Beta
বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

সত্য জানার অধিকার জনগণের রয়েছে : আইকেবি

IQBAL KARIM VUIYA
[publishpress_authors_box]

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হওয়া গুম-খুনের মতো নানা অপরাধে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদেরও জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এবার তা নিয়ে মুখ খুললেন সাবেক সেনাপ্রধান ইকবাল করিম ভুঁইয়া, যিনি আইকেবি নামে পরিচিত।

তিনি বলেছেন, যেহেতু দেশের জনগণের বিরুদ্ধে এসব অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, তাই সত্য জানার অধিকার জনগণের আছে।

সশস্ত্র বাহিনীর কিছু সদস্য নিজেদের নোংরা স্বার্থসিদ্ধির জন্য গুম, খুন ও দুর্নীতির মতো অপরাধে যুক্ত হয়ে প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে বলে মন্তব্য করেন সাবেক এই সেনাপ্রধান।

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ২০১২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সেনাপ্রধানের দায়িত্বে ছিলেন ইকবাল করিম ভূঁইয়া। গত বছর জুলাই আন্দোলনের সময় দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন তিনি।

বুধবার এক ফেইসবুক পোস্টে তিনি কথা বলেন প্রতিরক্ষা বাহিনী ও অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে তৈরি হওয়া ‘দূরত্ব’ নিয়েও।

এর কারণ হিসাবে তিনি বলেন, “সশস্ত্র বাহিনীর নেতৃত্ব ও অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে, তার মূল কারণ হলো- ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনের সময়ে সংঘটিত গুম, খুন ও দুর্নীতির মতো নৃশংস অপরাধে জড়িত সামরিক কর্মকর্তাদের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে মতপার্থক্য।”

শেষ পর্যন্ত সেনাবাহিনী জনগণের পক্ষেই দাঁড়াবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, তাই তাদের মধ্যে যে অবিশ্বাস সৃষ্টি হয়েছে, তা দূর করা সামরিক নেতৃত্বের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব বলেই মনে করছেন তিনি।

‘ফ্যাসিবাদী’ শাসনের দায় পুরো সশস্ত্র বাহিনীর উপর বর্তায় না মন্তব্য করে তিনি বলেন, “বরং কিছু কর্মকর্তা তাদের নোংরা স্বার্থসিদ্ধির জন্য এমন অপরাধে যুক্ত হয়ে প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন।

“এই অপরাধ যেহেতু দেশের জনগণের বিরুদ্ধে সংঘটিত হয়েছে, তাই জনগণের সত্য জানার এবং ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। আস্থা ও সুসম্পর্ক পুনস্থাপনে সেনাবাহিনী এসব অপরাধ ও অপরাধীর দায়ভার নিজের কাঁধে নেবে না।”

১৫ বছরের আওয়ামী লীগ শাসনের সময়ে সংঘটিত গুম-খুনের বিষয়ে ইকবাল করিম ভূঁইয়া বলেন, পেশাদার সেনাবাহিনীর এমন অপরাধের সঙ্গে জড়িত হওয়ার কথা নয়। তবুও সংকীর্ণ দলীয় স্বার্থে কাজ করা কিছু কর্মকর্তা সেনাবাহিনীর সম্মান ক্ষুণ্ন করেছেন এবং পুরো বাহিনীকে জনগণের চোখে অপরাধী হিসেবে দাঁড় করানোর ঝুঁকি তৈরি করেছে।

‘উপযুক্ত’ আদালতে তাদের বিচারে পক্ষে মক দিয়ে তিনি বলেন, “রাষ্ট্রের এত বড় ক্ষতির জন্য দায়ীদের যথাযথ বিচারের জন্য রাজি হয়ে সশস্ত্র বাহিনীকে দায়মুক্ত করতে হবে। জনগণের সঙ্গে বিশ্বাস ও ভরসার সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করতে সেনাবাহিনী আন্তরিকভাবে আগ্রহী বলে আমি বিশ্বাস করি।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত