Beta
বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫

রাকসুতেও শিবির জয়ী

চূড়ান্ত ফল ঘোষণার সময় মোস্তাকুর রহমান জাহিদ (মাঝে), সালাউদ্দিন আম্মার (বাঁয়ে) ও এস এম সালমান সাব্বির (ডানে) বিজয় চিহ্ন দেখান। শুক্রবার সকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে। ছবি : প্রথম আলো
চূড়ান্ত ফল ঘোষণার সময় মোস্তাকুর রহমান জাহিদ (মাঝে), সালাউদ্দিন আম্মার (বাঁয়ে) ও এস এম সালমান সাব্বির (ডানে) বিজয় চিহ্ন দেখান। শুক্রবার সকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে। ছবি : প্রথম আলো
[publishpress_authors_box]

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে ছাত্রশিবির–সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ ও জিএস পদে ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের সালাউদ্দিন আম্মার জয়ী হয়েছেন।

প্রথম আলো জানিয়েছে, সাড়ে তিন দশক পর বৃহস্পতিবার এই নির্বাচন হয়। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন।

রাকসু নির্বাচনে ২৩ পদের মধ্যে ২০টিতেই জয় পেয়েছে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল। এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছে। সেখানে অধিকাংশ পদে জয়ী হয়েছে ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেল। রাকসুতেও সেই  ধারাবাহিকতা ধরে রাখল জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠনটি।

১৯৯০ সালের পর দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর ৭২ বছরে এটি রাকসুর ১৭তম নির্বাচন।

বিডিনিউজ জানিয়েছে, এতদিন ধরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামী ছাত্রশিবিরের শুধু প্রভাব-প্রতিপত্তি ছিল; এবার তার সঙ্গে যুক্ত হলো ক্ষমতাও।

প্রায় তিন যুগ পর অনুষ্ঠিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-রাকসুর ভোটে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছে ছাত্রশিবির। ২৩টি পদের মধ্যে ভিপি, এজিএসসহ ২০টি পদে জয় পেয়েছেন শিবির সমর্থিত সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থীরা।

এর মধ্য দিয়ে ডাকসু, জাকসু ও চাকসুর জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখল জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠনটি।

আগের তিন ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মতো রাজশাহীতেও শিবিরের সঙ্গে তেমন কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারেনি বিএনপির ছাত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। ক্রীড়া সম্পাদক ছাড়া আর কোনও পদে তারা জয়ের মুখ দেখেনি।

এছাড়া জিএস পদে ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেল এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।

বড় ধরনের গোলযোগ ছাড়াই বৃহস্পতিবার রাকসু, হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচন হয়। প্রায় ২৯ হাজার ভোটারের মধ্যে ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর ভোট পড়ার কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

প্রথম আলো জানিয়েছে, নির্বাচনে ছাত্রশিবির–সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের ভিপি পদে মোস্তাকুর রহমান জাহিদ পেয়েছেন ১২ হাজার ৬৮৭ ভোট । তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল–সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দিন আবির পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৯৭ ভোট।

নির্বাচনে জিএস পদে ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের সালাউদ্দিন আম্মার পেয়েছেন ১১ হাজার ৪৯৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শিবিরের প্যানেলের ফজলে রাব্বি মো. ফাহিম রেজা পেয়েছেন ৫ হাজার ৭২৭ ভোট।

সালাউদ্দিন আম্মার ও ফাহিম রেজা দুইজনই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক।

শীর্ষ তিন পদের তৃতীয় পদ এজিএসে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে শিবির–সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী এস এম সালমান সাব্বির ভোট পেয়েছেন ৬ হাজার ৯৭৫টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল–সমর্থিত প্যানেলের জাহিন বিশ্বাস এষা পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৫১ ভোট।

বেসরকারিভাবে আলাদাভাবে হলগুলোর ফলাফল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনার ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা শুক্রবার সকালে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনের মঞ্চে বসেন।

সকাল ৯টায় আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা শুরু করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম। এর আগে তিনি উদ্বোধনী বক্তব্য বলেন, “কঠোর ও দৃঢ় সিদ্ধান্তের কারণে এ নির্বাচন আয়োজন সম্ভব হয়েছে। আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না, প্রশাসন কীভাবে নির্বাচনের বিষয়ে সহযোগিতা করেছে।

“উপাচার্য মহোদয় বলেছিলেন, নির্বাচন হতেই হবে, হতেই হবে। এ নির্বাচনের যদি কোনও স্বার্থকতা থেকে থাকে, সেটা একান্তই আমাদের শিক্ষার্থীদের। ৩৫ বছর বহুল প্রতীক্ষিত এ নির্বাচন ও ফলাফলকে আমার প্রিয় শিক্ষার্থীদের উৎসর্গ করলাম।”

এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব, সহ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন খান ও ফরিদ উদ্দিন খান, জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল আলীম, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আমীরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯টি ভবনের ১৭টি কেন্দ্রে ১৭ হলের শিক্ষার্থীদের ভোটগ্রহণ শুরু হয়।

দিনভর পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্যে থেকে বিকাল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়। সাড়ে চার ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ভোটগণনা শুরু হয়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে নারী হল দিয়ে ফলাফল ঘোষণা শুরু হয়।

নির্বাচনে ১০টি প্যানেলসহ রাকসুর ২৩ পদে ২৪৭ জন, হল সংসদে ১৫ পদে ১৭টি হলে ৫৯৭ জন এবং সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ৫ পদে ৫৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। রাকসুতে ভিপি পদে ১৮ জন, জিএস পদে ১৩ জন ও এজিএস পদে ১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২৮ হাজার ৯০১। এর মধ্যে ছাত্রী ভোটার ১১ হাজার ৩০৫ জন ও ছাত্র ভোটার ১৭ হাজার ৫৯৬ জন। নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৬৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এর মধ্যে ছয়টি নারী হলে ভোট পড়েছে ৬৩ দশমিক ২৪ শতাংশ।

চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার আগে প্রার্থী ও শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। তারা ভেতরে প্রবেশ করে নানা স্লোগান দেন। শুক্রবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে। ছবি : প্রথম আলো

বিডিনিউজ জানিয়েছে, শিবিরের নির্বাচিত ২০ জন হলেন—

ভিপি : মোস্তাকুর রহমান জাহিদ

এজিএস : এস এম সালমান সাব্বির

সহক্রীড়া সম্পাদক : আবু সাঈদ মুহাম্মদ নুন

সংস্কৃতি সম্পাদক : জায়িদ হাসান জোহা

সহসংস্কৃতি সম্পাদক : মো. রাকিবুল ইসলাম

মহিলা বিষয়ক সম্পাদক : সাইয়িদা হাফছা

সহমহিলা সম্পাদক : সামিয়া জাহান

তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক : বি এম নাজমুছ সাকিব

সহতথ্য ও গবেষণা সম্পাদক : সিফাত আবু সালেহ

মিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক : মো. মুজাহিদ ইসলাম

সহমিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক : আসাদুল্লাহ

সহবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক : মুজাহিদুল ইসলাম সাঈম

বিতর্ক ও সাহিত্য সম্পাদক : ইমরান মিয়া লস্কর

সহবিতর্ক ও সাহিত্য সম্পাদক : মো. নয়ন হোসেন

পরিবেশ ও সমাজসেবা সম্পাদক : আব্দুল্লাহ আল মাসুদ

সহপরিবেশ ও সমাজসেবা সম্পাদক : মাসুমা ইসরাত মুমু

বাকি তিনটি পদের মধ্যে জিএস নির্বাচিত হয়েছেন ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের সালাহউদ্দিন আম্মার, যিনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের আলোচিত সমন্বয়ক ছিলেন।

ক্রীড়া সম্পাদক পদে নার্গিস খাতুন জয় পেয়েছেন ছাত্রদলের প্যানেল থেকে। এছাড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী তোফায়েল আহমেদ তোফা। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাবের সহ-সভাপতি।

সবাইকে নিয়ে’ কাজ করার আশ্বাস

নির্বাচনে জয় লাভের পর রাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি জাহিদ বলেছেন, তিনি সবাইকে নিয়েই কাজ করতে চান। যারা পরাজিত হয়েছেন, তাদের পরামর্শও নেবেন তিনি।

রাকসু নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনের সামনে তাৎক্ষণিকভাবে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন তিনি।

জাহিদ বলেন, “যারা বিজয়ী হয়েছেন, তাদের এই বিজয় নিজ নিজ ধর্ম অনুযায়ী উদযাপন করা এবং শিক্ষার্থীদের ‘ম্যান্ডেট’ অনুযায়ী কাজ করার আহ্বান জানাই।

“নির্বাচনে জয়-পরাজয় স্বাভাবিক। আমরা সবাই মিলে এই ক্যাম্পাসকে গড়ে তুলব।”

নবনির্বাচিত জিএস আম্মার বলেন, “শিক্ষার্থীরা আমাকে নির্বাচিত করেছে, তারা মনে করেছে আমি তাদের জন্য কাজ করতে পারব। এজন্য শিক্ষার্থীদের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই। দীর্ঘদিন ধরে আমাদের যে ভাই-বোনের বিভিন্ন লড়াই-সংগ্রাম করেছেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে সরব ছিলেন- তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই।”

ক্যাম্পাসে ‘কোনও শত্রু নাই’ মন্তব্য করে আম্মার বলেন, “সবাই আমাদের সহযোদ্ধা। সবাইকে নিয়ে স্বপ্নের ক্যাম্পাস গড়ব। আমাদের ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে সবাই একসঙ্গে কাজ করব।”

নিজের এই বিজয় আম্মার উৎসর্গ করেছেন ‘আধিপত্যবিরোধী’ লড়াইয়ে থাকা সবাইকে।

রাকসু ভবন। ছবি : বিডিনিউজ

তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের নির্যাতিতদের আমি এই বিজয় উৎসর্গ করছি। একই সাথে আমার বাবাকে, যিনি নির্যাতিত হয়ে কারাবরণ করেছেন। আমার মাকে, যিনি আমার আন্দোলন-সংগ্রামে সব সময় পাশে থেকেছেন, পরামর্শ দিয়েছেন।”

মতিহারের রাজনীতি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর বিগত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশক থেকে নব্বই দশক পর্যন্ত বামপন্থি ছাত্রসংঠনগুলোর ব্যাপক প্রভাব ছিল ক্যাম্পাজুড়ে।

রাকসুর ইতিহাস বলছে, ছাত্র ইউনিয়ন, জাসদ ছাত্রলীগ, ছাত্রমৈত্রীর মতো সংগঠনের নেতারা সেখানে শিক্ষার্থীদের নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

আশির দশক পর্যন্ত বামপন্থিদের সঙ্গে সমানতালে পাল্লা দিয়ে সেখানে রাজনীতি করেছে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগও। বরং সেই তুলনায় তখন পিছিয়ে ছিল জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। নব্বইয়ের দশকে শেষ নির্বাচনে তারা গুরুত্বপূর্ণ একটি পদে জয় পেয়েছিল।

আর ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রভাব তখন শুরু হলেও তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণেই সীমাবদ্ধ ছিলেন। ক্ষমতার স্বাদ কখনও পাননি।

কিন্তু এই ২০২৫ সালের শেষে এসে পরিস্থিতি প্রায় পুরোটাই পাল্টে গেছে। নব্বইয়ের দশকের শুরু থেকেই বামপন্থিদের সাংগঠনিক শক্তিতে ক্ষয় ধরেছে; তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তারা বহু ভাগে বিভাজিত হয়েছে। ফলে এবারের নির্বাচনে তাদের সরব উপস্থিতি থাকলেও ইতিহাসের ধারাবাহিকতা রক্ষার পথ ধরে তাদের হাঁটা এখন অনেকটা কঠিনই ছিল।

আর ২০২৪ সালের ৫ অগাস্টের পর ‘প্রতাপশালী’ ছাত্রলীগ তো ক্যাম্পাস ছেড়েই পালিয়েছে। ফলে এই নির্বাচনে তাদের প্রাসঙ্গিকতাও নেই।

ফলে এবার নির্বাচনে যে এগারটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে তার মধ্যে ইসলামী ছাত্রশিবির ও ছাত্রদলের মধ্যেই দলগত প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা ভেবেছিলেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তবে ভোটের হিসাবে দুই সংগঠনের ব্যবধান স্পষ্ট।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত