৫৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে দলটি প্রায় নিরবচ্ছিন্নভাবে ক্ষমতায় রয়েছে।

র‌্যান্ডের ন্যাশনাল সিকিউরিটি রিসার্চ ডিভিশনের জাপানবিষয়ক প্রধান জেফ্রি হর্নাং বলেন, “যখন আপনি রাজনৈতিক টিকে থাকার লড়াইয়ে ব্যস্ত থাকেন, তখন তা পুরো জোটের শ্বাসরোধ করে দেয়। কারণ তখন আপনারা মূলত অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সংকট নিয়েই ব্যস্ত থাকবেন, জোটের সঙ্গে কাজ করার চেয়ে।”

এই অনিশ্চয়তার অন্যতম ক্ষেত্র হলো প্রতিরক্ষা ব্যয়। তাকাইচি শক্তিশালী প্রতিরক্ষাব্যবস্থায় বিশ্বাস করেন। আর তার দৃষ্টিভঙ্গি ট্রাম্পের সেই অবস্থানের সঙ্গে মিলে যেতে পারে যেখানে তিনি চান দেশগুলো তাদের নিজস্ব নিরাপত্তায় বেশি ভূমিকা নিক।

তিনি প্রতিবেশী দেশ যেমন চীন ও উত্তর কোরিয়ার প্রতি কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। তবে তার এই মনোভাব দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ককেও বিপদের মুখে ফেলতে পারে। তাকাইচি জাপানের ঐতিহাসিক পুনর্বিবেচনাবাদীদের মধ্যে একজন, যারা সাম্রাজ্যবাদী জাপানের যুদ্ধকালীন নৃশংসতাকে খাটো করে দেখাতে চান। তিনি ইতিহাস বই সম্পাদনায়ও অংশ নিয়েছেন যাতে জাপানি আগ্রাসনবিষয়ক ভাষা হালকা করা হয়।

প্রতিরক্ষা ব্যয়ের ক্ষেত্রে তাকাইচিকে সতর্কভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে। হর্নাং বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন আগামী বছর থেকে আলোচনায় জাপানের কাছ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা মোতায়েনের জন্য আরও বেশি অর্থ দেওয়ার দাবি জানাতে পারে, যা নতুন প্রধানমন্ত্রীকে বিপাকে ফেলে দিতে পারে।

এব্যাপারে হর্নাং বলেন, “যদি আপনার দৃঢ় রাজনৈতিক ভিত্তি না থাকে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের দাবির বিপরীতে শক্ত যুক্তি তুলে ধরা কঠিন হবে।”

আরেকটি জটিল ক্ষেত্র হলো যুক্তরাষ্ট্র-জাপান বাণিজ্য চুক্তির অধীনে ৫৫০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ চুক্তি। এই বিপুল বিনিয়োগ কীভাবে বাস্তবায়ন হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। এটি জাপানের প্রতিরক্ষা বাজেটের দশগুণ।

অতীতে তাকাইচি এই চুক্তির সমালোচনা করেছিলেন। ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে তিনি জাপানের স্বার্থবিরোধী কিছু শর্ত পুনরায় আলোচনায় তুলতে ইচ্ছুক এবং “জাপান ফার্স্ট” নীতিতে নিজ দেশের উৎপাদনশিল্প রক্ষার আহ্বান জানিয়েছিলেন ট্রাম্পের “আমেরিকা ফার্স্ট” শুল্কনীতির প্রতিক্রিয়ায়।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “জাপান ফার্স্ট” স্লোগান তার নির্বাচনী প্রচারণায় ডানপন্থী সমর্থন জোগাতে সাহায্য করলেও তিনি বাস্তবে পুনরায় কোনও আলোচনায় যাবেন না। বরং তাকে এমন উপায় খুঁজতে হবে যাতে তিনি পূর্বে সমালোচিত সেই চুক্তির জন্য জনসমর্থন তৈরি করতে পারেন।

টোকিওভিত্তিক থিংক ট্যাংক ক্যানন ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল স্টাডিজের গবেষণা পরিচালক ও পররাষ্ট্রনীতি বিশেষজ্ঞ কুনিহিকো মিয়াকে বলেন, “আপনি এমন কোনও চুক্তি উল্টাতে পারবেন না যা ইতিমধ্যেই স্বাক্ষরিত। এখন যদি আপনি টেবিল উল্টে দেন, তবে তার খেসারত জাপানকেই বেশি দিতে হবে।”

প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী 

তাকাইচি চলতি মাসের শুরুতে এলডিপির নেতা নির্বাচিত হয়েছেন, যা আগের বছরগুলোর মতো হলে তাকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে দিত। কিন্তু যেহেতু এলডিপি এখন সংখ্যালঘু। তাই ভোট প্রক্রিয়া জটিল হয়ে পড়ে।

এলডিপির ২৬ বছরের জোটসঙ্গী কোমেইতো জোট ত্যাগ করার পর বিরোধী নেতারা তাকাইচির বিপক্ষে ঐক্যবদ্ধ প্রার্থী দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাদের প্রচেষ্টা ভেস্তে যায় যখন এলডিপি ডানপন্থী জাপান ইনোভেশন পার্টির সমর্থন পায়।

তবে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারকে আদর্শ মানা তাকাইচি লৈঙ্গিক সমতার পক্ষে পরিচিত নন। তিনি বিবাহিত দম্পতিদের আলাদা পদবি রাখার অনুমোদনের বিরোধিতা করেছেন এবং সম্রাটের পরিবারের মাতৃকুলীয় বংশধরদের সিংহাসনে আরোহণের বিরুদ্ধেও অবস্থান নিয়েছেন, যা জাপানে লৈঙ্গিক সমতার ইস্যুতে রাজনীতিবিদদের অবস্থান পরিমাপের দুটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক।

বিশ্ববিদ্যালয় শেষে ১৯৮৭ সালে তাকাইচি যুক্তরাষ্ট্রে যান এবং সাবেক কংগ্রেসওমেন প্যাট শ্রোডারের (ডি) সহকারী হিসেবে কাজ করেন। দেশে ফিরে তিনি স্বল্প সময়ের জন্য টেলিভিশন উপস্থাপক হিসেবে কাজ করেন। তারপর ১৯৯৩ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

সেই সময় জাপানের রাজনীতি ছিল “একেবারেই পুরুষতান্ত্রিক, ধোঁয়ায় ভরা কক্ষ, ভোজসভা ও সৌজন্যতার রাজনীতি।” বলেন শিনঝো আবের সাবেক উপদেষ্টা তানিগুচি।

তার পুরো রাজনৈতিক জীবনে তাকাইচি একজন পরিশ্রমী ও নীতিনিষ্ঠ রাজনীতিক হিসেবে সুনাম অর্জন করেছেন এবং এলডিপির মধ্য দিয়ে ক্রমে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পদে উন্নীত হয়েছেন। এখন তার সামনে সুযোগ এসেছে একজন অভ্যন্তরীণ নীতিনির্ধারক থেকে এক বৈশ্বিক নেতায় পরিণত হওয়ার।

তানিগুচির মতে, “এখনই সময় তার নিজের নেতৃত্বের স্বর ও মান তৈরি করার। দেশের সর্বোচ্চ নেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত