টানা চার টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে শারজার দুই ম্যাচ জিতেছে আবার খাদের কিনারে গিয়ে। প্রথম ম্যাচে ১৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১০৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর ১১৮ রানে পরিণত হয় ৬ উইকেটে। সেখান থেকে নুরুল হাসান সোহানের ১৩ বলে ২৩-এ ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় ম্যাচেও ১৪৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২৪ রান তুলতে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শেষ দিকে ২১ বলে ৩১ করে জয় নিশ্চিত করেন সোহান। রোমাঞ্চকর এই দুটি জয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের কোচ ফিল সিমন্স মজা করেছেন দুর্বল হার্ট নিয়ে!
সিমন্স বললেন, ‘‘ক্রিকেট এমনই। এর ভালো দিকটা হলো, যখন আপনি এই ধরনের ক্লোজ ম্যাচ জেতেন এবং তা চালিয়ে যেতে থাকেন, তখন আপনি আত্মবিশ্বাস পান, যখন আবার একটি ক্লোজ ম্যাচে নামেন। তাই এটা ভালো যে আমরা এটা করছি, কিন্তু এটা আমাদের কারোর জন্যই ভালো নয়। ক্লোজ ম্যাচ ক্ষতিকর, আমাদের হার্ট সবসময় এটা সহ্য করতে পারে না!’’
আফগানিস্তানের আসল শক্তিই স্পিন। তাদের সামলাতে পারায় খুশি সিমন্স, ‘‘তাদের স্পিনারদের ভালো খেলেছি। ওটাই তাদের শক্তির জায়গা এবং আমরা ভালো করেছি। আমরা তাদের স্পিনারদের ভালো খেলেছি, অন্তত আজকে। গতকাল আমরা সেটা খুব ভালোভাবে করতে পারিনি, কিন্তু আজ আমরা তাদের স্পিনারদের অনেক ভালোভাবে খেলেছি।’’
নিজেদের বোলিং নিয়েও খুশি সিমন্স, ‘‘বোলিং ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করে যাচ্ছে। যে কম্বিনেশনেই যাই না কেন, আমরা আমাদের বোলিংয়ের উপর ভরসা করতে পারি, এটা আমরা জানি। বোলিং গত ৫-৬ সপ্তাহ ধরে অনেক ভালো হচ্ছে। এটা আমাদের গ্রোথের অংশ। বোলিং আমাদের ২ ম্যাচেই ভালো জায়গায় নিয়ে এসেছে।’’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘‘শারজাতে উইকেট টু উইকেট বল করে যেতে হবে। আমাদের বোলাররা সেটাই করেছে। স্পিনাররা ভালো করেছে। এক্সাইটিং, অ্যাগ্রেসিভ ক্রিকেট খেলতে চাই আমরা, এটাই আমাদের উদ্দেশ্য।’’
নিজেদের ব্যাটিং আর সোহানের ফিনিশিং নিয়েও খুশি সিমন্স,‘‘ আমাদের বেশ কয়েকজন মিডল অর্ডার আছে এবং যেকোনো দিন আমরা বিভিন্ন খেলোয়াড়কে সুযোগ দিই। যেহেতু সবাই উন্নতি করছে, আমরা শুধু এটাই চাই। জাকের এবং শামীম খেলাটা শুরু করেছিল এবং সোহান আমাদের জন্য শেষ করেছে। আমরা আমাদের ব্যাটারদের এটাই করতে বলছি, যখনই তারা সুযোগ পাবে, নিশ্চিত করতে হবে যেন তারা দায়িত্ব নেয়।’’