Beta
সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
Beta
সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

১২ কেজি এলপিজির দাম কমল ২৮ টাকা

গৃহস্থালির রান্নার কাজে ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের ব্যবহার বেশি।
গৃহস্থালির রান্নার কাজে ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের ব্যবহার বেশি।
[publishpress_authors_box]

ভোক্তা পর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম কমেছে। দেশের বাজারে এলপিজির দাম কেজিতে কমানো হয়েছে ২ টাকা ৩৫ পয়সা।

আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমায় দেশে এলপিজির নতুন দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।

বিইআরসির নির্ধারণ করা দর অনুযায়ী, মার্চে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি কেজি এলপিজির দাম পড়বে ১২০ টাকা ৮১ পয়সা, যা ফেব্রুয়ারিতে ছিল ১২৩ টাকা ১৬ পয়সা।

এ হিসাবে রান্নায় বেশি ব্যবহৃত ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ফেব্রুয়ারির ১ হাজার ৪৭৮ টাকা থেকে ২৮ টাকা কমে ১ হাজার ৪৫০ টাকা হয়েছে।

সোমবার বিইআরসি চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ ঢাকার কারওয়ান বাজারে সংস্থাটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে নতুন দাম ঘোষণা করেন। এদিন সন্ধ্যা ছয়টা থেকে নতুন দর কার্যকর হবে বলেও জানান তিনি।

প্রতি মাসেই এলপিজির দাম নির্ধারণ করে বিইআরসি। যদিও বাজারে নির্ধারিত দামে এলপিজি বিক্রি না হওয়ার অভিযোগ আছে।

বিইআরসির নতুন দর অনুযায়ী, বেসরকারি এলপিজির মূল্য সংযোজন করসহ (মূসক/ভ্যাট) দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি ১২০ টাকা ৮১ পয়সা, যা গত মাসে ছিল ১২৩ টাকা ১৬ পয়সা। এই হিসাবে বিভিন্ন আকারের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারিত হয়।

সরকারি কোম্পানির সরবরাহ করা এলপিজির সাড়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৬৯০ টাকা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। এছাড়া গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির (অটো গ্যাস) নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি লিটার ৬৬ টাকা ৪৩ পয়সা, যা আগে ছিল ৬৭ টাকা ৭৪ পয়সা।

২০২১ সালের এপ্রিল থেকে প্রতিমাসে এলপিজির দাম নির্ধারণ করে আসছে বিইআরসি। এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রোপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়।

প্রতি মাসে এলপিজির এই দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান আরামকো। এটি সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। সৌদি সিপিকে ভিত্তিমূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে বিইআরসি। আমদানিকারক কোম্পানির চালান (ইনভয়েস) মূল্য থেকে গড় করে পুরো মাসের জন্য ডলারের দাম হিসাব করে বিইআরসি।

এর আগে ফেব্রুয়ারিতে এলপিজির দাম কেজিতে ১ টাকা ৯৭ পয়সা হারে বেড়েছিল। ১২ কেজিতে বেড়েছিল ১৯ টাকা।

বাজারে সাড়ে ৫ কেজি থেকে শুরু করে ৪৫ কেজি পর্যন্ত বিভিন্ন আকারের সিলিন্ডার পাওয়া যায়। গৃহস্থালি রান্নার পাশাপাশি রেস্তোরাঁ, পরিবহন, ছোট-বড় শিল্পকারখানায়ও এলপিজি ব্যবহার হয়। এই বাজারের ৯৯ শতাংশের বেশি বেসরকারি খাতের দখলে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত