দুই দফা বিচার শেষে খালাস পেয়েছিলেন সেপ ব্ল্যাটার ও মিশেল প্লাতিনি। তাদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও জালিয়াতির অভিযোগ ছিল ফিফা ও সুইজারল্যান্ডের। বিচার কার্যে খালাসের পর এবার মামলা থেকেও রেহাই পেলেন বিশ্ব ফুটবলের একসময়কার শক্তিধর দুই ব্যক্তি। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে চলা মামলার ইতি টেনে দিয়েছেন সুইস ফেডারেল প্রসিকিউটররা।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সুইজারল্যান্ডের অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস জানিয়েছে, তারা আগামী মার্চে আপিল আদালতে ব্ল্যাটার ও প্লাতিনির খালাসের বিরুদ্ধে আপিল করবে না। অর্থাৎ, সুইস ফেডারেল প্রসিকিউটররা চূড়ান্তভাবে মামলা নিষ্পত্তির ঘোষণা দিলেন।
দীর্ঘ ১৭ বছর ফিফা সভাপতির পদে ছিলেন ৯০ ছুঁইছুঁই ব্ল্যাটার। অন্যদিকে ফরাসি কিংবদন্তি প্লাতিনি ৮ বছর ছিলেন উয়েফা সভাপতি। ব্ল্যাটারের পর ফিফা সভাপতি হওয়ার দৌড়ে তিনিই ছিলেন ফেভারিট। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও সুইজারল্যান্ডের ফেডারেল তদন্তকারীরা ফিফার অভ্যন্তরীণ তদন্তে নামলে বেরিয়ে আসে ভয়ঙ্কর সব বিষয়। জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে ফুটবলের এই দুই শীর্ষ কর্তার বিরুদ্ধে।

২০১৫ সালে শুরু হওয়া ওই তদন্তে উঠে আসে, ফিফার কোষাগার থেকে অনৈতিকভাবে অর্থ সরানো হয়েছে। সুইস ফেডারেল প্রসিকিউটররা জানান, এই অনৈতিক কাজে জড়িত আছেন ব্ল্যাটার ও প্লাতিনি।
২০২২ সালে বিচারকাজ শুরু হলে তাদের বিরুদ্ধে আনা হয় প্রতারণা, জালিয়াতি, অব্যবস্থাপনা ও ২০ লাখ সুইস ফ্রাঁ আত্মসাতের অভিযোগ। প্রসিকিউটররা দাবি করেছিলেন, ২০১১ সালে ব্ল্যাটার-প্লাতিনি ‘লুকিয়ে’ ফিফা থেকে ২০ লাখ সুইস ফ্রাঁ হাতিয়ে নিয়েছিলেন। যে অর্থটা পেয়েছিলেন প্লাতিনি। যদিও ব্ল্যাটার ও প্লাতিনির বিরুদ্ধে আনা কোনও অভিযোগই আদালতে প্রমাণিত হয়নি।
দুই দফা তারা খালাস পান। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ ছিল। তবে সুইস ফেডারেল প্রসিকিউটররা মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তির ঘোষণা দিলেন। প্রসিকিউটররা জানিয়েছেন, আপিল কোর্টের রায় মেনে নেওয়ায় ‘ফুটবলের জটিল প্রক্রিয়ার আরেকটি অধ্যায়ের সমাপ্তি হলো।’



