একদিন আগেই প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু জানিয়েছিলেন- খারাপ, খুবই খারাপ সময় যাচ্ছে লিটন দাসের। কিন্তু ওয়ানডের ব্যর্থতা দিয়ে তো টি-টোয়েন্টির বিবেচনা করা যায় না। এর ওপর লিটন টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক। তাই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কুড়ি ওভারের সিরিজে তিনি খেলবেনই। এতে ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙার সুযোগ আসে তার সামনে। কিন্তু লিটনের কিছুতেই যে কিছু হচ্ছে না!
পাল্লেকেলের প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও তিনি ব্যর্থ। মন্থর ব্যাটিংয়ে দেখেশুনে ক্রিজে থিতু হওয়ার চেষ্টা করেও পারলেন না। ১১ বলে ৬ রান করে আউট হয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। জেফরি ভ্যান্ডারসের গুগলিতে কাটা পড়ে ব্যর্থতার ষোলকলা পূরণ করেছেন তিনি।
লিটনের আগে-পরে আউট হয়েছেন দুই ওপেনার- তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের সংগ্রহ ১১ ওভারে ৩ উইকেটে ৮২ রান।
ওয়ানডের ধারাবাহিক ব্যর্থতায় চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল থেকে বাদ পড়েছিলেন লিটন। এরপর কিছু না করেই শ্রীলঙ্কা সফরের ওয়ানডে দলে জায়গা হয় এই উইকেটকিপারের। প্রথম ম্যাচে সুযোগ পেয়ে ‘ডাক’ মারায় শেষ দুই ওয়ানডেতে বিবেচিত হননি। সেই লিটন ফরম্যাট বদলে টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়ক হয়ে মাঠে নেমে, নড়বড়ে ব্যাটিংয়ে আউট হয়ে দলের চাপ বাড়িয়ে এসেছেন।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে নাইম-সাইফউদ্দিন
ওয়ানডে সিরিজ হারের পর টি-টোয়েন্টিতে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যাশা বাংলাদেশের। সেই লক্ষ্যে পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেছে বাংলাদেশ।
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। এবার কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে ‘প্রতিশোধ’ নেওয়ার সুযোগ লিটন দাসদের সামনে। টানা পাঁচ টি-টোয়েন্টি হারের হতাশা কাটানোর ব্যাপারও থাকছে পাল্লেকেলেতে।
ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে একাদশে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তান সিরিজের দলে না থাকা তাসকিন আহমেদের একাদশে থাকা প্রত্যাশিতই ছিল। লম্বা সময় পর টি-টোয়েন্টি দলে ডাক পেয়ে একাদশে সুযোগ পেয়েছেন নাইম শেখ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

প্রায় ৩ বছর পর টি-টোয়েন্টিতে দেশের জার্সিতে নেমেছেন নাইম। অন্যদিকে সাইফউদ্দিনের ফেরাটা প্রায় ১৩ মাস পর।
টানা পাঁচ টি-টোয়েন্টি হেরে শ্রীলঙ্কা সিরিজ শুরু করেছে বাংলাদেশ। এর ওপর যিনি নেতৃত্ব দেবেন, তিনি কাটাচ্ছেন কঠিন সময়। ফর্মের সঙ্গে রীতিমতো লড়াই করলেন অধিনায়ক লিটন দাস। ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে শূন্য রানে আউট হওয়ার পর আর একাদশে জায়গা হয়নি এই উইকেটকিপার ব্যাটারের।
ফরম্যাট যেহেতু আলাদা, তাই ওয়ানডের পরিসংখ্যান টানার সুযোগ নেই। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অবস্থা তো আর সাইডে রাখা যাচ্ছে না। লিটন অধিনায়ক হওয়ার পর এই ফরম্যাটে বাজে সময় যাচ্ছে বাংলাদেশের। আইসিসির সহযোগী দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছে। এরপর পাকিস্তান সফরে গিয়ে হোয়াইটওয়াশ হয় ৩-০তে। সব মিলিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে শ্রীলঙ্কায় জয়ের খোঁজে লিটনরা।
তাছাড়া এই ফরম্যাটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের পরিসংখ্যানও সুবিধার নয়। টি-টোয়েন্টিতে ১৭ বারের মুখোমুখি লড়াইয়ে বাংলাদেশ ৬ জয়ের বিপরীতে হেরেছে ১১টিতে।
বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, লিটন দাস (অধিনায়ক ও উইকেটকিপার), নাইম শেখ, তাওহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন পাটোয়ারি, মেহেদী হাসান মিরাজ, তানজিম হাসান সাকিব, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
শ্রীলঙ্কা একাদশ: পাথুম নিসানকা, কুশল মেন্ডিস (উইকেটকিপার), কুশল পেরেরা, আভিস্কা ফার্নান্ডো, চারিথ আসালঙ্কা (অধিনায়ক), দাসুন শানাকা, চামিকা করুণারত্নে, জেফরি ভ্যান্ডারসে, মাহিশ থিকশানা, নুয়ান থুসারা, বিনুরা ফার্নান্ডো।



