এশিয়া কাপ সুপার ফোরের টিকিট পাওয়া না পাওয়া আর নিজেদের হাতে নেই বাংলাদেশের। শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তানের শেষ ম্যাচের ফলের ওপর নির্ভর করছে লিটন দাসদের ভাগ্য। অথচ হংকংকে কয়েকটা ওভার আগে হারাতে পারলে বা শ্রীলঙ্কার সঙ্গে এত বাজেভাবে না হারলে এটা নাও হতে পারত।
আফগানিস্তানকে হারানোর পর সংবাদ সম্মেলনে আসা তানজিদ হাসান তামিম অবশ্য আফসোস না করে তাকিয়ে আছেন সমীকরণের দিকে, ‘‘এটা নিয়ে আফসোস করতে চাই না। যেটা অতীত, সেটা হয়ে গেছে। এখন আমাদের সামনে যে সমীকরণটা থাকবে, সেটার দিকেই তাকিয়ে থাকব।’’
তানজিদ আরও যোগ করেন, ‘‘আগের ম্যাচটা হেরে গিয়েছি, কিছু বলার নাই ওই ম্যাচটা নিয়ে। কারণ, ম্যাচটা খুব বাজেভাবে হেরেছি। আমরা যখনই কোনো ম্যাচ খেলতে মাঠে যাই, ১০০ ভাগই দেওয়ার চেষ্টা করি।’’
শেষ ম্যাচে আফগানদের যদি শ্রীলঙ্কা হারায় তাহলে সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশও। আর আফগানিস্তান জিতলে তাকিয়ে থাকতে হবে রান রেটের দিকে। আফগানিস্তান যদি শুরুতে ব্যাটিং করে ৬৭ বা বেশি রানের ব্যবধানে ম্যাচ জিতে তাহলে আফগানদের সঙ্গে সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশও। ধরা যাক আফগানিস্তান করল ১৫০ রান, তখন শ্রীলঙ্কাকে অলআউট করতে হবে ৮৩ রানে। আফগানিস্তান ১৮০ করলে তখন জিততে হবে ৭১ রানে। সেক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কার নেট রান রেট পেছনে পড়বে বাংলাদেশের। আর আফগানরা ২০০ করলে তখন জিততে হবে ৭৩ রানে।
বাংলাদেশ অবশ্য রান রেট বাড়িয়ে নিতে চেয়েছিল আফগানিস্তানের সঙ্গেই। তানজিদ হাসান জানালেন সেটাই, ‘‘অবশ্যই মাথায় ছিল (রান রেট)। সুযোগ ছিল আমাদের। আমাদের দলের জন্য ভালো হতো হয়তো হলে। হয়নি, এখন কিছু করার নেই। কারণ, আমাদের ম্যাচ এটা জিততেই হতো। ম্যাচ জিতেছি, এটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার।’’
রান রেট নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে শেষ ম্যাচে কী বাংলাদেশ সমর্থন করবে শ্রীলঙ্কাকে। এ নিয়ে ম্যাচ শেষে অধিনায়ক লিটন দাস হাসতে হাসতেই বলছিলেন, ‘‘আমি জানি না, দেখা যাক! ম্যাচ জেতা কিছুটা স্বস্তির, তবে শেষ ৪–৫ ওভারে আমরা খুব ভালোভাবে ব্যাটিং করতে পারিনি। রান যথেষ্ট ছিল, তবুও মনে হয়েছে আমরা ১৫–২০ রান কম করেছি। নাসুম আর রিশাদের যেভাবে বোলিং করেছে, সেটা ছিল দারুণ—ওরা সত্যিই নিজেদের দক্ষতা দেখিয়েছে। তামিম দারুণ ব্যাট করেছে, ওপেনিং পার্টনারশিপটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’’