সাধারণ মানুষ চায় অন্তর্বর্তী সরকার যেন পাঁচ বছর রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকে বলে মনে করেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার বিকালে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ থানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “আগের থেকে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে। যারা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে চায়, আমরা তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসছি। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মতৎপরতা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে, আরও বাড়বে। সাধারণ মানুষ চাচ্ছে, এই সরকার যেন আরও অন্তত পাঁচ বছর রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকে।”
শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “ক্রিমিনালদের হ্যান্ডওভারের বিষয়ে ভারতের সঙ্গে আমাদের একটি চুক্তি আছে। এই চুক্তির আন্ডারে হয়তো তাকে আনার চেষ্টা করা হবে।”
এসময় ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনও যুদ্ধের শঙ্কা নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এবার ধানের ফলন ভালো হয়েছে মন্তব্য করে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসার জন্য ৫০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।”
থানা পরিদর্শনের পর স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার দেখার হাওরে ধানকাটা কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সিলেট বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা উন নবী, সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি মুশফেকুর রহমান, জেলা প্রশাসক সুনামগঞ্জ ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া প্রমুখ।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে সিলেট বিমানবন্দর থানা পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
এসময় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “যেহেতু থানা থেকে লুট হওয়া সব অস্ত্র এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি সেহেতু লুট হওয়া অস্ত্র বাহিরে থাকলে কিছুটা নিরাপত্তার হুমকি তো থাকবেই। তবে ৫ আগস্টের পর দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে।”
পুলিশের কাছ থেকে শুধু চাইলে হবে না, তাদের কিছু দিতেও হবে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা যাদের দায়িত্ব তারা সে দায়িত্ব পালন করবে। পুলিশের কাছে আমাদের অনেক প্রত্যাশা। প্রত্যাশার পাশাপাশি তাদের জীবনযাত্রার মানের উন্নতি এবং ঘাটতি পূরণের জন্য কাজ করছে সরকার।”
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে ইন্টারপোলে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে সে বিষয়ে নতুন কোনও তথ্য নেই।”
এ সময় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. রেজাউল করিম, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মো. মুশফেকুর রহমানসহ পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।